০২:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গৃহবধূ হত্যা নিয়ে উত্তাল রায়পুরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রায়পুরা
  • সময় ০৩:০৫:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 279

গৃহবধুর শান্তা হত্যার প্রতিবাদ

নরসিংদীর রায়পুরায় গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের কারণে গুলি করে হত্যা করা হয় গৃহবধূ শান্তা ইসলাম (২৪)কে। ঘটনার ৯ দিন পরও হত্যা মামলার প্রধান আসামি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানোয় থানা ঘেরাও করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারে ৭২ ঘন্টার সময় নেয়া হয়েছে।

শান্তা হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামী জেলা যুবদলের সদস্য সোহেল ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার এবং বিচারের দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন এবং থানা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করে।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রায়পুরা পৌরসভা মাঠে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল কুদ্দুসের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়, যা রায়পুরা বাজার হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে রায়পুরা থানা প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে থানার অফিসার ইনচার্জের কাছে আসামী গ্রেপ্তারের জন্য ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।

গৃহবধুর শান্তা হত্যার প্রতিবাদ
গৃহবধুর শান্তা হত্যার প্রতিবাদ

মানববন্ধনে নিহত শান্তার স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন, শান্তা দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের জেরে সন্ত্রাসী সোহেল ও তার বাহিনী তাকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করেছে। ৯ দিন পার হলেও সোহেলকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, এবং সে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সোহেলকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

নিহতের বাবা আহসান উল্লাহ বলেন, “সোহেল ও তার বাহিনী আমাদের বাড়িঘর লুটপাট করে শান্তাকে হত্যা করেছে। শান্তা বিএ অনার্স পাস করেছিল এবং অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। আমরা তার হত্যার বিচার চাই।”

রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আদিল মাহমুদ জানান, প্রাথমিক তদন্তে শান্তার হত্যার জন্য সোহেলকে দায়ী করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য রায়পুরা থানা পুলিশ, র‌্যাব এবং গোয়েন্দা পুলিশ সক্রিয় রয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সোহেলকে গ্রেপ্তার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি এবং এজন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে বিশেষ অভিযানের আবেদন করা হয়েছে।”

প্রসঙ্গত, গত ৭ ফেব্রুয়ারি রায়পুরার শ্রীনগর ইউনিয়নের চরাঞ্চলে পূর্ব শত্রুতার জেরে গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বে শান্তা ইসলাম গুলিতে নিহত হন। সোহেল মিয়া ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ তুলে ৮ ফেব্রুয়ারি  মামলা দায়ের করেন শান্তার বাবা।

শেয়ার করুন

গৃহবধূ হত্যা নিয়ে উত্তাল রায়পুরা

সময় ০৩:০৫:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

নরসিংদীর রায়পুরায় গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের কারণে গুলি করে হত্যা করা হয় গৃহবধূ শান্তা ইসলাম (২৪)কে। ঘটনার ৯ দিন পরও হত্যা মামলার প্রধান আসামি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানোয় থানা ঘেরাও করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারে ৭২ ঘন্টার সময় নেয়া হয়েছে।

শান্তা হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামী জেলা যুবদলের সদস্য সোহেল ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার এবং বিচারের দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন এবং থানা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করে।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রায়পুরা পৌরসভা মাঠে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল কুদ্দুসের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়, যা রায়পুরা বাজার হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে রায়পুরা থানা প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে থানার অফিসার ইনচার্জের কাছে আসামী গ্রেপ্তারের জন্য ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।

গৃহবধুর শান্তা হত্যার প্রতিবাদ
গৃহবধুর শান্তা হত্যার প্রতিবাদ

মানববন্ধনে নিহত শান্তার স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন, শান্তা দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের জেরে সন্ত্রাসী সোহেল ও তার বাহিনী তাকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করেছে। ৯ দিন পার হলেও সোহেলকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, এবং সে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সোহেলকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

নিহতের বাবা আহসান উল্লাহ বলেন, “সোহেল ও তার বাহিনী আমাদের বাড়িঘর লুটপাট করে শান্তাকে হত্যা করেছে। শান্তা বিএ অনার্স পাস করেছিল এবং অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। আমরা তার হত্যার বিচার চাই।”

রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আদিল মাহমুদ জানান, প্রাথমিক তদন্তে শান্তার হত্যার জন্য সোহেলকে দায়ী করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য রায়পুরা থানা পুলিশ, র‌্যাব এবং গোয়েন্দা পুলিশ সক্রিয় রয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সোহেলকে গ্রেপ্তার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি এবং এজন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে বিশেষ অভিযানের আবেদন করা হয়েছে।”

প্রসঙ্গত, গত ৭ ফেব্রুয়ারি রায়পুরার শ্রীনগর ইউনিয়নের চরাঞ্চলে পূর্ব শত্রুতার জেরে গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বে শান্তা ইসলাম গুলিতে নিহত হন। সোহেল মিয়া ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ তুলে ৮ ফেব্রুয়ারি  মামলা দায়ের করেন শান্তার বাবা।