ঢাকা ০২:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পর্তুগালে থাকছে না অনিয়মিত অভিবাসীদের কাজ করা ও বসবাসের সুযোগ

পর্তুগালের লিসবন থেকে হাফিজ আল আসাদ
  • সময় ০১:২৩:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪
  • / 333

পর্তুগালের লিসবন থেকে পর্তুগালে থাকছে না অনিয়মিত অভিবাসীদের কাজ করা এবং বসবাসের সুযোগ হঠাৎ করেই এবং অপ্রত্যাশিতভাবেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্তুগাল৷ যার কারণে অনিয়মিত পথে আসা অভিবাসী কর্মীরা কাজের ভিসার জন্য আবেদনরত অবস্থায় দেশটিতে থাকার অনুমতি পাবেন না৷ দেশটির অভিবাসন বিষয়ক নীতির প্রধান এবং উপমন্ত্রী রুই আর্মিন্দো ফ্রাইটাস বলছেন, এই পরিবর্তন ইউরোপীয় বিধি-বিধানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ৷

কিন্তু এনজিও প্রতিনিধিরা বলছেন, ভিন্ন কথা৷ তারা বলছেন, অভিবাসীদের বিরুদ্ধে সমাবেশ করা ডানপন্থি শক্তির চাপেই সরকার দেশটির অভিবাসন নীতিকে কঠোর করেছে৷

ফ্রাইটাস বলেছেন, অনিয়মিত পথে দেশে ঢোকার সুযোগ এবং তারপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়ার সম্ভাবনার কারণে অনেক অনিয়মিত অভিবাসী শ্রমিকেরা পর্তুগালের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন৷ ডিডাব্লিউকে তিনি বলেন, এই সুযোগটি দ্রুত বন্ধ করা উচিত, কারণ অভিবাসন সংস্থা এআইএমএ জানিয়েছে এখনও নিয়মিতকরণ বিষয়ক প্রায় ৪০ হাজার আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের অপেক্ষায় রয়েছে৷ তিনি আরো বলেন, ‘‘যাচাই-বাছাইয়ের অপেক্ষায় থাকা আবদেনগুলোর মধ্যে অনেকগুলো জমা হয়েছে অন্তত দুই বছর আগে৷ এই ব্যাকলগ আগামী জুনের মধ্যে শেষ করা উচিত৷ বহু বছর ধরে তৈরি হওয়া সমস্যাগুলো সমাধানে আমরা কাজ করছি৷”

জুন থেকে যেসব অভিবাসী শ্রমিকেরা পর্তুগালে কাজ করতে ইচ্ছুক তাদেরকে দেশটিতে বসবাসের অনুমতি বা রেসিডেন্স পারমিটের জন্য বিদেশে অবস্থিত পর্তুগিজ দূতাবাস বা কনস্যুলেটে আবেদন করতে হবে৷ এই শর্ত অভিবাসী কর্মীদের মধ্যে হতাশা তৈরি করেছে৷ কারণ যেসব দেশ থেগকে অভিবাসী কর্মীরা পর্তুগালে আসেন, তেমন অনেক দেশেই পর্তুগালের দূতাবাস বা কনস্যুলেট নেই৷ উদাহারণ হিসাবে বলা যায়, নেপাল বা বাংলাদেশের কথা৷ এসব দেশ থেকে কৃষি এবং ফসল কাটার কাজে আগ্রহী শ্রমিকদের পর্তুগালের ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির পর্তুগিজ দূতাবাসে আসতে হয়৷

পর্তুগিজ কৃষক সমিতির মহাসচিব লুইস মিরা সরকারের এই সিদ্ধান্তকে বাস্তবসম্মত নয় বলে মনে করেন৷ তিনি ডিডাব্লিউকে বলেন, ‘‘অন্য সময়গুলোতে না হলেও ফসল কাটার সময় আমাদের অনেক শ্রমিকের প্রয়োজন হয়৷ সরকারকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে, যাতে অভিবাসী কর্মীরা দ্রুত এবং অতিরিক্ত আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ছাড়া পর্তুগালে আসতে পারেন৷

পর্তুগালের অর্থনীতি অনেকটাই অভিবাসী কর্মীদের ওপর নির্ভরশীল৷ তাদের বেশিরভাগ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে আসেন এবং কৃষিতে নিযুক্ত হন৷ এসব কর্মীদের কম মজুরিতে ব্রোকলি, জলপাই সংগ্রহ করা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানির জন্য বেরি বাছাইয়ের কাজ দেয়া হয়৷ হোটেল, রেস্টুরেন্ট কিংবা পর্যটন শিল্পে কাজ করেন ব্রাজিলিয়ানরা৷ আর নির্মাণ খাতে কাজ করেন মূলত আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা শ্রমিকেরা৷ পর্তুগিজ কৃষক সমিতির মহাসচিব লুইস মিরা সরকারের সিদ্ধান্তকে বাস্তবসম্মত নয় বলে মনে করেন ডানপন্থিদের চাপে এমন সিদ্ধান্ত

পর্তুগালের অভিবাসী শ্রমিকেরা সাধারণত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়াই দেশটিতে আসেন৷ বসবাসের অনুমতি পেতে তারা বছরের পর বছর অপেক্ষায় থাকেন৷ অবশ্য এই সময়টায় তারা দেশটিতে কাজ করার অনুমতি পান৷ একইসঙ্গে তাদের কর দিতে হয় এবং সামাজিক নিরাপত্তা খাতে অবদান রাখতে হয়৷

ইউরোপের অন্যদেশগুলোর মতো পর্তুগালেও অনিয়মিত অভিবাসন একটি আলোচিত বিষয়৷ বিশেষ করে অতি-ডানপন্থি দলগুলো এই ইস্যুতে চলমান বিতর্ককে আরো উসকে দিচ্ছে৷

পর্তুগালের অতি ডান এবং জাতীয়তাবাদী দল শেগা৷ এর অর্থ হলো ‘যথেষ্ট’৷ অভিবাসনের বিরোধিতা করে তারা বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে৷ দলটি অভিবাসন কোটা সীমিত করাসহ অভিবাসন ইস্যুতে গণভোটের আহ্বান জানিয়ে আসছে৷

উপমন্ত্রী রুই আর্মিন্দো ফ্রাইটাস অবশ্য ডানপন্থিদের চাপকে খুব একটা আমলে নিচ্ছেন না৷ তিনি বলছেন, সরকার কম অভিবাসী চায় বিষয়টি এমন নয়৷ তবে শ্রম অভিবাসনের ক্ষেত্রে একটি পরিষ্কার নীতিমালা চায় সরকার, যাতে ডানপন্থি শক্তি এই ইস্যুটিকে তাদের প্রচারে ব্যবহারের সুযোগ না পায়৷

পর্তুগালের অভিবাসন নীতি বিষয়ক প্রধান মনে করেন, অভিবাসন নীতির এই পরিবর্তন পর্তুগালে আসা মানুষের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে৷ তিনি বলেন, যারা আসেন তাদের সমাজে একীভূত করা গুরুত্বপূর্ণ৷ আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য বিদেশি কর্মী প্রয়োজন৷ নতুন নিয়মগুলো যারা এ দেশে আসবেন এবং যারা ইতিমধ্যেই এখানে বসবাস করছেন, তাদের সবার উপকারে আসবে৷ ভারত, বাংলাদেশ, নেপালসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আগত অভিবাসীরা পর্তুগালে বিভিন্ন খাতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন অভিবাসন নীতির পরিবর্তনপ্রসঙ্গে ফ্রাইটাস বলেন, এটি মানবপাচারকারী চক্রের শিকার থেকে অভিবাসীদের রক্ষা করবে৷

পর্তুগালে কাজ করতে আগ্রহ দেখিয়ে করা আবেদনের সংখ্যা গত তিন মাসে প্রায় এক চতুর্থাংশ কমে গেছে৷ এনজিওগুলো বলছে, অনেক বিদেশি কর্মী অনিয়মিতভাবে দেশটিতে আসছেন৷

অভিবাসীদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা সংগঠন সলিদারিয়েদেদে ইমিগ্রান্তের (সোলিম) আলবার্তো মাতোস বলেন, খামার এবং রেস্তোরাঁর শ্রমিকেরা আসছেন, কারণ দেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিতে তাদের প্রয়োজন রয়েছে৷ ডিডাব্লিউকে তিনি বলেন, যদি এসব অভিবাসীরা পর্তুগালে আসার পর তাদের নিয়মিত হওয়ার সুযোগ দেয়া না হয় অনিয়মিত অভিবাসীদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তেই থাকবে৷

