০৪:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টার্গেটে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী

আল আসকারী
  • সময় ১১:৫৫:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 28

টার্গেটে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী

নিরাপত্তাহীনতা, সন্ত্রাস, এবং প্রাণহানি এ যেন পাকিস্তানের নিত্যদিনের বাস্তবতা হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটিতে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে জাতিগত সংহিতার ঘটনা নতুন নয়। বেশ কয়েকটি প্রদেশ স্বয়ত্তশাসন ও কেউ কেউ পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে পৃথক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যেও দীর্ঘ বছর ধরে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।

এসব গোষ্ঠীর অনেকেই স্বশস্ত্র আন্দোলনের পথেও রয়েছে দীর্ঘ দিনের। যাদের সামাল দিতে সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারকে। প্রতিবেশি ভারত, আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে এসব সংগঠনকে মদদ দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে।

বিগত এক দশকের মধ্যে পাকিস্তানে সবচেয়ে ভয়াবহ বছর ছিলো ২০২৪। পাকিস্তানের সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (CRSS) এর তথ্যমতে, পুরো বছর জুড়ে ৯০৯টি সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২,৫৪৬ জন মানুষ। আহত হয়েছেন আরও দুই হাজার ২৬৭ জন।

সিআরএসএস’র তথ্য অনুযায়ি, গত বছর প্রতিদিন দেশটিতে দুইটির বেশি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। যাতে মারা গেছেন প্রতিদিন গড়ে ৭জন। ২০১৪ সালের পর এটি ছিলো দেশটিতে সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসী হামলার পরিসংখ্যান।

প্রতিবেদন অনুযায়ি, সন্ত্রাসী হামলার শীর্ষে ছিলো দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তান প্রদেশ। গত বছর এই দুই অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি হামলা চালিয়েছে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (TTP) এবং বেলুচ লিবারেশন আর্মি (BLA)।

পাকিস্তান সরকারের দাবি, নিরাপত্তা বাহিনী ছিল এই হামলার প্রধান লক্ষ্যবস্তু। শুধুমাত্র ২০২৪ সালেই ৬৮৫ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছেন।

২০২৫ সালের প্রথম দেড় মাসেই পাকিস্তানে একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এরই মধ্যে দেশটিতে অন্তত চারটি বড় ধরনের বোমা হামলা হয়েছে।

১৪ ফেব্রুয়ারি, বেলুচিস্তানের হারনাই জেলায় একটি গাড়ির ওপর বোমা হামলা চালানো হয়। এতে অন্তত ১১ জন নিহত ও ৬ জন আহত হন। এর মাত্র কয়েকদিন আগেই, ৮ ফেব্রুয়ারি খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বান্ন শহরে পুলিশের একটি চেকপোস্টে সন্ত্রাসী হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন।

সিআরএসএস’র তথ্য অনুযায়ি, ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসেই সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা পূর্ববর্তী মাসের তুলনায় ব্যাপকভাবে বেশি।

কেন পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদ এত ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে? বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় জঙ্গিদের সক্রিয় উপস্থিতি এর মূল কারণ

শেয়ার করুন

টার্গেটে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী

সময় ১১:৫৫:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

নিরাপত্তাহীনতা, সন্ত্রাস, এবং প্রাণহানি এ যেন পাকিস্তানের নিত্যদিনের বাস্তবতা হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটিতে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে জাতিগত সংহিতার ঘটনা নতুন নয়। বেশ কয়েকটি প্রদেশ স্বয়ত্তশাসন ও কেউ কেউ পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে পৃথক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যেও দীর্ঘ বছর ধরে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।

এসব গোষ্ঠীর অনেকেই স্বশস্ত্র আন্দোলনের পথেও রয়েছে দীর্ঘ দিনের। যাদের সামাল দিতে সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারকে। প্রতিবেশি ভারত, আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে এসব সংগঠনকে মদদ দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে।

বিগত এক দশকের মধ্যে পাকিস্তানে সবচেয়ে ভয়াবহ বছর ছিলো ২০২৪। পাকিস্তানের সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (CRSS) এর তথ্যমতে, পুরো বছর জুড়ে ৯০৯টি সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২,৫৪৬ জন মানুষ। আহত হয়েছেন আরও দুই হাজার ২৬৭ জন।

সিআরএসএস’র তথ্য অনুযায়ি, গত বছর প্রতিদিন দেশটিতে দুইটির বেশি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। যাতে মারা গেছেন প্রতিদিন গড়ে ৭জন। ২০১৪ সালের পর এটি ছিলো দেশটিতে সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসী হামলার পরিসংখ্যান।

প্রতিবেদন অনুযায়ি, সন্ত্রাসী হামলার শীর্ষে ছিলো দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তান প্রদেশ। গত বছর এই দুই অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি হামলা চালিয়েছে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (TTP) এবং বেলুচ লিবারেশন আর্মি (BLA)।

পাকিস্তান সরকারের দাবি, নিরাপত্তা বাহিনী ছিল এই হামলার প্রধান লক্ষ্যবস্তু। শুধুমাত্র ২০২৪ সালেই ৬৮৫ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছেন।

২০২৫ সালের প্রথম দেড় মাসেই পাকিস্তানে একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এরই মধ্যে দেশটিতে অন্তত চারটি বড় ধরনের বোমা হামলা হয়েছে।

১৪ ফেব্রুয়ারি, বেলুচিস্তানের হারনাই জেলায় একটি গাড়ির ওপর বোমা হামলা চালানো হয়। এতে অন্তত ১১ জন নিহত ও ৬ জন আহত হন। এর মাত্র কয়েকদিন আগেই, ৮ ফেব্রুয়ারি খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বান্ন শহরে পুলিশের একটি চেকপোস্টে সন্ত্রাসী হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন।

সিআরএসএস’র তথ্য অনুযায়ি, ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসেই সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা পূর্ববর্তী মাসের তুলনায় ব্যাপকভাবে বেশি।

কেন পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদ এত ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে? বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় জঙ্গিদের সক্রিয় উপস্থিতি এর মূল কারণ