রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্য
শেখ হাসিনার আসনে জামায়াতের শোডাউন

- সময় ০৫:১৬:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫
- / 23
আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) শেখ হাসিনার আসনে প্রথমবারের মতো বড় ধরনের শোডাউন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। শনিবার সকালে কোটালীপাড়া উপজেলার টুপুরিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার বহরের শোভাযাত্রা উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
১৪টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পথসভা শেষে শোভাযাত্রাটি উপজেলা চত্বরে এক জনসমাবেশে মিলিত হয়। এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কোটালীপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমীর গাজী সোলায়মান। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের আমীর ও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-৩ আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী অধ্যাপক রেজাউল করিম।
জনসমাবেশে অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, “আমি আপনাদের সন্তান ও ভাই। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমাকে গোপালগঞ্জ-৩ আসনে তাদের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছে। আমি সবসময় আপনাদের পাশে আছি, আপনাদেরও আমার পাশে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য কোরআনের শিক্ষা ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।”
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “গোপালগঞ্জ-৩ আসনে কোনো বিভেদ নেই, আমরা সবাই কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়াবাসী। সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িতদের ছাড়া কাউকে হয়রানি করা যাবে না।”
গত ২২ ফেব্রুয়ারি জামায়াতে ইসলামী ঘোষণা দেয় যে, অধ্যাপক রেজাউল করিম গোপালগঞ্জ-৩ আসনে তাদের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন। শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকায় জামায়াতের এমন শোডাউন ও সক্রিয়তা সাধারণ ভোটারদের মধ্যে কৌতূহল তৈরি করেছে।
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা এই আসন থেকে টানা ৮ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এবং ৫ বার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রতিবার তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা জামানত হারিয়েছেন। ১৯৯৬ সালে একবার জামায়াতের প্রার্থী এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল এবং জামানত হারিয়েছিল।
এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ না নিলে অধ্যাপক রেজাউল করিম এই আসনে নতুন চমক দেখাতে পারেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।