১২:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০২ মার্চ ২০২৫, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে তিনদিন আটকে রেখে ধর্ষণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, নোয়াখালী
  • সময় ০৬:৩৯:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫
  • / 14

ধর্ষণ (প্রতীকি ছবি)

নোয়াখালীতে স্কুলে যাওয়ার পথে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করে তিনদিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাসুদ আলম (২৬) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃত মাসুদ আলম জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের মাধবসিংহ গ্রামের বাসিন্দা। ভিকটিম জেলা শহরের একটি স্কুলের শিক্ষার্থী।

ভিকটিমের মা জানান, ২৬ ফেব্রুয়ারি তার মেয়ে প্রতিদিনের মতো স্কুলে যায়। তবে ছুটির পরও বাসায় না ফেরায় তিনি উদ্বিগ্ন হয়ে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খোঁজ করেন। কোথাও না পেয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি সুধারাম মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

এরপর ২৮ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা ভিকটিমকে নোয়াখালী শহরের হাউজিং বালুর মাঠ এলাকায় ফেলে যায়।

ভিকটিমের মা জানান, গভীর রাতে নৈশপ্রহরীরা তার মেয়েকে বাড়ির গেটের সামনে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা নিচে গিয়ে তাকে বিধ্বস্ত অবস্থায় পান। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তিনি এই ঘটনার সঠিক বিচার চান।

ভিকটিমের বড় বোন বলেন, “ভোররাতে দারোয়ান আমাদের ডেকে তুললে দেখি, আমার ছোট বোন গেটের সামনে পড়ে আছে। সে তখন অচেতন ছিল। পরে আমরা পুলিশকে খবর দিলে তারা দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেয়।”

এ বিষয়ে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত কোনো তত্ত্বাবধায়ক বা আবাসিক মেডিকেল অফিসারকে পাওয়া যায়নি।

সুধারাম মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, ভিকটিমের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। বর্তমানে ভিকটিম নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শেয়ার করুন

স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে তিনদিন আটকে রেখে ধর্ষণ

সময় ০৬:৩৯:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

নোয়াখালীতে স্কুলে যাওয়ার পথে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করে তিনদিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাসুদ আলম (২৬) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃত মাসুদ আলম জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের মাধবসিংহ গ্রামের বাসিন্দা। ভিকটিম জেলা শহরের একটি স্কুলের শিক্ষার্থী।

ভিকটিমের মা জানান, ২৬ ফেব্রুয়ারি তার মেয়ে প্রতিদিনের মতো স্কুলে যায়। তবে ছুটির পরও বাসায় না ফেরায় তিনি উদ্বিগ্ন হয়ে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খোঁজ করেন। কোথাও না পেয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি সুধারাম মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

এরপর ২৮ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা ভিকটিমকে নোয়াখালী শহরের হাউজিং বালুর মাঠ এলাকায় ফেলে যায়।

ভিকটিমের মা জানান, গভীর রাতে নৈশপ্রহরীরা তার মেয়েকে বাড়ির গেটের সামনে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা নিচে গিয়ে তাকে বিধ্বস্ত অবস্থায় পান। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তিনি এই ঘটনার সঠিক বিচার চান।

ভিকটিমের বড় বোন বলেন, “ভোররাতে দারোয়ান আমাদের ডেকে তুললে দেখি, আমার ছোট বোন গেটের সামনে পড়ে আছে। সে তখন অচেতন ছিল। পরে আমরা পুলিশকে খবর দিলে তারা দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেয়।”

এ বিষয়ে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত কোনো তত্ত্বাবধায়ক বা আবাসিক মেডিকেল অফিসারকে পাওয়া যায়নি।

সুধারাম মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, ভিকটিমের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। বর্তমানে ভিকটিম নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।