০৫:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্যারিকেড ভেঙে সচিবালয়ের ঘেরাও বিডিআর সদস্যরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ০২:৪৩:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 39

ব্যারিকেড ভেঙে সচিবালয়ের ঘেরাও

বিডিআর বিদ্রোহে সাজাপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্যদের মুক্তি এবং চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয় ঘেরাও করেছে আন্দোলনকারীরা। দুপুর ১টার দিকে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে তারা সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হন।

এর আগে, দুপুর সাড়ে ১২টায় আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সদস্য ও সাবেক সমন্বয়ক মাহিন সরকার। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীরা দোয়েল চত্বর হয়ে সচিবালয়ের দিকে এগিয়ে যান।

এ সময়, বিডিআর সদস্যরা তাদের ৮ দফা দাবির তালিকা প্রকাশ করেন, যা আগের ৬ দফার সঙ্গে দুটি নতুন দাবিও অন্তর্ভুক্ত করেছে। দাবিগুলোর মধ্যে প্রধান বিষয়গুলো হলো:

ব্যারিকেড ভেঙে সচিবালয়ের ঘেরাও
ব্যারিকেড ভেঙে সচিবালয়ের ঘেরাও

১. পিলখানা এবং এর আশপাশে ১৮টি বিশেষ আদালত ও অধিনায়কের সামারি কোর্ট গঠন করে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের পুনর্বহাল করা এবং তাদের ক্ষতিপূরণ ও রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা।

২. হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত ও সাজা শেষ হওয়া জেলবন্দী বিডিআর সদস্যদের অবিলম্বে মুক্তি এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রহসনের মামলা বাতিল করা।

৩. গঠিত কমিশনকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে প্রজ্ঞাপনে সংশোধন এনে ২-এর (ঙ) নম্বর ধারা বাতিল করতে হবে এবং নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের মুক্তি দিতে হবে। পাশাপাশি, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ উদ্‌ঘাটন, ষড়যন্ত্রকারী ও হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

৪. পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদ হওয়া ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, ১০ বিডিআর সদস্যসহ মোট ৭৪ জনের হত্যাকারীর বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং জেলের ভেতরে মারা যাওয়া বিডিআর সদস্যদের মৃত্যুর সঠিক কারণ বের করতে হবে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা হলে তা তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি দিতে হবে।

৫. পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর চাকরিচ্যুত সেনা কর্মকর্তাদের ফিরিয়ে আনতে হবে।

৬. শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের লাশ পুনরায় শনাক্ত করার জন্য তদন্ত করতে হবে।

৭. স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ধারণকারী বিডিআরের নাম ফিরিয়ে আনা।

৮. পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদ সকলের স্মরণে জাতীয় দিবস ঘোষণা এবং শহীদ পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

এই আন্দোলনকারীরা আশা করছেন, সরকারের কাছে তাদের এই দাবিগুলোর সমাধান দ্রুত আসবে।

শেয়ার করুন

ব্যারিকেড ভেঙে সচিবালয়ের ঘেরাও বিডিআর সদস্যরা

সময় ০২:৪৩:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বিডিআর বিদ্রোহে সাজাপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্যদের মুক্তি এবং চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয় ঘেরাও করেছে আন্দোলনকারীরা। দুপুর ১টার দিকে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে তারা সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হন।

এর আগে, দুপুর সাড়ে ১২টায় আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সদস্য ও সাবেক সমন্বয়ক মাহিন সরকার। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীরা দোয়েল চত্বর হয়ে সচিবালয়ের দিকে এগিয়ে যান।

এ সময়, বিডিআর সদস্যরা তাদের ৮ দফা দাবির তালিকা প্রকাশ করেন, যা আগের ৬ দফার সঙ্গে দুটি নতুন দাবিও অন্তর্ভুক্ত করেছে। দাবিগুলোর মধ্যে প্রধান বিষয়গুলো হলো:

ব্যারিকেড ভেঙে সচিবালয়ের ঘেরাও
ব্যারিকেড ভেঙে সচিবালয়ের ঘেরাও

১. পিলখানা এবং এর আশপাশে ১৮টি বিশেষ আদালত ও অধিনায়কের সামারি কোর্ট গঠন করে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের পুনর্বহাল করা এবং তাদের ক্ষতিপূরণ ও রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা।

২. হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত ও সাজা শেষ হওয়া জেলবন্দী বিডিআর সদস্যদের অবিলম্বে মুক্তি এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রহসনের মামলা বাতিল করা।

৩. গঠিত কমিশনকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে প্রজ্ঞাপনে সংশোধন এনে ২-এর (ঙ) নম্বর ধারা বাতিল করতে হবে এবং নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের মুক্তি দিতে হবে। পাশাপাশি, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ উদ্‌ঘাটন, ষড়যন্ত্রকারী ও হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

৪. পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদ হওয়া ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, ১০ বিডিআর সদস্যসহ মোট ৭৪ জনের হত্যাকারীর বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং জেলের ভেতরে মারা যাওয়া বিডিআর সদস্যদের মৃত্যুর সঠিক কারণ বের করতে হবে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা হলে তা তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি দিতে হবে।

৫. পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর চাকরিচ্যুত সেনা কর্মকর্তাদের ফিরিয়ে আনতে হবে।

৬. শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের লাশ পুনরায় শনাক্ত করার জন্য তদন্ত করতে হবে।

৭. স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ধারণকারী বিডিআরের নাম ফিরিয়ে আনা।

৮. পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদ সকলের স্মরণে জাতীয় দিবস ঘোষণা এবং শহীদ পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

এই আন্দোলনকারীরা আশা করছেন, সরকারের কাছে তাদের এই দাবিগুলোর সমাধান দ্রুত আসবে।