১২:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পর্তুগালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

হাফিজ আল আসাদ, পর্তুগাল
  • সময় ১১:০১:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 107

পর্তুগালের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

পর্তুগালের লিসবনে মহান ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে উদযাপন করা হয়েছে। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ দূতাবাস জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রেখে দিনের কার্যক্রম শুরু করে।

লিসবনে নির্মিত শহীদ মিনারে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাব, পর্তুগাল সাহিত্য সংগঠন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) পর্তুগাল ফ্রেন্ডশিপ অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করা হয় এবং ভাষা শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে বাংলাদেশ দূতাবাসে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মিজ লায়লা মুনতাজেরী দীনা বলেন, “বাঙালি জাতির জন্য একুশে ফেব্রুয়ারি একদিকে শোক ও বেদনার দিন, অন্যদিকে মায়ের ভাষার অধিকার আদায়ের সর্বোচ্চ ত্যাগের প্রতীক। মাতৃভাষার অধিকার আদায়ে যারা প্রাণ দিয়েছেন, তাদের আত্মত্যাগ চিরস্মরণীয়।”

পর্তুগালের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
পর্তুগালের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

আলোচকরা ভাষা শহীদদের অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং প্রবাসীদের মাতৃভাষার মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখার আহ্বান জানান। তারা বলেন, প্রবাসে ভাষা ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। একইসঙ্গে স্বাগতিক দেশের ভাষা শেখার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন, যা প্রবাসীদের জীবনমান উন্নয়ন ও মর্যাদা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।

বক্তারা আরও বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রচেষ্টায় ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে, যা আজ বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে।

আলোচনা সভায় প্রবাসীদের নতুন প্রজন্মকে বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চায় উৎসাহিত করার আহ্বান জানানো হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানান, বিশ্বের প্রায় আট সহস্রাধিক ভাষার মধ্যে অধিকাংশ ভাষা বিলুপ্তির হুমকিতে রয়েছে, তাই মাতৃভাষা সংরক্ষণ এখন আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।

অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

পর্তুগালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

সময় ১১:০১:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

পর্তুগালের লিসবনে মহান ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে উদযাপন করা হয়েছে। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ দূতাবাস জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রেখে দিনের কার্যক্রম শুরু করে।

লিসবনে নির্মিত শহীদ মিনারে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাব, পর্তুগাল সাহিত্য সংগঠন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) পর্তুগাল ফ্রেন্ডশিপ অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করা হয় এবং ভাষা শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে বাংলাদেশ দূতাবাসে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মিজ লায়লা মুনতাজেরী দীনা বলেন, “বাঙালি জাতির জন্য একুশে ফেব্রুয়ারি একদিকে শোক ও বেদনার দিন, অন্যদিকে মায়ের ভাষার অধিকার আদায়ের সর্বোচ্চ ত্যাগের প্রতীক। মাতৃভাষার অধিকার আদায়ে যারা প্রাণ দিয়েছেন, তাদের আত্মত্যাগ চিরস্মরণীয়।”

পর্তুগালের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
পর্তুগালের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

আলোচকরা ভাষা শহীদদের অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং প্রবাসীদের মাতৃভাষার মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখার আহ্বান জানান। তারা বলেন, প্রবাসে ভাষা ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। একইসঙ্গে স্বাগতিক দেশের ভাষা শেখার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন, যা প্রবাসীদের জীবনমান উন্নয়ন ও মর্যাদা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।

বক্তারা আরও বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রচেষ্টায় ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে, যা আজ বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে।

আলোচনা সভায় প্রবাসীদের নতুন প্রজন্মকে বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চায় উৎসাহিত করার আহ্বান জানানো হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানান, বিশ্বের প্রায় আট সহস্রাধিক ভাষার মধ্যে অধিকাংশ ভাষা বিলুপ্তির হুমকিতে রয়েছে, তাই মাতৃভাষা সংরক্ষণ এখন আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।

অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।