০৩:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দশ লাখে মুক্তি মিলেছে অপহৃত ২৫ শ্রমিকের

নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান
  • সময় ১২:২৫:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 26

শ্রমিক অপহরণ

বান্দরবানের লামা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে অপহৃত ২৫ জন রাবার শ্রমিককে দশ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে আনা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ভোরে লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী সীমান্তবর্তী মুরুং ঝিরিপাড়া এলাকায় অপহরণকারীরা তাদের ছেড়ে দেয়।

অপহৃত শ্রমিকদের মধ্যে নাম জানা গেছে— মো. ফারুক, মো. আইয়ুব আলী, মো. সিদ্দিক, মো. আব্দুল খালেক, আব্দুল মাজেদ, মনিরুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান, মো. মোবারক, মো. হারুন, সৈয়দ নূর, রমিজ উদ্দিন, মো. কায়সার, মো. মনির হোসেন, মো. ইমরান, মঞ্জুর, আফসার আলী, মো. খাইরুল আমিন, আবু বকর, আবদুর রাজ্জাক ও মো. মবিন। তারা কক্সবাজারের রামু ও ঈদগাহ এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাসিন্দা। বাকিদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাতে মুরুং ঝিরিপাড়া থেকে ২৬ জন রাবার শ্রমিককে অপহরণ করে নিয়ে যায় সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা। অভিযানের সময় পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে অপহরণকারীরা স্থান পরিবর্তন করতে থাকে। এ সময় ২৬ জনের মধ্যে একজন পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। বাকি ২৫ জনকে মুক্তিপণের বিনিময়ে মঙ্গলবার ভোরে ছেড়ে দেওয়া হয়।

রাবার কোম্পানির মালিক ফোরকান জানান, মুক্তিপণ হিসেবে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার পর শ্রমিকদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে ছেড়ে দেওয়ার আগে তাদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্য ঈদগাহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন বলেন, “ভোরে অপহৃত ২৫ জন শ্রমিককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”

বান্দরবান পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাউছার জানান, “অপহরণকারীরা শ্রমিকদের ছেড়ে দিয়েছে বলে খবর পেয়েছি। তারা বর্তমানে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন।”

উল্লেখ্য, এর আগে ১৪ জানুয়ারি গভীর রাতে দুর্গম বমুখাল এলাকায় সশস্ত্র পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা তিনটি খামার থেকে সাতজন তামাক শ্রমিক এবং ২ ফেব্রুয়ারি গজালিয়া ইউনিয়নের কমলা বাগান এলাকা থেকে আরও সাতজনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

শেয়ার করুন

দশ লাখে মুক্তি মিলেছে অপহৃত ২৫ শ্রমিকের

সময় ১২:২৫:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বান্দরবানের লামা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে অপহৃত ২৫ জন রাবার শ্রমিককে দশ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে আনা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ভোরে লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী সীমান্তবর্তী মুরুং ঝিরিপাড়া এলাকায় অপহরণকারীরা তাদের ছেড়ে দেয়।

অপহৃত শ্রমিকদের মধ্যে নাম জানা গেছে— মো. ফারুক, মো. আইয়ুব আলী, মো. সিদ্দিক, মো. আব্দুল খালেক, আব্দুল মাজেদ, মনিরুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান, মো. মোবারক, মো. হারুন, সৈয়দ নূর, রমিজ উদ্দিন, মো. কায়সার, মো. মনির হোসেন, মো. ইমরান, মঞ্জুর, আফসার আলী, মো. খাইরুল আমিন, আবু বকর, আবদুর রাজ্জাক ও মো. মবিন। তারা কক্সবাজারের রামু ও ঈদগাহ এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাসিন্দা। বাকিদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাতে মুরুং ঝিরিপাড়া থেকে ২৬ জন রাবার শ্রমিককে অপহরণ করে নিয়ে যায় সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা। অভিযানের সময় পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে অপহরণকারীরা স্থান পরিবর্তন করতে থাকে। এ সময় ২৬ জনের মধ্যে একজন পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। বাকি ২৫ জনকে মুক্তিপণের বিনিময়ে মঙ্গলবার ভোরে ছেড়ে দেওয়া হয়।

রাবার কোম্পানির মালিক ফোরকান জানান, মুক্তিপণ হিসেবে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার পর শ্রমিকদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে ছেড়ে দেওয়ার আগে তাদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্য ঈদগাহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন বলেন, “ভোরে অপহৃত ২৫ জন শ্রমিককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”

বান্দরবান পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাউছার জানান, “অপহরণকারীরা শ্রমিকদের ছেড়ে দিয়েছে বলে খবর পেয়েছি। তারা বর্তমানে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন।”

উল্লেখ্য, এর আগে ১৪ জানুয়ারি গভীর রাতে দুর্গম বমুখাল এলাকায় সশস্ত্র পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা তিনটি খামার থেকে সাতজন তামাক শ্রমিক এবং ২ ফেব্রুয়ারি গজালিয়া ইউনিয়নের কমলা বাগান এলাকা থেকে আরও সাতজনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।