ঢাকা ০৯:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘চাইলেও রাজাকারের তালিকা করা যাবে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ১২:৪৪:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 21

রাজাকার

অন্তর্বতীকালীন সকরারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীর প্রতীক) বলেছেন, চাইলেও রাজাকারের তালিকা করা যাবে না। আওয়ামী লীগ আমলের করে যাওয়া রাজাকারদের তালিকা তখনই স্থগিত করা হয়েছিল। এছাড়া রাজাকারের তালিকা সংক্রান্ত কোনো ফাইল এখনো পাননি তিনি। আরো কয়েকটি সুনির্দিষ্ট কারণ বলেছেন, কেন রাজাকারের তালিকা চাইলেও করা যাবে না।

২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। তবে ঘোষিত তালিকায় অনেক মুক্তিযোদ্ধার নাম রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। বিতর্কের মুখে রাজাকারের তালিকা স্থগিত করা হয়।

পরে স্বাধীনতার বিরোধিতাকারীদের তালিকা করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০২২’ করা হয়। এর আগে রাজাকারের তালিকা করতে সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানের নেতৃত্বে সংসদীয় সাব-কমিটি গঠন করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীর প্রতীক) বলেন, ‘রাজাকারের তালিকার বিষয়ে আমার জানা নেই। আমি এসে মন্ত্রণালয়ের এ বিষয়ে কোনো ফাইল পাইনি। আমরা কাছেও আসেনি। মন্ত্রণালয়ের রাজাকারের তালিকার বিষয়ে কোনো বৃত্তান্ত নেই।’

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীর প্রতীক)
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীর প্রতীক)

তিনি বলেন, ‘রাজাকারের তালিকা করতে চাইলেও করা যাবে না। যে রকম মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা চূড়ান্ত করা যাচ্ছে না। অত্যন্ত কঠিন বিষয়। বাস্তব অস্বীকার করে তো আমরা কিছু করতে পারবো না। ৫০ বছর আগের একটা ঘটনা, কোথাও কে আছে না আছে, কার কাছ থেকে কী রকম বাস্তব নথি পেয়ে আমরা এগুলো করবো। এগুলো মনে হয় অনেক দুরূহ কাজ ও বিষয় হবে।’

সচিব ইসরাত চৌধুরী বলেন, ‘আমি এক দেড় বছর ধরে এ মন্ত্রণালয়ে আছি। শুনেছি আমাদের আগের মন্ত্রী মহোদয় বলতেন- তালিকা শাজাহান খান সাহেব করছেন, আর শাজাহান খান সাহেব বলছেন আমি মন্ত্রণালয়কে দিয়ে দিয়েছি। আমিও এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে কোনো কিছু দেখিনি। আমাদের এখানে এ বিষয়ে কিছু নেই।’

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘ব্যাপকভাবে যারা রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন তাদের প্রবল আপত্তি আছে সবাইকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য করার ক্ষেত্রে। এজন্য মুক্তিযোদ্ধার যে সূত্র (সংজ্ঞা) সেটাতেও পরিবর্তন আনা দরকার। এজন্য আইন সংশোধনের দরকার আছে। উপদেষ্টা পরিষদে বিষয়টি উত্থাপন হবে তারা যেটা সিদ্ধান্ত দিয়ে নির্ণয় করে দেবেন, ওই অনুসারে আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রেণিবিন্যাসটা করতে পারবো

 

শেয়ার করুন

‘চাইলেও রাজাকারের তালিকা করা যাবে না’

সময় ১২:৪৪:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪

অন্তর্বতীকালীন সকরারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীর প্রতীক) বলেছেন, চাইলেও রাজাকারের তালিকা করা যাবে না। আওয়ামী লীগ আমলের করে যাওয়া রাজাকারদের তালিকা তখনই স্থগিত করা হয়েছিল। এছাড়া রাজাকারের তালিকা সংক্রান্ত কোনো ফাইল এখনো পাননি তিনি। আরো কয়েকটি সুনির্দিষ্ট কারণ বলেছেন, কেন রাজাকারের তালিকা চাইলেও করা যাবে না।

২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। তবে ঘোষিত তালিকায় অনেক মুক্তিযোদ্ধার নাম রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। বিতর্কের মুখে রাজাকারের তালিকা স্থগিত করা হয়।

পরে স্বাধীনতার বিরোধিতাকারীদের তালিকা করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০২২’ করা হয়। এর আগে রাজাকারের তালিকা করতে সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানের নেতৃত্বে সংসদীয় সাব-কমিটি গঠন করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীর প্রতীক) বলেন, ‘রাজাকারের তালিকার বিষয়ে আমার জানা নেই। আমি এসে মন্ত্রণালয়ের এ বিষয়ে কোনো ফাইল পাইনি। আমরা কাছেও আসেনি। মন্ত্রণালয়ের রাজাকারের তালিকার বিষয়ে কোনো বৃত্তান্ত নেই।’

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীর প্রতীক)
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীর প্রতীক)

তিনি বলেন, ‘রাজাকারের তালিকা করতে চাইলেও করা যাবে না। যে রকম মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা চূড়ান্ত করা যাচ্ছে না। অত্যন্ত কঠিন বিষয়। বাস্তব অস্বীকার করে তো আমরা কিছু করতে পারবো না। ৫০ বছর আগের একটা ঘটনা, কোথাও কে আছে না আছে, কার কাছ থেকে কী রকম বাস্তব নথি পেয়ে আমরা এগুলো করবো। এগুলো মনে হয় অনেক দুরূহ কাজ ও বিষয় হবে।’

সচিব ইসরাত চৌধুরী বলেন, ‘আমি এক দেড় বছর ধরে এ মন্ত্রণালয়ে আছি। শুনেছি আমাদের আগের মন্ত্রী মহোদয় বলতেন- তালিকা শাজাহান খান সাহেব করছেন, আর শাজাহান খান সাহেব বলছেন আমি মন্ত্রণালয়কে দিয়ে দিয়েছি। আমিও এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে কোনো কিছু দেখিনি। আমাদের এখানে এ বিষয়ে কিছু নেই।’

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘ব্যাপকভাবে যারা রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন তাদের প্রবল আপত্তি আছে সবাইকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য করার ক্ষেত্রে। এজন্য মুক্তিযোদ্ধার যে সূত্র (সংজ্ঞা) সেটাতেও পরিবর্তন আনা দরকার। এজন্য আইন সংশোধনের দরকার আছে। উপদেষ্টা পরিষদে বিষয়টি উত্থাপন হবে তারা যেটা সিদ্ধান্ত দিয়ে নির্ণয় করে দেবেন, ওই অনুসারে আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রেণিবিন্যাসটা করতে পারবো