তিনি শঙ্কা জানিয়ে বলেন, সরকারের নেয়া নতুন অভিবাসন নীতি হিতে বিপরীত হতে পারে৷

শেয়ার করুন

পর্তুগালে থাকছে না অনিয়মিত অভিবাসীদের কাজ করা ও বসবাসের সুযোগ

সময় ০১:২৩:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪

পর্তুগালের লিসবন থেকে পর্তুগালে থাকছে না অনিয়মিত অভিবাসীদের কাজ করা এবং বসবাসের সুযোগ হঠাৎ করেই এবং অপ্রত্যাশিতভাবেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্তুগাল৷ যার কারণে অনিয়মিত পথে আসা অভিবাসী কর্মীরা কাজের ভিসার জন্য আবেদনরত অবস্থায় দেশটিতে থাকার অনুমতি পাবেন না৷ দেশটির অভিবাসন বিষয়ক নীতির প্রধান এবং উপমন্ত্রী রুই আর্মিন্দো ফ্রাইটাস বলছেন, এই পরিবর্তন ইউরোপীয় বিধি-বিধানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ৷

কিন্তু এনজিও প্রতিনিধিরা বলছেন, ভিন্ন কথা৷ তারা বলছেন, অভিবাসীদের বিরুদ্ধে সমাবেশ করা ডানপন্থি শক্তির চাপেই সরকার দেশটির অভিবাসন নীতিকে কঠোর করেছে৷

ফ্রাইটাস বলেছেন, অনিয়মিত পথে দেশে ঢোকার সুযোগ এবং তারপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়ার সম্ভাবনার কারণে অনেক অনিয়মিত অভিবাসী শ্রমিকেরা পর্তুগালের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন৷ ডিডাব্লিউকে তিনি বলেন, এই সুযোগটি দ্রুত বন্ধ করা উচিত, কারণ অভিবাসন সংস্থা এআইএমএ জানিয়েছে এখনও নিয়মিতকরণ বিষয়ক প্রায় ৪০ হাজার আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের অপেক্ষায় রয়েছে৷ তিনি আরো বলেন, ‘‘যাচাই-বাছাইয়ের অপেক্ষায় থাকা আবদেনগুলোর মধ্যে অনেকগুলো জমা হয়েছে অন্তত দুই বছর আগে৷ এই ব্যাকলগ আগামী জুনের মধ্যে শেষ করা উচিত৷ বহু বছর ধরে তৈরি হওয়া সমস্যাগুলো সমাধানে আমরা কাজ করছি৷”

জুন থেকে যেসব অভিবাসী শ্রমিকেরা পর্তুগালে কাজ করতে ইচ্ছুক তাদেরকে দেশটিতে বসবাসের অনুমতি বা রেসিডেন্স পারমিটের জন্য বিদেশে অবস্থিত পর্তুগিজ দূতাবাস বা কনস্যুলেটে আবেদন করতে হবে৷ এই শর্ত অভিবাসী কর্মীদের মধ্যে হতাশা তৈরি করেছে৷ কারণ যেসব দেশ থেগকে অভিবাসী কর্মীরা পর্তুগালে আসেন, তেমন অনেক দেশেই পর্তুগালের দূতাবাস বা কনস্যুলেট নেই৷ উদাহারণ হিসাবে বলা যায়, নেপাল বা বাংলাদেশের কথা৷ এসব দেশ থেকে কৃষি এবং ফসল কাটার কাজে আগ্রহী শ্রমিকদের পর্তুগালের ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির পর্তুগিজ দূতাবাসে আসতে হয়৷

পর্তুগিজ কৃষক সমিতির মহাসচিব লুইস মিরা সরকারের এই সিদ্ধান্তকে বাস্তবসম্মত নয় বলে মনে করেন৷ তিনি ডিডাব্লিউকে বলেন, ‘‘অন্য সময়গুলোতে না হলেও ফসল কাটার সময় আমাদের অনেক শ্রমিকের প্রয়োজন হয়৷ সরকারকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে, যাতে অভিবাসী কর্মীরা দ্রুত এবং অতিরিক্ত আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ছাড়া পর্তুগালে আসতে পারেন৷

