০৩:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিলে উত্তাল সাতক্ষীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা
  • সময় ০৭:০০:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 32

জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিলে উত্তাল সাতক্ষীরা

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে সাতক্ষীরায় বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে উত্তাল বিক্ষোভ মিছিলটি সাতক্ষীরা খুলনা রোড মোড় সংলগ্ন আসিব চত্ত্বর থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মাঠে শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক আব্দুল খালেক। একই সময় শহরের চারটি প্রবেশপথ থেকে পৃথক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। সমাবেশে বক্তৃতা করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও সাতক্ষীরা জামায়াতের সাবেক আমীর রবিউল বাশার, সাবেক এমপি গাজী নজরুল ইসলাম, জেলা নায়েবে আমীর শেখ নূরুল হুদা, সহকারী সেক্রেটারী মাহবুবুর রহমান, শিবির নেতৃবৃন্দ সহ জামায়াত ও শিবিরের বিশাল এক দল নেতা-কর্মী।

সমাবেশে প্রধান বক্তা আব্দুল খালেক বলেন, “বর্তমান সরকার সৃষ্ট শ্বাসরোধী পরিস্থিতির কারণে জামায়াত এখন রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত অবৈধভাবে আটক থাকা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি না হওয়া দেশবাসীকে অবাক করেছে। সরকার মিথ্যা মামলায় তাঁকে আটকে রেখেছে, যা এক চরম জুলুম।”

বক্তারা এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করেন এবং জানান, তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষীদের দেওয়া মিথ্যা সাক্ষ্য ও অসম্পূর্ণ তথ্যের ভিত্তিতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বিশেষত, এক সাক্ষী নিজেকে আজহারুল ইসলামের ক্লাসমেট দাবি করেছিলেন, যদিও ওই সময় তিনি কলেজ ত্যাগ করেছিলেন এবং সাক্ষী কলেজে ভর্তি হন পরে।

সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর শহিদুল ইসলাম মুকুল সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশের বিচারব্যবস্থা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিতর্কিত হয়ে পড়েছে। জামায়াতের নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার ভিত্তিতে চালানো অত্যাচারের মাত্রা বাড়ছে। আজহারুল ইসলামকে কারাগারে আটকে রাখা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।”

বক্তারা দাবি জানান যে, অবিলম্বে এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দেয়া হোক এবং দেশের জনগণকে স্বৈরাচারের হাত থেকে মুক্তি দেয়া হোক।

বিক্ষোভ মিছিলে লক্ষাধিক জামায়াত শিবির কর্মী অংশগ্রহণ করেন এবং তারা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে সরকারের প্রতি প্রতিবাদ জানান। এটি ছিল সাতক্ষীরায় জামায়াতের অন্যতম বৃহত্তম প্রতিবাদ কর্মসূচি, যা আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে জনগণের মধ্যে ব্যাপক সহানুভূতি ও সমর্থন সৃষ্টি করেছে।

শেয়ার করুন

জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিলে উত্তাল সাতক্ষীরা

সময় ০৭:০০:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে সাতক্ষীরায় বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে উত্তাল বিক্ষোভ মিছিলটি সাতক্ষীরা খুলনা রোড মোড় সংলগ্ন আসিব চত্ত্বর থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মাঠে শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক আব্দুল খালেক। একই সময় শহরের চারটি প্রবেশপথ থেকে পৃথক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। সমাবেশে বক্তৃতা করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও সাতক্ষীরা জামায়াতের সাবেক আমীর রবিউল বাশার, সাবেক এমপি গাজী নজরুল ইসলাম, জেলা নায়েবে আমীর শেখ নূরুল হুদা, সহকারী সেক্রেটারী মাহবুবুর রহমান, শিবির নেতৃবৃন্দ সহ জামায়াত ও শিবিরের বিশাল এক দল নেতা-কর্মী।

সমাবেশে প্রধান বক্তা আব্দুল খালেক বলেন, “বর্তমান সরকার সৃষ্ট শ্বাসরোধী পরিস্থিতির কারণে জামায়াত এখন রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত অবৈধভাবে আটক থাকা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি না হওয়া দেশবাসীকে অবাক করেছে। সরকার মিথ্যা মামলায় তাঁকে আটকে রেখেছে, যা এক চরম জুলুম।”

বক্তারা এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করেন এবং জানান, তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষীদের দেওয়া মিথ্যা সাক্ষ্য ও অসম্পূর্ণ তথ্যের ভিত্তিতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বিশেষত, এক সাক্ষী নিজেকে আজহারুল ইসলামের ক্লাসমেট দাবি করেছিলেন, যদিও ওই সময় তিনি কলেজ ত্যাগ করেছিলেন এবং সাক্ষী কলেজে ভর্তি হন পরে।

সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর শহিদুল ইসলাম মুকুল সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশের বিচারব্যবস্থা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিতর্কিত হয়ে পড়েছে। জামায়াতের নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার ভিত্তিতে চালানো অত্যাচারের মাত্রা বাড়ছে। আজহারুল ইসলামকে কারাগারে আটকে রাখা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।”

বক্তারা দাবি জানান যে, অবিলম্বে এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দেয়া হোক এবং দেশের জনগণকে স্বৈরাচারের হাত থেকে মুক্তি দেয়া হোক।

বিক্ষোভ মিছিলে লক্ষাধিক জামায়াত শিবির কর্মী অংশগ্রহণ করেন এবং তারা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে সরকারের প্রতি প্রতিবাদ জানান। এটি ছিল সাতক্ষীরায় জামায়াতের অন্যতম বৃহত্তম প্রতিবাদ কর্মসূচি, যা আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে জনগণের মধ্যে ব্যাপক সহানুভূতি ও সমর্থন সৃষ্টি করেছে।