১১:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেলান্দহে আ. লীগের সুবিধাভোগী মুক্তা এখন বিএনপি নেতা

শেখ ফজলে রাব্বি, জামালপুর
  • সময় ০৪:৫৮:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 64

মধুখোর মুক্তা এখন বিএনপি নেতা

জামালপুরের মেলান্দহে এক আওয়ামী লীগ এত দিন আওয়ামী লীগের মধু খেয়ে ভোল পাল্টে বিএনপি নেতা বনে গেছেন। এ ঘটনায় বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য পদে স্থান পাওয়া ঐ আওয়ামী লীগ নেতার নাম গোলাম মতিউর রহমান মুক্তা। আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী  তিনি কুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ও টনকী জোবায়দা জোব্বার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

এ নিয়ে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ত্যাগী নেতাকর্মীকে মূল্যায়ন করে ফের কমিটি গঠনের দাবি জানান তারা।

মধুৃখোর গোলাম মতিউর রহমান মুক্তা মুঠোফোনে বলেন, কেউ হয়ত আওয়ামী লীগের কমিটিতে আমার নাম দিয়েছিল। আমি বিষয়টি জানি না। স্কুলের প্রধান হিসেবে তখন বাধ্য হয়েই বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে যেতে হয়েছে আমাকে।

কিন্তু আমি অনেক আগে থেকেই বিএনপি করি। জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ-খবর নিয়ে দেখে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত বলেন, এই ধরনের কোনো কার্যক্রম হলে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যদি কেউ অভিযোগ দেন আর সেই অভিযোগ যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে যারা কমিটি দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান বলেন, ২০২১ সালে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের মাধ্যমে তাকে সদস্য করা হয়। ঐ কমিটির আমি সাধারণ সম্পাদক হিসাবেই তাকে জানিয়ে পদে রেখেছিলাম।

শেয়ার করুন

মেলান্দহে আ. লীগের সুবিধাভোগী মুক্তা এখন বিএনপি নেতা

সময় ০৪:৫৮:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

জামালপুরের মেলান্দহে এক আওয়ামী লীগ এত দিন আওয়ামী লীগের মধু খেয়ে ভোল পাল্টে বিএনপি নেতা বনে গেছেন। এ ঘটনায় বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য পদে স্থান পাওয়া ঐ আওয়ামী লীগ নেতার নাম গোলাম মতিউর রহমান মুক্তা। আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী  তিনি কুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ও টনকী জোবায়দা জোব্বার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

এ নিয়ে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ত্যাগী নেতাকর্মীকে মূল্যায়ন করে ফের কমিটি গঠনের দাবি জানান তারা।

মধুৃখোর গোলাম মতিউর রহমান মুক্তা মুঠোফোনে বলেন, কেউ হয়ত আওয়ামী লীগের কমিটিতে আমার নাম দিয়েছিল। আমি বিষয়টি জানি না। স্কুলের প্রধান হিসেবে তখন বাধ্য হয়েই বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে যেতে হয়েছে আমাকে।

কিন্তু আমি অনেক আগে থেকেই বিএনপি করি। জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ-খবর নিয়ে দেখে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত বলেন, এই ধরনের কোনো কার্যক্রম হলে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যদি কেউ অভিযোগ দেন আর সেই অভিযোগ যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে যারা কমিটি দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান বলেন, ২০২১ সালে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের মাধ্যমে তাকে সদস্য করা হয়। ঐ কমিটির আমি সাধারণ সম্পাদক হিসাবেই তাকে জানিয়ে পদে রেখেছিলাম।