১১:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অভিযোগ শুনেই ওসিকে প্রত্যাহার

সীমান্তে কোনো ঝুঁকি নেই, অপহরণে রোহিঙ্গারা জড়িত

সিনিয়র প্রতিবেদক, কক্সবাজার
  • সময় ০৪:৩০:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫
  • / 108

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তে কোনো ঝুঁকি নেই। তবে অপহরণে রোহিঙ্গারা জড়িত বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি জানান, যে কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা রুখে দিতে প্রস্তুত রয়েছে বিজিবি।

শনিবার (১ মার্চ) দুপুরে কক্সবাজারে উখিয়ায় বিজিবির ব্যাটালিয়ন(৬৪)’র উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে পণ্য আনার সময় সিটওয়েতে মিয়ানমার সরকার ও পরে নাফ নদীর সীমান্ত অতিক্রমের সময় আরাকান আর্মিকে ট্যাক্স দিতে হচ্ছে। আর সীমান্তে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে মিয়ানমার সরকার ও আরকান আর্মি উভয় পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হচ্ছে। এটি একটি বড় সমস্যা এবং তা সমাধানে সরকার কাজ করছে।



সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজারে অপহরণের প্রবণতা অনেক বেশি। দেশে ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গাদের অনেকে অপহরণসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। রোহিঙ্গাদের যত দ্রুত নিজ দেশে ফেরত পাঠানো যাবে ততই আমাদের জন্য মঙ্গল। তারাই সমস্যা বৃদ্ধি করছে। তাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফেরত পাঠানোর চেস্টা করছি আমরা (সরকার)।

মতবিনিময় সভায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
মতবিনিময় সভায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এদিকে, কক্সবাজারের চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল কাদের ভূঁইয়াকে এক দিনের মধ্যেই প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ শনিবার সকালে এক মতবিনিময় সভায় ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ শোনার পর পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজিকে ফোন দিয়ে তিনি এ নির্দেশ দেন। সভায় চকরিয়া থানার ওসি মিথ্যা মামলা দিয়ে লোকজনকে হয়রানি করছেন জানিয়ে এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এক সাংবাদিক।



সভায় সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি), আনসার, কারা অধিদফতর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কক্সবাজার জেলার দফতর ও সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।



শেয়ার করুন

অভিযোগ শুনেই ওসিকে প্রত্যাহার

সীমান্তে কোনো ঝুঁকি নেই, অপহরণে রোহিঙ্গারা জড়িত

সময় ০৪:৩০:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তে কোনো ঝুঁকি নেই। তবে অপহরণে রোহিঙ্গারা জড়িত বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি জানান, যে কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা রুখে দিতে প্রস্তুত রয়েছে বিজিবি।

শনিবার (১ মার্চ) দুপুরে কক্সবাজারে উখিয়ায় বিজিবির ব্যাটালিয়ন(৬৪)’র উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে পণ্য আনার সময় সিটওয়েতে মিয়ানমার সরকার ও পরে নাফ নদীর সীমান্ত অতিক্রমের সময় আরাকান আর্মিকে ট্যাক্স দিতে হচ্ছে। আর সীমান্তে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে মিয়ানমার সরকার ও আরকান আর্মি উভয় পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হচ্ছে। এটি একটি বড় সমস্যা এবং তা সমাধানে সরকার কাজ করছে।



সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজারে অপহরণের প্রবণতা অনেক বেশি। দেশে ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গাদের অনেকে অপহরণসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। রোহিঙ্গাদের যত দ্রুত নিজ দেশে ফেরত পাঠানো যাবে ততই আমাদের জন্য মঙ্গল। তারাই সমস্যা বৃদ্ধি করছে। তাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফেরত পাঠানোর চেস্টা করছি আমরা (সরকার)।

মতবিনিময় সভায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
মতবিনিময় সভায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এদিকে, কক্সবাজারের চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল কাদের ভূঁইয়াকে এক দিনের মধ্যেই প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ শনিবার সকালে এক মতবিনিময় সভায় ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ শোনার পর পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজিকে ফোন দিয়ে তিনি এ নির্দেশ দেন। সভায় চকরিয়া থানার ওসি মিথ্যা মামলা দিয়ে লোকজনকে হয়রানি করছেন জানিয়ে এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এক সাংবাদিক।



সভায় সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি), আনসার, কারা অধিদফতর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কক্সবাজার জেলার দফতর ও সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।