বিপিএল চ্যাম্পিয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখলো বরিশাল

- সময় ১০:৪২:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
- / 37
তামিম ইকবাল খান যেন পণ করেই নেমেছিলেন, এবারের বিপিএল তার জিততেই হবে। ভারসাম্যপূর্ণ একটি দলও পেয়েছিলেন। যার ফলাফল আবারো চ্যাম্পিয়ান ফরচুন বরিশাল। সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়ে ধারাবাহিকতা ধরে রেখে দলকে দ্বিতীয়বারের মতো জিতিয়েছেন তিনি।
শ্বাসরূদ্ধকর এক ফাইনাল ম্যাচ। ১৯৫ রানের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছিল ফরচুন বরিশাল। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৮ রান। বোলার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন হোসাইন তালাত, আর উইকেটে দাঁড়িয়ে ছিলেন রিশাদ হোসেন ও এবাদত হোসেন। প্রথম বলেই রিশাদ হোসেন একটি দুর্দান্ত ছক্কা মেরে ম্যাচকে উত্তেজনাপূর্ণ করে তুলেন, বলটি সোজা চলে যায় লং অনের ওপর দিয়ে।
পরবর্তী বলটিতে একটি সিঙ্গেল নেন তারা এবং তারপর একটি ওয়াইড। তিন বল বাকি থাকতে ফরচুন বরিশাল ৩ উইকেটের ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে। ফলে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হলো তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন দল।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চিটাগং কিংস সংগ্রহ করে ১৯৪ রান, ৩ উইকেট হারিয়ে। জবাবে ফরচুন বরিশাল ১৯.৩ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে সেই লক্ষ্য অর্জন করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব লাভ করে।
কাইল মায়ার্স আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন, ততক্ষণ বরিশাল সমর্থকদের মধ্যে হতাশা ভর করার মত কোনো বিষয়ই ছিল না; কিন্তু ১৮তম ওভারে এসে বরিশালের সাজানো বাগান তছনছ করে দিতে চেয়েছিলেন শরিফুল ইসলাম। বাঁ-হাতি এই পেসারের বলে আউট হয়ে যান মায়ার্স-মাহমুদউল্লাহ দু’জনই।
২৮ বলে ৪৬ রান করা মায়ার্স অনায়াসেই বরিশালকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিচ্ছিলেন; কিন্তু ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে ছক্কা মারতে গিয়ে বদলি ফিল্ডার মার্শাল আইয়ুবের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। ৩টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কার মার ছিল মায়ার্সের ইনিংসে।
এক বল বিরতি দিয়ে শরিফুল তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের উইকেটও। তিন বলে ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়ে চিটাগং কিংসের সামনেও জয়ের উজ্জ্বল সম্ভাবনা তৈরি করেন শরিফুল।
১৯৫ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বরিশালের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং তাওহিদ হৃদয় দলের জন্য আত্মবিশ্বাসের সূচনা করেন। পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে তারা ৫৭ রান সংগ্রহ করেন। ৮.১ ওভারের মাথায় প্রথম উইকেট পতন ঘটে, যখন স্কোরবোর্ডে ৭৮ রান জমা হয়ে যায়।
তাওহিদ হৃদয় ২৮ বল খেলে ৩২ রান করেন এবং আউট হন। তামিম ইকবাল ২৯ বল খেলে ৫৪ রান করেন, যার মধ্যে ৯টি বাউন্ডারি এবং ১টি ছক্কা ছিল। কাইল মায়ার্স ২৮ বল খেলে ৪৬ রান করেন। রিশাদ ৬ বল খেলে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চিটাগং কিংস ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান সংগ্রহ করে। পারভেজ হোসেন ইমন ৪৯ বল খেলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন, আর খাজা নাফে ৪৪ বলে ৬৬ রান করেন। গ্রাহাম ক্লার্কও ৪৪ রান করেন।