১১:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে চলছে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ০৮:৪২:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 64

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে চলছে ভাঙচুর

ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িতে মিছিল নিয়ে ঢুকে পড়েছে ছাত্র-জনতা। ভারতে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পূর্বঘোষিত অনলাইন বক্তব্যকে ঘিরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে সেখানে ঢুকে পড়েছে। একই সঙ্গে সেখানে ভাঙচুর চালাতে দেখা গেছে।

এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ঘোষণা করেন, শেখ হাসিনা কোনো বক্তব্য দিলে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।

শেখ হাসিনার বক্তব্যকে ঘিরে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর অভিমুখে মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে। রাত ৮টায় শাহবাগ থেকে এ মিছিল শুরু করার কথা থাকলেও বিকাল থেকেই ধানমন্ডি ৩২ এলাকায় জড়ো হতে থাকে ছাত্র-জনতা। সন্ধা হতে হতে সেখানে ব্যাপক জনসমাগম দেখা যায় এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী নানা স্লোগান দিতে শোনা যায়।

একপর্যায়ে উত্তেজিত ছাত্র-জনতা ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ির গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং সেখানে ভাঙচুর শুরু করে।

এর আগে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর অভিমুখে মিছিল কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে অনেকেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। কেউ লিখেছেন, ‘থাকবে না- ফ্যাসিবাদের আঁতুড়ঘর ধানমন্ডি ৩২ নাম্বার থাকবে না’। এছাড়া বুলডোজার মিছিলের একটি পোস্টারে ছেয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।

বুধবার সন্ধায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুকে লেখেন, ‘রাতে দেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে’। জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ফেসবুকে লেখেন – ‘উৎসব হোক!’

এর আগে হাসনাত আবদুল্লাহ এক বক্তব্যে বলেন, আমরা হাসিনা চ্যাপ্টার, ছাত্রলীগ চ্যাপ্টার ৫ আগস্ট ক্লোজ করে দিয়েছি। ৫ আগস্টের পর ফ্যাসিবাদবিরোধী যে দলগুলো আছে, তাদের সঙ্গে আমাদের মতের পার্থক্য হবে, রাজনৈতিক মতপার্থক্য হবে, বিভাজন থাকবে। কিন্তু এক জায়গায় স্পষ্ট, হাসিনা ও ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন কোনোভাবে এ দেশে হতে দেওয়া হবে না।

শেয়ার করুন

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে চলছে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ

সময় ০৮:৪২:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িতে মিছিল নিয়ে ঢুকে পড়েছে ছাত্র-জনতা। ভারতে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পূর্বঘোষিত অনলাইন বক্তব্যকে ঘিরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে সেখানে ঢুকে পড়েছে। একই সঙ্গে সেখানে ভাঙচুর চালাতে দেখা গেছে।

এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ঘোষণা করেন, শেখ হাসিনা কোনো বক্তব্য দিলে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।

শেখ হাসিনার বক্তব্যকে ঘিরে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর অভিমুখে মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে। রাত ৮টায় শাহবাগ থেকে এ মিছিল শুরু করার কথা থাকলেও বিকাল থেকেই ধানমন্ডি ৩২ এলাকায় জড়ো হতে থাকে ছাত্র-জনতা। সন্ধা হতে হতে সেখানে ব্যাপক জনসমাগম দেখা যায় এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী নানা স্লোগান দিতে শোনা যায়।

একপর্যায়ে উত্তেজিত ছাত্র-জনতা ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ির গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং সেখানে ভাঙচুর শুরু করে।

এর আগে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর অভিমুখে মিছিল কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে অনেকেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। কেউ লিখেছেন, ‘থাকবে না- ফ্যাসিবাদের আঁতুড়ঘর ধানমন্ডি ৩২ নাম্বার থাকবে না’। এছাড়া বুলডোজার মিছিলের একটি পোস্টারে ছেয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।

বুধবার সন্ধায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুকে লেখেন, ‘রাতে দেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে’। জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ফেসবুকে লেখেন – ‘উৎসব হোক!’

এর আগে হাসনাত আবদুল্লাহ এক বক্তব্যে বলেন, আমরা হাসিনা চ্যাপ্টার, ছাত্রলীগ চ্যাপ্টার ৫ আগস্ট ক্লোজ করে দিয়েছি। ৫ আগস্টের পর ফ্যাসিবাদবিরোধী যে দলগুলো আছে, তাদের সঙ্গে আমাদের মতের পার্থক্য হবে, রাজনৈতিক মতপার্থক্য হবে, বিভাজন থাকবে। কিন্তু এক জায়গায় স্পষ্ট, হাসিনা ও ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন কোনোভাবে এ দেশে হতে দেওয়া হবে না।