পর্তুগালের অর্থনীতি অনেকটাই অভিবাসী কর্মীদের ওপর নির্ভরশীল৷ তাদের বেশিরভাগ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে আসেন এবং কৃষিতে নিযুক্ত হন৷ এসব কর্মীদের কম মজুরিতে ব্রোকলি, জলপাই সংগ্রহ করা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানির জন্য বেরি বাছাইয়ের কাজ দেয়া হয়৷ হোটেল, রেস্টুরেন্ট কিংবা পর্যটন শিল্পে কাজ করেন ব্রাজিলিয়ানরা৷ আর নির্মাণ খাতে কাজ করেন মূলত আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা শ্রমিকেরা৷ পর্তুগিজ কৃষক সমিতির মহাসচিব লুইস মিরা সরকারের সিদ্ধান্তকে বাস্তবসম্মত নয় বলে মনে করেন ডানপন্থিদের চাপে এমন সিদ্ধান্ত

পর্তুগালের অভিবাসী শ্রমিকেরা সাধারণত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়াই দেশটিতে আসেন৷ বসবাসের অনুমতি পেতে তারা বছরের পর বছর অপেক্ষায় থাকেন৷ অবশ্য এই সময়টায় তারা দেশটিতে কাজ করার অনুমতি পান৷ একইসঙ্গে তাদের কর দিতে হয় এবং সামাজিক নিরাপত্তা খাতে অবদান রাখতে হয়৷

ইউরোপের অন্যদেশগুলোর মতো পর্তুগালেও অনিয়মিত অভিবাসন একটি আলোচিত বিষয়৷ বিশেষ করে অতি-ডানপন্থি দলগুলো এই ইস্যুতে চলমান বিতর্ককে আরো উসকে দিচ্ছে৷

পর্তুগালের অতি ডান এবং জাতীয়তাবাদী দল শেগা৷ এর অর্থ হলো ‘যথেষ্ট’৷ অভিবাসনের বিরোধিতা করে তারা বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে৷ দলটি অভিবাসন কোটা সীমিত করাসহ অভিবাসন ইস্যুতে গণভোটের আহ্বান জানিয়ে আসছে৷

উপমন্ত্রী রুই আর্মিন্দো ফ্রাইটাস অবশ্য ডানপন্থিদের চাপকে খুব একটা আমলে নিচ্ছেন না৷ তিনি বলছেন, সরকার কম অভিবাসী চায় বিষয়টি এমন নয়৷ তবে শ্রম অভিবাসনের ক্ষেত্রে একটি পরিষ্কার নীতিমালা চায় সরকার, যাতে ডানপন্থি শক্তি এই ইস্যুটিকে তাদের প্রচারে ব্যবহারের সুযোগ না পায়৷

পর্তুগালের অভিবাসন নীতি বিষয়ক প্রধান মনে করেন, অভিবাসন নীতির এই পরিবর্তন পর্তুগালে আসা মানুষের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে৷ তিনি বলেন, যারা আসেন তাদের সমাজে একীভূত করা গুরুত্বপূর্ণ৷ আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য বিদেশি কর্মী প্রয়োজন৷ নতুন নিয়মগুলো যারা এ দেশে আসবেন এবং যারা ইতিমধ্যেই এখানে বসবাস করছেন, তাদের সবার উপকারে আসবে৷ ভারত, বাংলাদেশ, নেপালসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আগত অভিবাসীরা পর্তুগালে বিভিন্ন খাতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন অভিবাসন নীতির পরিবর্তনপ্রসঙ্গে ফ্রাইটাস বলেন, এটি মানবপাচারকারী চক্রের শিকার থেকে অভিবাসীদের রক্ষা করবে৷

পর্তুগালে কাজ করতে আগ্রহ দেখিয়ে করা আবেদনের সংখ্যা গত তিন মাসে প্রায় এক চতুর্থাংশ কমে গেছে৷ এনজিওগুলো বলছে, অনেক বিদেশি কর্মী অনিয়মিতভাবে দেশটিতে আসছেন৷

অভিবাসীদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা সংগঠন সলিদারিয়েদেদে ইমিগ্রান্তের (সোলিম) আলবার্তো মাতোস বলেন, খামার এবং রেস্তোরাঁর শ্রমিকেরা আসছেন, কারণ দেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিতে তাদের প্রয়োজন রয়েছে৷ ডিডাব্লিউকে তিনি বলেন, যদি এসব অভিবাসীরা পর্তুগালে আসার পর তাদের নিয়মিত হওয়ার সুযোগ দেয়া না হয় অনিয়মিত অভিবাসীদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তেই থাকবে৷

তিনি শঙ্কা জানিয়ে বলেন, সরকারের নেয়া নতুন অভিবাসন নীতি হিতে বিপরীত হতে পারে৷