০৩:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পুলিশের অবস্থান

ঘোষিত কর্মসূচী পালন করেনি জাতীয় পার্টি

নিউজ ডেস্ক
  • সময় ০৫:৩২:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪
  • / 296

পুলিশ

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক অবস্থানের কারনে শেষ পর্যন্ত পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচী পালন করতে পারেনি জাতীয় পার্টি কিংবা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুরের আগেই বিপুল সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কাকরাইলে জাতীয় পার্টি কার্যালয়ের সামনে ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থান নেয়।

উৎসুক লোকজন সেখানে ভিড় জমানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।

‘রাজধানীর পাইওনিয়ার রোড ও কাকরাইলসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় যেকোনও ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
এছাড়া আজ শনিবার সেখানে পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় পার্টি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
পরে দুই পক্ষই কর্মসূচি স্থগিত করেছে শুনেছি। যেহেতু এসব এলাকায় যেকোনও ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, এরপরও
কেউ যদি সেখানে কোনও কর্মসূচি পালন করতে চায়, সে আশঙ্কা থেকে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে সামনে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
ওই এলাকায় যেকোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
এর আগে গত ৩১ অক্টোবর সন্ধ্যায় রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র, শ্রমিক ও জনতা’ ব্যানারে একদল লোক একটি মিছিল নিয়ে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যায়।
এ সময় সেখানে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে আগুন দেওয়া হয়।
দুই পক্ষই দাবি করেছে, তাদের ওপর আগে হামলা হয়েছে।
ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র, শ্রমিক ও জনতার ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মশাল মিছিল কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিলেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা।
মিছিলটি শাহবাগ হয়ে বিজয়নগরে যায়। সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসর জাতীয় পার্টির
রাজনৈতিক অপতৎপরতা ও দেশবিরোধী চক্রান্তের’ প্রতিবাদে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র শ্রমিক জনতা’র ব্যানারে শিক্ষার্থীরা মশাল মিছিল বের করেন।
জাতীয় পার্টির কার্যালয় ঘেরাও করতে বিজয়নগরে যায় মিছিলকারীরা। সেখানে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের মুখোমুখি অবস্থানের ফলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

শেয়ার করুন

পুলিশের অবস্থান

ঘোষিত কর্মসূচী পালন করেনি জাতীয় পার্টি

সময় ০৫:৩২:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক অবস্থানের কারনে শেষ পর্যন্ত পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচী পালন করতে পারেনি জাতীয় পার্টি কিংবা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুরের আগেই বিপুল সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কাকরাইলে জাতীয় পার্টি কার্যালয়ের সামনে ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থান নেয়।

উৎসুক লোকজন সেখানে ভিড় জমানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।

‘রাজধানীর পাইওনিয়ার রোড ও কাকরাইলসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় যেকোনও ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
এছাড়া আজ শনিবার সেখানে পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় পার্টি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
পরে দুই পক্ষই কর্মসূচি স্থগিত করেছে শুনেছি। যেহেতু এসব এলাকায় যেকোনও ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, এরপরও
কেউ যদি সেখানে কোনও কর্মসূচি পালন করতে চায়, সে আশঙ্কা থেকে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে সামনে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
ওই এলাকায় যেকোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
এর আগে গত ৩১ অক্টোবর সন্ধ্যায় রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র, শ্রমিক ও জনতা’ ব্যানারে একদল লোক একটি মিছিল নিয়ে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যায়।
এ সময় সেখানে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে আগুন দেওয়া হয়।
দুই পক্ষই দাবি করেছে, তাদের ওপর আগে হামলা হয়েছে।
ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র, শ্রমিক ও জনতার ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মশাল মিছিল কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিলেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা।
মিছিলটি শাহবাগ হয়ে বিজয়নগরে যায়। সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসর জাতীয় পার্টির
রাজনৈতিক অপতৎপরতা ও দেশবিরোধী চক্রান্তের’ প্রতিবাদে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র শ্রমিক জনতা’র ব্যানারে শিক্ষার্থীরা মশাল মিছিল বের করেন।
জাতীয় পার্টির কার্যালয় ঘেরাও করতে বিজয়নগরে যায় মিছিলকারীরা। সেখানে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের মুখোমুখি অবস্থানের ফলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।