০৩:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিবাদে মশাল মিছিল

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রলীগের পুনর্বাসন!

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুষ্টিয়া
  • সময় ১০:১৫:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
  • / 33

কুষ্টিয়ায় মশাল মিছিল

কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের পুনর্বাসন ও অনুপ্রবেশের প্রতিবাদে কমিটি বাতিলের দাবিতে মশাল মিছিল হয়েছে। একই সঙ্গে জেলা কমিটির একাংশ ও সদর উপজেলা কমিটি বাতিলের দাবিও করা হয়েছে। বুধবার (৫ মার্চ) সন্ধ্যা সাতটায় শহরের এনএস রোড পৌর বাজারের সামনে থেকে পদবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের আয়োজনে এই মিছিল শুরু হয়।

মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মজমপুর মোড়ে গিয়ে শেষ হয়, যেখানে আন্দোলনকারীরা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।

সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, সদ্য ঘোষিত জেলা ও সদর উপজেলা কমিটিতে ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টদের পুনর্বাসন করা হয়েছে। বিগত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত যারা ছিলেন, তাদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি পাওয়ার পর থেকেই আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবসহ একাধিক নেতাকর্মী বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত বলে অভিযোগ করেন তারা।

বক্তারা আরও বলেন, আন্দোলনের সময় মাঠে সক্রিয় ছিলেন না এমন ব্যক্তিদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আহ্বায়ক মো. হাসিবুর রহমানকে আন্দোলনে দেখা না গেলেও বিশেষ ক্ষমতাবলে তাকে নেতৃত্বে আনা হয়েছে। এছাড়া সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান জেলার বাসিন্দা নন, তবুও তাকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয়েছে। এতে কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন আন্দোলনকারীরা এবং বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানান।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী আনভি বলেন, “আমরা যারা আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি, তাদের কমিটিতে রাখা হয়নি। আন্দোলনের ভিডিও ফুটেজ দেখলেই বোঝা যাবে কারা মাঠে ছিল। আমরা এই কমিটি মানি না, এটি বাতিল করতে হবে।”

এ সময় আন্দোলনে উপস্থিত ছিলেন আয়াশ, নাবিল, রাব্বি, পারভেজ, আনভি, আলিফ, আনাস, সুমনসহ অনেকে।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মো. হাসিবুর রহমান বলেন, “ছাত্রলীগের পদ থেকে অনেকেই পদত্যাগ করে আমাদের সঙ্গে আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিল। আমরা যারা আন্দোলনে ছিলাম, তাদেরই কমিটিতে রাখা হয়েছে। কারও ব্যক্তিগত সমস্যা থাকলে সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়।”

শেয়ার করুন

প্রতিবাদে মশাল মিছিল

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রলীগের পুনর্বাসন!

সময় ১০:১৫:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের পুনর্বাসন ও অনুপ্রবেশের প্রতিবাদে কমিটি বাতিলের দাবিতে মশাল মিছিল হয়েছে। একই সঙ্গে জেলা কমিটির একাংশ ও সদর উপজেলা কমিটি বাতিলের দাবিও করা হয়েছে। বুধবার (৫ মার্চ) সন্ধ্যা সাতটায় শহরের এনএস রোড পৌর বাজারের সামনে থেকে পদবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের আয়োজনে এই মিছিল শুরু হয়।

মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মজমপুর মোড়ে গিয়ে শেষ হয়, যেখানে আন্দোলনকারীরা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।

সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, সদ্য ঘোষিত জেলা ও সদর উপজেলা কমিটিতে ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টদের পুনর্বাসন করা হয়েছে। বিগত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত যারা ছিলেন, তাদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি পাওয়ার পর থেকেই আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবসহ একাধিক নেতাকর্মী বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত বলে অভিযোগ করেন তারা।

বক্তারা আরও বলেন, আন্দোলনের সময় মাঠে সক্রিয় ছিলেন না এমন ব্যক্তিদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আহ্বায়ক মো. হাসিবুর রহমানকে আন্দোলনে দেখা না গেলেও বিশেষ ক্ষমতাবলে তাকে নেতৃত্বে আনা হয়েছে। এছাড়া সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান জেলার বাসিন্দা নন, তবুও তাকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয়েছে। এতে কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন আন্দোলনকারীরা এবং বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানান।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী আনভি বলেন, “আমরা যারা আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি, তাদের কমিটিতে রাখা হয়নি। আন্দোলনের ভিডিও ফুটেজ দেখলেই বোঝা যাবে কারা মাঠে ছিল। আমরা এই কমিটি মানি না, এটি বাতিল করতে হবে।”

এ সময় আন্দোলনে উপস্থিত ছিলেন আয়াশ, নাবিল, রাব্বি, পারভেজ, আনভি, আলিফ, আনাস, সুমনসহ অনেকে।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মো. হাসিবুর রহমান বলেন, “ছাত্রলীগের পদ থেকে অনেকেই পদত্যাগ করে আমাদের সঙ্গে আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিল। আমরা যারা আন্দোলনে ছিলাম, তাদেরই কমিটিতে রাখা হয়েছে। কারও ব্যক্তিগত সমস্যা থাকলে সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়।”