১০:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাজারে তরল দুধের সংকট, ভোক্তাদের অসন্তোষ

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
  • সময় ০৭:২২:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫
  • / 15

তরল দুধ

রমজান শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বাজারে তরল দুধের সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। কয়েকদিন ধরে দোকানগুলোতে মিলছে না প্যাকেটজাত দুধ, ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। তাদের অভিযোগ, রোজাকে কেন্দ্র করে ইচ্ছাকৃতভাবে সরবরাহ কমিয়ে মুনাফা বৃদ্ধির চেষ্টা করছে বিপণন প্রতিষ্ঠানগুলো।

তরল দুধ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান মিল্কভিটা এবং বেসরকারি কোম্পানি প্রাণ, আড়ং ও আকিজ। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, সব কোম্পানিই সরবরাহ সীমিত করেছে, যার ফলে দোকান থেকে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

একজন ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের ডিসকাউন্ট দরকার নেই, শুধু স্বাভাবিক দামে দুধ কিনতে চাই। রোজার মাসে কেন কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হচ্ছে?’

এক বিক্রেতা জানান, ‘দুধ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো মিলে পরিকল্পনা করে সংকট তৈরি করছে। কখনো দুধের দাম বাড়িয়ে দেয়, কখনো সরবরাহই বন্ধ করে দেয়।’

সরকারি প্রতিষ্ঠান মিল্কভিটা দুধের সংকটের কথা স্বীকার করেছে। সংস্থার চেয়ারম্যান কমান্ডার (অব.) জহিরুল আলিম জানিয়েছেন, রোজার মাসে চাহিদা সামলাতে সরবরাহ সাময়িকভাবে কমানো হয়েছিল, তবে দ্রুত পরিস্থিতির উন্নতি হবে। তিনি আশ্বাস দেন, দুধের দাম বাড়বে না।

মিল্কভিটা চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের দুধের দাম এখনও অন্যান্য কোম্পানির চেয়ে ১০ টাকা কম রয়েছে। আমরা দাম বাড়াব না। রমজানের আগে কয়েকদিন সরবরাহ কম ছিল, তবে এখন তা স্বাভাবিক হবে।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের মতো তরল দুধের বাজারেও তদারকি বাড়ানো প্রয়োজন, যাতে রোজার সময় কোনো অযৌক্তিক সংকট তৈরি না হয়।

শেয়ার করুন

বাজারে তরল দুধের সংকট, ভোক্তাদের অসন্তোষ

সময় ০৭:২২:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

রমজান শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বাজারে তরল দুধের সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। কয়েকদিন ধরে দোকানগুলোতে মিলছে না প্যাকেটজাত দুধ, ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। তাদের অভিযোগ, রোজাকে কেন্দ্র করে ইচ্ছাকৃতভাবে সরবরাহ কমিয়ে মুনাফা বৃদ্ধির চেষ্টা করছে বিপণন প্রতিষ্ঠানগুলো।

তরল দুধ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান মিল্কভিটা এবং বেসরকারি কোম্পানি প্রাণ, আড়ং ও আকিজ। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, সব কোম্পানিই সরবরাহ সীমিত করেছে, যার ফলে দোকান থেকে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

একজন ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের ডিসকাউন্ট দরকার নেই, শুধু স্বাভাবিক দামে দুধ কিনতে চাই। রোজার মাসে কেন কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হচ্ছে?’

এক বিক্রেতা জানান, ‘দুধ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো মিলে পরিকল্পনা করে সংকট তৈরি করছে। কখনো দুধের দাম বাড়িয়ে দেয়, কখনো সরবরাহই বন্ধ করে দেয়।’

সরকারি প্রতিষ্ঠান মিল্কভিটা দুধের সংকটের কথা স্বীকার করেছে। সংস্থার চেয়ারম্যান কমান্ডার (অব.) জহিরুল আলিম জানিয়েছেন, রোজার মাসে চাহিদা সামলাতে সরবরাহ সাময়িকভাবে কমানো হয়েছিল, তবে দ্রুত পরিস্থিতির উন্নতি হবে। তিনি আশ্বাস দেন, দুধের দাম বাড়বে না।

মিল্কভিটা চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের দুধের দাম এখনও অন্যান্য কোম্পানির চেয়ে ১০ টাকা কম রয়েছে। আমরা দাম বাড়াব না। রমজানের আগে কয়েকদিন সরবরাহ কম ছিল, তবে এখন তা স্বাভাবিক হবে।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের মতো তরল দুধের বাজারেও তদারকি বাড়ানো প্রয়োজন, যাতে রোজার সময় কোনো অযৌক্তিক সংকট তৈরি না হয়।