১২:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন

টিউলিপের বিষয়ে বৃটিশ গোয়েন্দাদের তথ্য দিচ্ছে ঢাকা!

নিউজ ডেস্ক
  • সময় ১১:০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 53

টিউলিপ সিদ্দিক

সপ্তাহ না ঘুরতে ফের আলোচনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি ও যুক্তরাজ্যের সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। বৃটিশ এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বৃটেনের গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ)।

বৃটিশ সংবাদমাধ্যম – ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

 

 

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দারা ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সফর করেছেন। সংস্থাটি বাংলাদেশের দুর্নীতিবিরোধী তদন্তকারীদের সঙ্গে একটি গোপন বৈঠকও করেছে। যে বৈঠকের আয়োজন করে ঢাকাস্থ বৃটিশ হাইকমিশন।

 

বৈঠকে বৃটিশ গোয়েন্দাদের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে টিউলিপের দুর্নীতি নিয়ে নতুন তথ্য-প্রমাণ সরবরাহ করা হয়।

 

প্রতিবেদনে জানানো হয়,  গত ৫ আগস্ট টিউলিপের খালা শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বৃটিশ গোয়েন্দারা দুইবার ঢাকা সফর করেছেন।

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুই ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির কাছ থেকে লন্ডনে যথাক্রমে ৭ লাখ ও ৬ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড মূল্যের দুটি ফ্ল্যাট উপহার পাওয়ার অভিযোগ ওঠার পর এরইমধ্যে মন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন টিউলিপ। টিউলিপ ঘনিষ্টরা দাবি করছেন, মূলত তদন্তকাজে সহায়তা করার জন্যই তিনি পদত্যাগ করেছেন।

মন্ত্রীপদ থেকে পদত্যাগের পর সংসদ সদস্য পদ থেকেও তার পদত্যোগের দাবি ওঠে। এরই মধ্যে বাংলাদেশেও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত শুরু করেছে।

এ অবস্থায় টিউলিপ সিদ্দিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ইমেইল রেকর্ড এবং এমনকি তাঁকে জিজ্ঞসাবাদের জন্য ডাকা হতে পারে বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

 

 

আলোকচিত্রটি ২০১৩ সালে তোলা - ছবি: সংগৃহীত
আলোকচিত্রটি ২০১৩ সালে তোলা

টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ২০১৩ সালে বাংলাদেশে বেশি অর্থ ব্যয়ে একটি নতুন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছিলেন। এই চুক্তি থেকে তিনি ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ৫৭ হাজার কোটি টাকা) আত্মসাৎ করেছেন বলে দাবি করা হয়েছে। ওই চুক্তির সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একটি ছবিও তোলেন টিউলিপ।

 

বাংলাদেশ সরকারের সূত্র জানায়, বৈঠকে এনসিএর প্রতিনিধি দল আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী টিউলিপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আনা অভিযোগ তদন্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে।

 

ওই সূত্র আরও জানায়, এনসিএ যুক্তরাজ্যের হ্যাম্পস্টেড এবং হাইগেট এমপির বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টাও করতে পারে।

 

যুক্তরাজ্যের আইন অনুযায়ী, দেশটির কোনো নাগরিক বিদেশে দুর্নীতি করলে তাঁর ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

শেয়ার করুন

ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন

টিউলিপের বিষয়ে বৃটিশ গোয়েন্দাদের তথ্য দিচ্ছে ঢাকা!

সময় ১১:০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সপ্তাহ না ঘুরতে ফের আলোচনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি ও যুক্তরাজ্যের সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। বৃটিশ এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বৃটেনের গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ)।

বৃটিশ সংবাদমাধ্যম – ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

 

 

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দারা ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সফর করেছেন। সংস্থাটি বাংলাদেশের দুর্নীতিবিরোধী তদন্তকারীদের সঙ্গে একটি গোপন বৈঠকও করেছে। যে বৈঠকের আয়োজন করে ঢাকাস্থ বৃটিশ হাইকমিশন।

 

বৈঠকে বৃটিশ গোয়েন্দাদের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে টিউলিপের দুর্নীতি নিয়ে নতুন তথ্য-প্রমাণ সরবরাহ করা হয়।

 

প্রতিবেদনে জানানো হয়,  গত ৫ আগস্ট টিউলিপের খালা শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বৃটিশ গোয়েন্দারা দুইবার ঢাকা সফর করেছেন।

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুই ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির কাছ থেকে লন্ডনে যথাক্রমে ৭ লাখ ও ৬ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড মূল্যের দুটি ফ্ল্যাট উপহার পাওয়ার অভিযোগ ওঠার পর এরইমধ্যে মন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন টিউলিপ। টিউলিপ ঘনিষ্টরা দাবি করছেন, মূলত তদন্তকাজে সহায়তা করার জন্যই তিনি পদত্যাগ করেছেন।

মন্ত্রীপদ থেকে পদত্যাগের পর সংসদ সদস্য পদ থেকেও তার পদত্যোগের দাবি ওঠে। এরই মধ্যে বাংলাদেশেও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত শুরু করেছে।

এ অবস্থায় টিউলিপ সিদ্দিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ইমেইল রেকর্ড এবং এমনকি তাঁকে জিজ্ঞসাবাদের জন্য ডাকা হতে পারে বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

 

 

আলোকচিত্রটি ২০১৩ সালে তোলা - ছবি: সংগৃহীত
আলোকচিত্রটি ২০১৩ সালে তোলা

টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ২০১৩ সালে বাংলাদেশে বেশি অর্থ ব্যয়ে একটি নতুন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছিলেন। এই চুক্তি থেকে তিনি ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ৫৭ হাজার কোটি টাকা) আত্মসাৎ করেছেন বলে দাবি করা হয়েছে। ওই চুক্তির সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একটি ছবিও তোলেন টিউলিপ।

 

বাংলাদেশ সরকারের সূত্র জানায়, বৈঠকে এনসিএর প্রতিনিধি দল আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী টিউলিপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আনা অভিযোগ তদন্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে।

 

ওই সূত্র আরও জানায়, এনসিএ যুক্তরাজ্যের হ্যাম্পস্টেড এবং হাইগেট এমপির বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টাও করতে পারে।

 

যুক্তরাজ্যের আইন অনুযায়ী, দেশটির কোনো নাগরিক বিদেশে দুর্নীতি করলে তাঁর ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।