পুলিশ কোনো রাজনৈতিক দলের স্বার্থে কাজ করবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

সময় ১২:৫৩:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
/ 34

সারদায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্র সকল নাগরিকের জন্য, এটি কোনো নির্দিষ্ট দল, গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের জন্য নয়। বাংলাদেশ পুলিশ একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান, যা নির্দিষ্ট আইন ও বিধি মেনে পরিচালিত হয়। পুলিশ বাহিনী কোনো রাজনৈতিক দলের স্বার্থরক্ষার জন্য কাজ করবে না, বরং দেশের সব নাগরিকের নিরাপত্তা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দায়িত্ব পালন করবে।

রোববার সকাল ১০টায় সারদা পুলিশ একাডেমিতে আয়োজিত কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন এবং নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন।

তিনি নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদের সততা, পেশাদারিত্ব ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কর্তব্য পালনের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, জনগণ যাতে থানায় এসে কোনো হয়রানির শিকার না হয়, সে বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি তিনি বিগত জুলাই ও আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলন থেকে প্রাপ্ত নতুন চেতনা ধারণ করে পুলিশ বাহিনীর গৌরব সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, এক বছরব্যাপী মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষ করে এখন আপনারা দক্ষ ও চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। আজকের এই কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে আপনাদের অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য আমি আপনাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি।

২০২৩ সালের ২০ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই মৌলিক প্রশিক্ষণে বিসিএস ৪০তম ব্যাচের ৬৩ জন ও ৩৮তম ব্যাচের ৩ জনসহ মোট ৬৬ জন শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপার অংশ নেন। প্রশিক্ষণের সমাপনী কুচকাওয়াজ গত বছরের ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও প্রশাসনের সিদ্ধান্তে তা স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে ২৪ নভেম্বর পুনরায় অনুষ্ঠানের দিন নির্ধারণ করা হলেও সেটিও বাতিল করা হয়।

এরপর, ডিসিপ্লিন ভঙ্গের অভিযোগে গত ১৫ ডিসেম্বর ২৫ জন শিক্ষানবিশ এএসপিকে শোকজ করা হয়। কুচকাওয়াজের মাত্র দুই দিন আগে, ২১ ফেব্রুয়ারি, তাদের মধ্যে ছয়জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। অবশেষে আজ, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ৪০তম বিসিএস ব্যাচের ৫৭ জন ও ৩৮তম বিসিএস ব্যাচের ৩ জনসহ মোট ৬০ জন প্রশিক্ষণার্থীর সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম, সারদা পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান ভূঞা, ১১ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার বগুড়া সেনানিবাস মেজর জেনারেল এস এম আসাদুল হক, রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জাওয়াদুল হক, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, অতিরিক্ত আইজি (এইচআরএম) আবু নাছের মোহাম্মদ খালেদ এবং রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা।