১১:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভুলে ভরা রাজশাহী কলেজের শহীদ দিবসের আমন্ত্রণ পত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
  • সময় ০৫:৩২:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 59

ভুলে ভরা রাজশাহী কলেজের শহীদ দিবসের আমন্ত্রণ পত্র

অমর একুশের দিনে ভাষা শহীদদের স্মরণে রাজশাহী কলেজের নানা অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পত্রটি ভুলে ভরা। যা নিয়ে চলছে সমালোচনা। ভুল স্বীকারও করেছেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ জহুর আলী, তবুও থেমে নেই সমালোচনা। অনেকে তো বিষয়টিকে শহীদদের অবমাননা করার অভিযোগ তুলেছেন রাজশাহী কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

মহান একুশে ফেব্রুয়ারি এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে রাজশাহী কলেজের আমন্ত্রণ পত্রে নেই ভাষা শহীদের ছবি। সেখানে রফিক, শফিক, বরকত, জব্বারসহ নাম না জানা অনেকে ভাষা শহীদদের ছবির পরিবর্তে সুমহান মুক্তিযুদ্ধের সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ এবং ২৪ এর জুলাই আন্দোলনের নিহত আবু সাঈদ এবং মীর মুগ্ধর ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। যা নিয়ে সমালোচনা চলছে রাজশাহী জুড়েই।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক একজন উপ উপাচার্য বাংলা অ্যাফেয়ার্সকে বলেন, রাজশাহী কলেজ একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তাদের কাছ থেকে এমন ভুল প্রত্যাশিত নয়। ভবিষ্যতে আশা করবো, প্রতিষ্ঠানটি যেন আরো সুচারুভাবে এই কাজগুলো করে।

রাজশাহী কলেজে অধ্যক্ষ জহুর আলী বাংলা অ্যাফেয়ার্সকে বলেন, বিষয়টা খুব দুঃখজনক। প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের গাফিলতির ফল এটা। ভবিষ্যতে এই রকম সব অনুষ্ঠানে প্রস্তুতি কমিটির মাধ্যমে করা হবে যেন এই রকম ভুল আর না হয়। দেশের অন্যতম সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান হিসাবে রাজশাহী কলেজ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ভবিষ্যতে সতর্ক থাকবে।

মনিরুল ইসলাম নামের রাজশাহী কলেজের সাবেক একজন শিক্ষার্থী বলেন, মহান একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের মাতৃভাষা দিবস। আজ থেকে ৭৩ বছর আগে মায়ের ভষায় কথা বলার অধিকার আদায়ে প্রাণ দেয় রফিক, শফিক, বরকত, জব্বার সহ নাম না জানা অনেকে। আমার সাবেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আজকে যে কাজটি করেছে তা সত্যিই বেদনার। আমরা চাইবো ভব্যিষতে যেন এমন ভুল না হয়।

রাজশাহী কলেজে শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল আটটা থেকে একুশে শোভাযাত্রা পরে ১০ টায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ জহুর আলী, উপাধ্যক্ষ মোঃ ইব্রাহিম আলী, সংস্কৃতিক পরিষদের আহ্বায়ক ইয়াসমিন আরা শিল্পী, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিমসহ আরও অনেকে। এরপর তারুণ্যর উৎসসে বিভিন্ন বিভাগের সেরা প্রতিযোগিদের পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের।

শেয়ার করুন

ভুলে ভরা রাজশাহী কলেজের শহীদ দিবসের আমন্ত্রণ পত্র

সময় ০৫:৩২:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

অমর একুশের দিনে ভাষা শহীদদের স্মরণে রাজশাহী কলেজের নানা অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পত্রটি ভুলে ভরা। যা নিয়ে চলছে সমালোচনা। ভুল স্বীকারও করেছেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ জহুর আলী, তবুও থেমে নেই সমালোচনা। অনেকে তো বিষয়টিকে শহীদদের অবমাননা করার অভিযোগ তুলেছেন রাজশাহী কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

মহান একুশে ফেব্রুয়ারি এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে রাজশাহী কলেজের আমন্ত্রণ পত্রে নেই ভাষা শহীদের ছবি। সেখানে রফিক, শফিক, বরকত, জব্বারসহ নাম না জানা অনেকে ভাষা শহীদদের ছবির পরিবর্তে সুমহান মুক্তিযুদ্ধের সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ এবং ২৪ এর জুলাই আন্দোলনের নিহত আবু সাঈদ এবং মীর মুগ্ধর ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। যা নিয়ে সমালোচনা চলছে রাজশাহী জুড়েই।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক একজন উপ উপাচার্য বাংলা অ্যাফেয়ার্সকে বলেন, রাজশাহী কলেজ একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তাদের কাছ থেকে এমন ভুল প্রত্যাশিত নয়। ভবিষ্যতে আশা করবো, প্রতিষ্ঠানটি যেন আরো সুচারুভাবে এই কাজগুলো করে।

রাজশাহী কলেজে অধ্যক্ষ জহুর আলী বাংলা অ্যাফেয়ার্সকে বলেন, বিষয়টা খুব দুঃখজনক। প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের গাফিলতির ফল এটা। ভবিষ্যতে এই রকম সব অনুষ্ঠানে প্রস্তুতি কমিটির মাধ্যমে করা হবে যেন এই রকম ভুল আর না হয়। দেশের অন্যতম সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান হিসাবে রাজশাহী কলেজ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ভবিষ্যতে সতর্ক থাকবে।

মনিরুল ইসলাম নামের রাজশাহী কলেজের সাবেক একজন শিক্ষার্থী বলেন, মহান একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের মাতৃভাষা দিবস। আজ থেকে ৭৩ বছর আগে মায়ের ভষায় কথা বলার অধিকার আদায়ে প্রাণ দেয় রফিক, শফিক, বরকত, জব্বার সহ নাম না জানা অনেকে। আমার সাবেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আজকে যে কাজটি করেছে তা সত্যিই বেদনার। আমরা চাইবো ভব্যিষতে যেন এমন ভুল না হয়।

রাজশাহী কলেজে শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল আটটা থেকে একুশে শোভাযাত্রা পরে ১০ টায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ জহুর আলী, উপাধ্যক্ষ মোঃ ইব্রাহিম আলী, সংস্কৃতিক পরিষদের আহ্বায়ক ইয়াসমিন আরা শিল্পী, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিমসহ আরও অনেকে। এরপর তারুণ্যর উৎসসে বিভিন্ন বিভাগের সেরা প্রতিযোগিদের পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের।