০১:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০২ মার্চ ২০২৫, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফারাক্কার পানি চুক্তি নবায়ন নিয়ে কলকাতায় আলোচনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • সময় ১০:২৪:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫
  • / 17

ফারাক্কা বাঁধ (ফাইল ফটো)

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ১৯৯৬ সালে স্বাক্ষরিত ফারাক্কার পানি চুক্তির ৩০ বছরের মেয়াদ আগামী বছর শেষ হচ্ছে। চুক্তি নবায়নের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করতে বাংলাদেশের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল সোমবার (৩ মার্চ) পাঁচ দিনের সফরে কলকাতা যাচ্ছেন। সফরে তারা ফারাক্কা বাঁধ পরিদর্শন করবেন এবং ভারতের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে অংশ নেবেন।

শনিবার (১ মার্চ) ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল এই খবর প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম নদী কমিশনের সদস্য ডা. মোহাম্মদ আব্দুল হোসেনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি ৩ মার্চ কলকাতায় পৌঁছানোর পর সেখান থেকে ট্রেনে ফারাক্কা যাবেন। ৫ মার্চ তারা ফারাক্কা বাঁধ পরিদর্শন ও পানির প্রবাহ সংক্রান্ত পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করবেন। এরপর ৬ ও ৭ মার্চ কলকাতায় দুই দেশের প্রতিনিধি দলের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

ভারত সরকার বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। ভারতের জলশক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কমিশনার আর আর সাম্ভারিয়া পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছেন।

বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশন উভয় দেশের মধ্যে ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা করে। তবে, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর অভিযোগ—ফারাক্কার পানি চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ পর্যাপ্ত পানি পায়নি।

সফরে বাংলাদেশ বাড়তি পানির দাবি জানাতে পারে। তবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার ইতোমধ্যে জানিয়েছে, অতিরিক্ত পানি দেওয়ার মতো সংস্থান নেই। এর ফলে, ফারাক্কার পানি চুক্তির নবায়ন নিয়ে তিস্তা নদীর মতো নতুন এক বিতর্কের সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 

শেয়ার করুন

ফারাক্কার পানি চুক্তি নবায়ন নিয়ে কলকাতায় আলোচনা

সময় ১০:২৪:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ১৯৯৬ সালে স্বাক্ষরিত ফারাক্কার পানি চুক্তির ৩০ বছরের মেয়াদ আগামী বছর শেষ হচ্ছে। চুক্তি নবায়নের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করতে বাংলাদেশের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল সোমবার (৩ মার্চ) পাঁচ দিনের সফরে কলকাতা যাচ্ছেন। সফরে তারা ফারাক্কা বাঁধ পরিদর্শন করবেন এবং ভারতের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে অংশ নেবেন।

শনিবার (১ মার্চ) ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল এই খবর প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম নদী কমিশনের সদস্য ডা. মোহাম্মদ আব্দুল হোসেনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি ৩ মার্চ কলকাতায় পৌঁছানোর পর সেখান থেকে ট্রেনে ফারাক্কা যাবেন। ৫ মার্চ তারা ফারাক্কা বাঁধ পরিদর্শন ও পানির প্রবাহ সংক্রান্ত পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করবেন। এরপর ৬ ও ৭ মার্চ কলকাতায় দুই দেশের প্রতিনিধি দলের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

ভারত সরকার বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। ভারতের জলশক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কমিশনার আর আর সাম্ভারিয়া পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছেন।

বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশন উভয় দেশের মধ্যে ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা করে। তবে, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর অভিযোগ—ফারাক্কার পানি চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ পর্যাপ্ত পানি পায়নি।

সফরে বাংলাদেশ বাড়তি পানির দাবি জানাতে পারে। তবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার ইতোমধ্যে জানিয়েছে, অতিরিক্ত পানি দেওয়ার মতো সংস্থান নেই। এর ফলে, ফারাক্কার পানি চুক্তির নবায়ন নিয়ে তিস্তা নদীর মতো নতুন এক বিতর্কের সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।