০৫:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে সরকারের উদ্যোগ

নিউজ ডেস্ক
  • সময় ০৬:৫০:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 30

উপদেষ্টা নাহিদ

জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার ও গুরুতর আহতদের পুনর্বাসন ও ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। সম্প্রতি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

তিনি জানান, শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য এককালীন ক্ষতিপূরণ, মাসিক ভাতা এবং চাকরির সুযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে এই চাকরির জন্য কোনো নতুন কোটার ব্যবস্থা করা হয়নি; বরং প্রতিটি পরিবার থেকে একজন কর্মক্ষম সদস্যকে যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারি, আধা-সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুযোগ দেওয়া হবে।

অন্যদিকে, যেসব আহত ব্যক্তি স্থায়ীভাবে কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন—যেমন অন্ধত্ব বা অঙ্গহানি হয়েছে—তাদের জন্য আজীবন মাসিক ভাতা চালু করা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, এই আহতদের অধিকাংশই তরুণ, যাদের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন এবং সারাজীবন এই ক্ষতির বোঝা বইতে হবে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, “শহীদ পরিবার ও গুরুতর আহতদের পুনর্বাসন এবং তাদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা আমাদের প্রতিশ্রুতি, যা রাষ্ট্রের দায়িত্বও বটে। এই অভ্যুত্থানের ফলে কয়েক হাজার পরিবার বিপর্যস্ত হয়েছে, যা কোনো কিছু দিয়েই পুরোপুরি পূরণ করা সম্ভব নয়। তবে এসব পরিবার আর্থিক সহায়তার চেয়ে সম্মান ও মর্যাদাই বেশি চায়।”

সরকারের এই উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া কতটা কার্যকর হয়, সেটাই এখন মূল বিষয়।

শেয়ার করুন

জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে সরকারের উদ্যোগ

সময় ০৬:৫০:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার ও গুরুতর আহতদের পুনর্বাসন ও ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। সম্প্রতি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

তিনি জানান, শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য এককালীন ক্ষতিপূরণ, মাসিক ভাতা এবং চাকরির সুযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে এই চাকরির জন্য কোনো নতুন কোটার ব্যবস্থা করা হয়নি; বরং প্রতিটি পরিবার থেকে একজন কর্মক্ষম সদস্যকে যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারি, আধা-সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুযোগ দেওয়া হবে।

অন্যদিকে, যেসব আহত ব্যক্তি স্থায়ীভাবে কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন—যেমন অন্ধত্ব বা অঙ্গহানি হয়েছে—তাদের জন্য আজীবন মাসিক ভাতা চালু করা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, এই আহতদের অধিকাংশই তরুণ, যাদের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন এবং সারাজীবন এই ক্ষতির বোঝা বইতে হবে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, “শহীদ পরিবার ও গুরুতর আহতদের পুনর্বাসন এবং তাদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা আমাদের প্রতিশ্রুতি, যা রাষ্ট্রের দায়িত্বও বটে। এই অভ্যুত্থানের ফলে কয়েক হাজার পরিবার বিপর্যস্ত হয়েছে, যা কোনো কিছু দিয়েই পুরোপুরি পূরণ করা সম্ভব নয়। তবে এসব পরিবার আর্থিক সহায়তার চেয়ে সম্মান ও মর্যাদাই বেশি চায়।”

সরকারের এই উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া কতটা কার্যকর হয়, সেটাই এখন মূল বিষয়।