ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীদের ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

- সময় ০২:১৮:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
- / 20
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘অবৈধ বিক্ষোভে’ জড়িত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ফেডারেল তহবিল বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বুধবার (৫ মার্চ) ইসরায়েলি গণমাধ্যম দ্য জেরুজালেম পোস্ট তাদের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প প্রশাসন এই পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, যদি কোনো কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বা স্কুলে ‘অবৈধ বিক্ষোভ’ অনুমোদন করা হয়।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৪ মার্চ) ট্রাম্প তার সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ঘোষণা দিয়ে বলেন, যে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যদি অবৈধ বিক্ষোভে সহায়তা করে, তাহলে তাদের সরকারি তহবিল বাতিল করে দেওয়া হবে।
এছাড়াও, বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী বিদেশি শিক্ষার্থীদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে এবং উসকানিদাতাদের কারাগারে পাঠানোরও হুমকি দিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্প বলেন, যে কোনো কলেজ, স্কুল বা বিশ্ববিদ্যালয় যদি অবৈধ বিক্ষোভ অনুমোদন করে, তবে তাদের ফেডারেল তহবিল বন্ধ করে দেওয়া হবে। উসকানিদাতাদের কারাগারে পাঠানো হবে অথবা তারা যে দেশ থেকে এসেছে, সেখানে স্থায়ীভাবে ফেরত পাঠানো হবে।
তিনি আরও বলেন, যদি মার্কিন শিক্ষার্থীরা স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত হবে বা অপরাধের মাত্রার ওপর নির্ভর করে গ্রেপ্তার করা হবে। কোনো মুখোশ নয়! আপনাদের মনোযোগের জন্য ধন্যবাদ।
এক্ষেত্রে, ট্রাম্পের বক্তব্যে ‘অবৈধ বিক্ষোভ’ বলতে কি ধরনের বিক্ষোভের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, তা স্পষ্ট করা হয়নি। তবে অনেকের মতে, বিশেষ করে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করেই এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, এই ঘোষণার একদিন আগে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি ট্রাম্প প্রশাসন আরেকটি পদক্ষেপ নেয়। ট্রাম্প প্রশাসন অভিযোগ করেছে যে, বিশ্ববিদ্যালয়টি ‘ইহুদি শিক্ষার্থীদের হয়রানি’ রোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে, ট্রাম্প প্রশাসন কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৫ কোটি ডলারের ফেডারেল তহবিল থেকে বাদ দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে।
এখন দেখার বিষয়, ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ও শিক্ষার্থীদের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলবে এবং এটি মার্কিন সমাজে কিভাবে গ্রহণ করা হবে।