১১:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৩২ নম্বরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে ভারতের বিবৃতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • সময় ১১:২৯:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 100

রণধীর জসওয়াল

ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ভারত সরকার বিবৃতি দিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালকে উদ্ধৃত করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘শেখ মুজিবুর রহমান, যিনি দখলদার বাহিনী ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষের বীরোচিত প্রতিরোধের মূর্ত প্রতীক ছিলেন, তার ঐতিহাসিক বাসভবনটি যেভাবে ৫ ফেব্রুয়ারি ধ্বংস করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’

‘সেই স্বাধীনতার সংগ্রাম বাংলার পরিচিতি ও গর্বকে লালন করেছিল। আর যারাই সেই লড়াইকে মর্যাদা দেন, তারাই জানেন বাংলাদেশের জাতীয় চেতনার ক্ষেত্রে এই বাসভবনটির গুরুত্ব কতটা ছিল’ বলা হয় ভারতের বিবৃতিতে। এতে আরও বলা হয়, ‘এই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা তীব্র নিন্দনীয়।’

ঢাকায় ভারতের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এর আগে বাংলাদেশ সরকার তাকে যে বার্তা দিয়েছে, সে ব্যাপারে দিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দেশটির সংসদের উচ্চকক্ষে রাজ্যসভার সদস্য ডা. জন বৃত্তাস সংসদে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, বাংলাদেশ শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়েছে কি না, এর কারণ কী এবং ভারত সরকারের প্রতিক্রিয়া কী ছিল? জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং বলেছেন, শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে বাংলাদেশের অনুরোধের জবাব দেয়নি ভারত।

শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে ভারতের পার্লামেন্টে আলোচনা
শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে ভারতের পার্লামেন্টে আলোচনা

ভারতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ভারতে আসার আগে করা অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়েছে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশের এই প্রত্যর্পণের জবাব ভারতের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি।

গত বছরের ডিসেম্বরে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ভারত সরকারের প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘আমরা আমাদের অবস্থান সম্পর্কে ভারতকে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছি। আমরা বলেছি, আমরা তাকে (শেখ হাসিনা) বিচারিক প্রক্রিয়ার জন্য ফেরত চাই।’

বুধবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, অন্তর্বর্তী সরকার প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনা ও অন্যদের ভারত থেকে ফিরিয়ে আনতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিচারাধীন ব্যক্তিদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।

শেয়ার করুন

৩২ নম্বরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে ভারতের বিবৃতি

সময় ১১:২৯:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ভারত সরকার বিবৃতি দিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালকে উদ্ধৃত করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘শেখ মুজিবুর রহমান, যিনি দখলদার বাহিনী ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষের বীরোচিত প্রতিরোধের মূর্ত প্রতীক ছিলেন, তার ঐতিহাসিক বাসভবনটি যেভাবে ৫ ফেব্রুয়ারি ধ্বংস করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’

‘সেই স্বাধীনতার সংগ্রাম বাংলার পরিচিতি ও গর্বকে লালন করেছিল। আর যারাই সেই লড়াইকে মর্যাদা দেন, তারাই জানেন বাংলাদেশের জাতীয় চেতনার ক্ষেত্রে এই বাসভবনটির গুরুত্ব কতটা ছিল’ বলা হয় ভারতের বিবৃতিতে। এতে আরও বলা হয়, ‘এই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা তীব্র নিন্দনীয়।’

ঢাকায় ভারতের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এর আগে বাংলাদেশ সরকার তাকে যে বার্তা দিয়েছে, সে ব্যাপারে দিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দেশটির সংসদের উচ্চকক্ষে রাজ্যসভার সদস্য ডা. জন বৃত্তাস সংসদে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, বাংলাদেশ শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়েছে কি না, এর কারণ কী এবং ভারত সরকারের প্রতিক্রিয়া কী ছিল? জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং বলেছেন, শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে বাংলাদেশের অনুরোধের জবাব দেয়নি ভারত।

শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে ভারতের পার্লামেন্টে আলোচনা
শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে ভারতের পার্লামেন্টে আলোচনা

ভারতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ভারতে আসার আগে করা অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়েছে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশের এই প্রত্যর্পণের জবাব ভারতের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি।

গত বছরের ডিসেম্বরে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ভারত সরকারের প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘আমরা আমাদের অবস্থান সম্পর্কে ভারতকে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছি। আমরা বলেছি, আমরা তাকে (শেখ হাসিনা) বিচারিক প্রক্রিয়ার জন্য ফেরত চাই।’

বুধবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, অন্তর্বর্তী সরকার প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনা ও অন্যদের ভারত থেকে ফিরিয়ে আনতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিচারাধীন ব্যক্তিদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।