০৮:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আখেরি মোনাজাতে নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর
  • সময় ০২:৫৪:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 59

আখেরি মোনাজাতে নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে

বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। আজ রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা ১১ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত ২৪ মিনিটের আখেরি মোনাজাত হয়। মোনাজাতে শরীক হতে সকাল থেকে ময়দানের চারপাশে বিভিন্ন অলি-গলির খালি জায়গায় বসে হাজার হাজার মহিলা আখেরি মোনাজাতে শামিল হন।

প্রতক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ইজতেমা ময়দানের চারপাশে মিলগেট, কলেজগেট, স্টেশন রোড, টঙ্গী বাজার, কামারপাড়া, আব্দুল্লাহপুরসহ ময়দানের চারদিকে রাস্তার পাশে ও ফুটপাতে নারীরা বসে মোনাজাতে শরিক হন।

অনেককেই আঁচল পেতে মোনাজাত করতে দেখা যায়।

ময়মনসিংহের গফরগাঁও থেকে এসেছেন নার্গিস আক্তার (৫৫)। তিনি অবস্থান নিয়েছেন টঙ্গী-কামারপাড়া সড়কের নিউ মুন্নু ফাইন কটন মিলস কারখানার সামনে। তিনি বলেন, ‘লাখ লাখ মুসল্লির সঙ্গে আখেরি মোনাজাতে শরিক হতে ময়দানের পাশে অবস্থান নিয়েছি। আখেরি মোনাজাতে শরিক হওয়া অনেক সওয়াবের কাজ।’

লাখ লাখ মুসল্লির সঙ্গে আখেরি মোনাজাতে শরিক হতে ময়দানের পাশে অবস্থান নিয়েছি এমন দাবি করেছেন ঢাকার কেরানীগঞ্জ অংশ নেয়া শাসসুন্নাহার।

সিলেট থেকে সিরাতুন্নেসা (৫০) ও ফজিলাতুন্নেছা (৪৫) যোগ দিয়েছেন ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে।

তারা বলেন, মহান আল্লাহকে রাজি ও খুশি করার জন্য আখেরি মোনাজাতে শামিল হতে এসেছি।

স্বামী-সন্তান ও বাবা-মায়ের জন্য আঁচল পেতে দোয়া করেছি। আল্লাহ যেন সবাইকে ক্ষমা করেন; মোনাজাতে অংশগ্রহণ করা নারী উম্মে সালমা বলেন এ কথা।

কলেজছাত্রী লাবনী আক্তার বলেন, সবার জন্য দোয়া করেছি। পরিবার-পরিজনসহ দেশের জন্য আল্লাহর কাছে রহমত প্রার্থনা করেছি।

আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রথম দফা শেষ হয়েছে। মোনাজাত শেষে রাস্তায় ঘরে ফেরা মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।

আখেরি মোনাজাত শেষে ঘরমুখী মানুষের ঢল
আখেরি মোনাজাত শেষে ঘরমুখী মানুষের ঢল

টঙ্গী স্টেশনে ফিরতি যাত্রীদের জন্য অপেক্ষমাণ ট্রেনগুলোতে উঠতে মানুষের জীবনবাজীর লড়াই ছিল উদ্বেগজনক। ট্রেনের ভেতরে জায়গা না পেয়ে ছাদে ও দরজা-জানালায় ঝুলে হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফিরতে দেখা যায়। একপর্যায়ে মানুষের জন্য ট্রেন দেখা যাচ্ছিল না।

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও আশুলিয়া সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় ফিরতি মুসল্লিদের বিড়ম্বনা ও কষ্টের সীমা ছিল না।

তিন-চার দিন ধরে টঙ্গীতে জমায়েত হওয়া মুসল্লিরা আখেরি মোনাজাতের পর একযোগে নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরতে চাইলে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হন।

হাজার হাজার বৃদ্ধ, শিশু-কিশোর ও নারী মাইলের পর মাইল হেঁটে মোনাজাতে শরিক হন এবং একইভাবে ফিরতে শুরু করেন। মোনাজাতের পর সীমিত আকারে যানবাহন চলাচল শুরু হলেও পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। তবে অধিকাংশ যানবাহন যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক মুসল্লি।

