০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাইকো দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়া বেকসুর খালাস

সিনিয়র প্রতিবেদক
  • সময় ১২:১০:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 42

খালাস পেলেন খালেদা জিয়া

নাইকোর সঙ্গে ‘অস্বচ্ছ’ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৮ জনকে বেকসুর খালাসের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলমের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

২০০৭ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কানাডার কোম্পানি নাইকোর সাথে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রকে ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগে এই মামলা দায়ের করেছিল।

খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালেদা জিয়া সহ আট আসামির খালাস দিয়েছেন আদালত। তারা দাবি করেছেন যে, শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে দুদকের কর্মকর্তাদের দ্বারা দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করা হয়েছে, এবং ওই সময়ের দুদক কর্মকর্তাদের বিচার করা উচিত।

মামলার শুনানি ১৩ ফেব্রুয়ারি শেষে বিচারক রায় ঘোষণার দিন ১৯ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছিলেন। এ মামলায় ৬৮ সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গত ৫ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্য দেন।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর, রাজধানী ঢাকার তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতির মামলা দায়ের করা হয়। ২০০৮ সালের ৫ মে এই মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয়। গত বছর ১৯ মার্চ আদালত খালেদা জিয়া সহ আট আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠন করেছিলেন।

এ মামলায় খালেদা জিয়ার পাশাপাশি আরও যারা খালাস পেয়েছেন তারা হলেন— তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন এবং বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম।

শেয়ার করুন

নাইকো দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়া বেকসুর খালাস

সময় ১২:১০:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

নাইকোর সঙ্গে ‘অস্বচ্ছ’ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৮ জনকে বেকসুর খালাসের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলমের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

২০০৭ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কানাডার কোম্পানি নাইকোর সাথে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রকে ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগে এই মামলা দায়ের করেছিল।

খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালেদা জিয়া সহ আট আসামির খালাস দিয়েছেন আদালত। তারা দাবি করেছেন যে, শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে দুদকের কর্মকর্তাদের দ্বারা দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করা হয়েছে, এবং ওই সময়ের দুদক কর্মকর্তাদের বিচার করা উচিত।

মামলার শুনানি ১৩ ফেব্রুয়ারি শেষে বিচারক রায় ঘোষণার দিন ১৯ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছিলেন। এ মামলায় ৬৮ সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গত ৫ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্য দেন।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর, রাজধানী ঢাকার তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতির মামলা দায়ের করা হয়। ২০০৮ সালের ৫ মে এই মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয়। গত বছর ১৯ মার্চ আদালত খালেদা জিয়া সহ আট আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠন করেছিলেন।

এ মামলায় খালেদা জিয়ার পাশাপাশি আরও যারা খালাস পেয়েছেন তারা হলেন— তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন এবং বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম।