০৩:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রধান উপদেষ্টার ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন

সিনিয়র প্রতিবেদক
  • সময় ০১:৩০:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 34

প্রধান উপদেষ্টার ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিদেশি গণমাধ্যমের প্রতিনিধি ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে নিয়ে বন্দিশালা ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করেছেন।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে আয়নাঘরে পৌঁছান। প্রধান উপদেষ্টার জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পরিদর্শনের অংশ হিসেবে তারা প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদফতরের (ডিজিএফআই) যৌথ জিজ্ঞাসাবাদ সেল ও র‌্যাব-২ এর সিপিসি-৩-এর ভেতরের সেল ঘুরে দেখেন।

এর আগে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার আয়নাঘর পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত হয়।

প্রধান উপদেষ্টার ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন
প্রধান উপদেষ্টার ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন

এরও আগে, ১৯ জানুয়ারি গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের (দ্য কমিশন অব এনকোয়ারি অন এনফোর্সড ডিসআপিয়ারেন্স) সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সে সময় তিনি আশ্বাস দেন যে, তিনি শিগগিরই আয়নাঘর পরিদর্শন করবেন।

প্রধান উপদেষ্টার ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন
প্রধান উপদেষ্টার ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন

দীর্ঘদিন গুম থাকার পর যারা ফিরে এসেছেন, তারা সাধারণত এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। ধারণা করা হয়, এসব ব্যক্তি ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিত বিশেষ স্থানে বন্দি ছিলেন।

অভিযোগ রয়েছে, অধ্যাপক মোবাশার হাসান, সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান, ব্যবসায়ী অনিরুদ্ধ কুমার রায়, মাইকেল চাকমা এবং মীর আহমদ বিন কাসেমসহ আরও অনেকে এই আয়নাঘরে বন্দি ছিলেন।

রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে গোপনে ধরে নিয়ে বিশেষ স্থানে আটকে রাখার ঘটনা নিয়ে সুইডেনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নেত্র নিউজ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেই প্রতিবেদনে এই গোপন বন্দিশালার নাম উঠে আসে ‘আয়নাঘর’ হিসেবে।

গুম হওয়া ব্যক্তিদের অনেকে শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির পর ফিরে এসে পরিবারের কাছে আশ্রয় নেন। তাদের বয়ানে উঠে আসে আয়নাঘরের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা, যা এখনো অনেকের জন্য এক অনিশ্চিত আতঙ্কের নাম।

শেয়ার করুন

প্রধান উপদেষ্টার ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন

সময় ০১:৩০:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিদেশি গণমাধ্যমের প্রতিনিধি ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে নিয়ে বন্দিশালা ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করেছেন।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে আয়নাঘরে পৌঁছান। প্রধান উপদেষ্টার জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পরিদর্শনের অংশ হিসেবে তারা প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদফতরের (ডিজিএফআই) যৌথ জিজ্ঞাসাবাদ সেল ও র‌্যাব-২ এর সিপিসি-৩-এর ভেতরের সেল ঘুরে দেখেন।

এর আগে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার আয়নাঘর পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত হয়।

প্রধান উপদেষ্টার ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন
প্রধান উপদেষ্টার ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন

এরও আগে, ১৯ জানুয়ারি গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের (দ্য কমিশন অব এনকোয়ারি অন এনফোর্সড ডিসআপিয়ারেন্স) সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সে সময় তিনি আশ্বাস দেন যে, তিনি শিগগিরই আয়নাঘর পরিদর্শন করবেন।

প্রধান উপদেষ্টার ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন
প্রধান উপদেষ্টার ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন

দীর্ঘদিন গুম থাকার পর যারা ফিরে এসেছেন, তারা সাধারণত এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। ধারণা করা হয়, এসব ব্যক্তি ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিত বিশেষ স্থানে বন্দি ছিলেন।

অভিযোগ রয়েছে, অধ্যাপক মোবাশার হাসান, সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান, ব্যবসায়ী অনিরুদ্ধ কুমার রায়, মাইকেল চাকমা এবং মীর আহমদ বিন কাসেমসহ আরও অনেকে এই আয়নাঘরে বন্দি ছিলেন।

রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে গোপনে ধরে নিয়ে বিশেষ স্থানে আটকে রাখার ঘটনা নিয়ে সুইডেনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নেত্র নিউজ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেই প্রতিবেদনে এই গোপন বন্দিশালার নাম উঠে আসে ‘আয়নাঘর’ হিসেবে।

গুম হওয়া ব্যক্তিদের অনেকে শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির পর ফিরে এসে পরিবারের কাছে আশ্রয় নেন। তাদের বয়ানে উঠে আসে আয়নাঘরের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা, যা এখনো অনেকের জন্য এক অনিশ্চিত আতঙ্কের নাম।