শেয়ার করুন

আখেরি মোনাজাতে নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে

সময় ০২:৫৪:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। আজ রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা ১১ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত ২৪ মিনিটের আখেরি মোনাজাত হয়। মোনাজাতে শরীক হতে সকাল থেকে ময়দানের চারপাশে বিভিন্ন অলি-গলির খালি জায়গায় বসে হাজার হাজার মহিলা আখেরি মোনাজাতে শামিল হন।

প্রতক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ইজতেমা ময়দানের চারপাশে মিলগেট, কলেজগেট, স্টেশন রোড, টঙ্গী বাজার, কামারপাড়া, আব্দুল্লাহপুরসহ ময়দানের চারদিকে রাস্তার পাশে ও ফুটপাতে নারীরা বসে মোনাজাতে শরিক হন।

অনেককেই আঁচল পেতে মোনাজাত করতে দেখা যায়।

ময়মনসিংহের গফরগাঁও থেকে এসেছেন নার্গিস আক্তার (৫৫)। তিনি অবস্থান নিয়েছেন টঙ্গী-কামারপাড়া সড়কের নিউ মুন্নু ফাইন কটন মিলস কারখানার সামনে। তিনি বলেন, ‘লাখ লাখ মুসল্লির সঙ্গে আখেরি মোনাজাতে শরিক হতে ময়দানের পাশে অবস্থান নিয়েছি। আখেরি মোনাজাতে শরিক হওয়া অনেক সওয়াবের কাজ।’

লাখ লাখ মুসল্লির সঙ্গে আখেরি মোনাজাতে শরিক হতে ময়দানের পাশে অবস্থান নিয়েছি এমন দাবি করেছেন ঢাকার কেরানীগঞ্জ অংশ নেয়া শাসসুন্নাহার।

সিলেট থেকে সিরাতুন্নেসা (৫০) ও ফজিলাতুন্নেছা (৪৫) যোগ দিয়েছেন ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে।

তারা বলেন, মহান আল্লাহকে রাজি ও খুশি করার জন্য আখেরি মোনাজাতে শামিল হতে এসেছি।

স্বামী-সন্তান ও বাবা-মায়ের জন্য আঁচল পেতে দোয়া করেছি। আল্লাহ যেন সবাইকে ক্ষমা করেন; মোনাজাতে অংশগ্রহণ করা নারী উম্মে সালমা বলেন এ কথা।

কলেজছাত্রী লাবনী আক্তার বলেন, সবার জন্য দোয়া করেছি। পরিবার-পরিজনসহ দেশের জন্য আল্লাহর কাছে রহমত প্রার্থনা করেছি।

আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রথম দফা শেষ হয়েছে। মোনাজাত শেষে রাস্তায় ঘরে ফেরা মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।

আখেরি মোনাজাত শেষে ঘরমুখী মানুষের ঢল
আখেরি মোনাজাত শেষে ঘরমুখী মানুষের ঢল

টঙ্গী স্টেশনে ফিরতি যাত্রীদের জন্য অপেক্ষমাণ ট্রেনগুলোতে উঠতে মানুষের জীবনবাজীর লড়াই ছিল উদ্বেগজনক। ট্রেনের ভেতরে জায়গা না পেয়ে ছাদে ও দরজা-জানালায় ঝুলে হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফিরতে দেখা যায়। একপর্যায়ে মানুষের জন্য ট্রেন দেখা যাচ্ছিল না।

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও আশুলিয়া সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় ফিরতি মুসল্লিদের বিড়ম্বনা ও কষ্টের সীমা ছিল না।

তিন-চার দিন ধরে টঙ্গীতে জমায়েত হওয়া মুসল্লিরা আখেরি মোনাজাতের পর একযোগে নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরতে চাইলে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হন।

হাজার হাজার বৃদ্ধ, শিশু-কিশোর ও নারী মাইলের পর মাইল হেঁটে মোনাজাতে শরিক হন এবং একইভাবে ফিরতে শুরু করেন। মোনাজাতের পর সীমিত আকারে যানবাহন চলাচল শুরু হলেও পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। তবে অধিকাংশ যানবাহন যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক মুসল্লি।