০৩:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তসলিমার বই ঘিরে অস্থিরতা, স্টলের ভাগ্য অনিশ্চিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ০৯:০০:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 57

তসলিমার বই ঘিরে অস্থিরতা

বইমেলায় সব্যসাচী প্রকাশনীর স্টলে নির্বাসিত লেখক তসলিমা নাসরিনের বই রাখার অভিযোগে একদল বিক্ষুব্ধ লোকের রোষানলে পড়েন লেখক শতাব্দী ভব। পুলিশের হস্তক্ষেপে তাকে মেলা থেকে বের করে নেওয়া হয় এবং প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়। তবে স্টলের ভাগ্য এই মুহুর্তে নির্ধারণ করেনি বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। বইমেলা টাস্কফোর্সের বৈঠকের পরই সিদ্ধান্ত আসবে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় এ ঘটনা ঘটে, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, তসলিমা নাসরিনের বই বিক্রি হতে দেখে একদল লোক স্টলে এসে জড়ো হয়। তারা এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে শতাব্দী ভবের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে তিনি ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিলে উত্তেজিত জনতা তাকে মারতে উদ্যত হয় এবং কানে ধরে ক্ষমা চাইতে বলে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ হস্তক্ষেপ করে এবং তাকে সেখান থেকে সরিয়ে নেয়।

ঘটনার পর পুলিশ সাময়িকভাবে সব্যসাচী প্রকাশনীর স্টল বন্ধ করে দেয়। বইমেলা টাস্কফোর্সের আহ্বায়ক ড. সেলিম রেজা জানান, বিষয়টি ‘অত্যন্ত দুঃখজনক’ এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত টাস্কফোর্সের সভার পর নেওয়া হবে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম জানিয়েছেন, শতাব্দী ভবনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং সব্যসাচী স্টলটি বন্ধ রাখা হয়েছে।

এ ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, স্টলে উপস্থিত এক লেখককে জনতা ‘কান ধরে উঠবস করতে’ বলছেন।

এদিকে, সব্যসাচী প্রকাশনীর প্রকাশক মেহরান সানজানা অভিযোগ করেছেন, বইমেলার আয়োজক ও শাহবাগ থানার ওসি তসলিমা নাসরিনের ‘‘চুম্বন’’ বইটি সরিয়ে ফেলতে বলেছেন, যা বাধ্য হয়ে করতে হয়েছে।

শেয়ার করুন

তসলিমার বই ঘিরে অস্থিরতা, স্টলের ভাগ্য অনিশ্চিত

সময় ০৯:০০:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বইমেলায় সব্যসাচী প্রকাশনীর স্টলে নির্বাসিত লেখক তসলিমা নাসরিনের বই রাখার অভিযোগে একদল বিক্ষুব্ধ লোকের রোষানলে পড়েন লেখক শতাব্দী ভব। পুলিশের হস্তক্ষেপে তাকে মেলা থেকে বের করে নেওয়া হয় এবং প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়। তবে স্টলের ভাগ্য এই মুহুর্তে নির্ধারণ করেনি বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। বইমেলা টাস্কফোর্সের বৈঠকের পরই সিদ্ধান্ত আসবে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় এ ঘটনা ঘটে, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, তসলিমা নাসরিনের বই বিক্রি হতে দেখে একদল লোক স্টলে এসে জড়ো হয়। তারা এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে শতাব্দী ভবের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে তিনি ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিলে উত্তেজিত জনতা তাকে মারতে উদ্যত হয় এবং কানে ধরে ক্ষমা চাইতে বলে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ হস্তক্ষেপ করে এবং তাকে সেখান থেকে সরিয়ে নেয়।

ঘটনার পর পুলিশ সাময়িকভাবে সব্যসাচী প্রকাশনীর স্টল বন্ধ করে দেয়। বইমেলা টাস্কফোর্সের আহ্বায়ক ড. সেলিম রেজা জানান, বিষয়টি ‘অত্যন্ত দুঃখজনক’ এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত টাস্কফোর্সের সভার পর নেওয়া হবে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম জানিয়েছেন, শতাব্দী ভবনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং সব্যসাচী স্টলটি বন্ধ রাখা হয়েছে।

এ ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, স্টলে উপস্থিত এক লেখককে জনতা ‘কান ধরে উঠবস করতে’ বলছেন।

এদিকে, সব্যসাচী প্রকাশনীর প্রকাশক মেহরান সানজানা অভিযোগ করেছেন, বইমেলার আয়োজক ও শাহবাগ থানার ওসি তসলিমা নাসরিনের ‘‘চুম্বন’’ বইটি সরিয়ে ফেলতে বলেছেন, যা বাধ্য হয়ে করতে হয়েছে।