১১:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পুলিশের গাফিলতি

গৃহবধূ শান্তাহত্যা: সন্ত্রাসী সোহেলের তাণ্ডব চলছেই

নিজস্ব প্রতিবেদক, রায়পুরা (নরসিংদী)
  • সময় ০২:৫৪:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 442

গৃহবধূ শান্তাহত্যা :সন্ত্রাসী সোহেলের তাণ্ডব চলছেই

নরসিংদীর রায়পুরার আলোচিত গৃহবধূ শান্তা ইসলামের হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি সোহেলসহ অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে ব্যর্থ হচ্ছে পুলিশ। বিষয়টিকে পুলিশের গাফিলতি হিসাবেই দেখছেন ভুক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসী। সোহেল ও তার বাহিনী এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাদের খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। থেমে নেই সন্ত্রাসী সোহেল বাহিনীর তাণ্ডব

গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে আবারোও সোহেলের নেতৃত্ব শান্তা ইসলামের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। পাশাপাশি শ্রীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসীর দাবি, সোহেল কি প্রশাসনের সঙ্গে আঁতাত করে গ্রেপ্তার ছাড়াই এলাকায় ঘুরছে? নাকি কোন অদৃশ্য শক্তির আশীর্বাদে তিনি পুলিশের কাছে অজ্ঞাত রয়ে গেছেন?

গত ৭ ফেব্রুয়ারি, পূর্ব শত্রুতা ও গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের জেরে শ্রীনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াজ মোর্শেদ খান রাসেলের বাড়িতে সোহেলসহ ১০-১২ জন বাহিনী হামলা চালায়। হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন গৃহবধূ শান্তা ইসলাম, যিনি শ্রীনগর ইউপি চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাই শাকিল খানের স্ত্রী। এই হত্যাকাণ্ডে সোহেল ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

গৃহবধুর শান্তা হত্যার প্রতিবাদ
গৃহবধুর শান্তা হত্যার প্রতিবাদ

শ্রীনগর ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজ মোর্শেদ খান রাসেল জানান, সোহেল পুলিশের নাকের ডগায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে, অথচ পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে না। শান্তা ইসলামের স্বামী শাকিল খান ও এলাকাবাসী তার বিচার দাবি করছেন।।

শান্তা হত্যার প্রতিবাদে ১৫ ফেব্রুয়ারি রায়পুরা পৌরসভা মাঠে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা সোহেল ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিল।

রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আদিল মাহমুদ বলেন, প্রাথমিক তদন্তে সোহেলকেই হত্যার জন্য দায়ী করা হয়েছে এবং তার গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ, র‍্যাব ও গোয়েন্দা শাখা তৎপর রয়েছে। ইতিমধ্যে একটি স্পেশাল টিম গঠন করা হয়েছে, এবং ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সোহেলকে গ্রেপ্তারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। যদিও সেই সময় পার হয়ে গেছে, কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।

হত্যাকাণ্ডের একদিন পর ৮ ফেব্রুয়ারি শ্রীনগর এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে সোহেল মিয়াকে প্রধান করে ১৬ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা আহসান উল্লাহ।

এ বিষয়ে রায়পুরা থানার তদন্ত ইনচার্জ প্রবীর কুমার ঘোষ জানান,আমরা তো জানি না,কেউ তো কিছু জানায় নাই। তবে
রায়পুরা থানার উপ-পরিদর্শক শফিউল্লাহ জানান, সোহেল তো এলাকায় থাকে

শেয়ার করুন

পুলিশের গাফিলতি

গৃহবধূ শান্তাহত্যা: সন্ত্রাসী সোহেলের তাণ্ডব চলছেই

সময় ০২:৫৪:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

নরসিংদীর রায়পুরার আলোচিত গৃহবধূ শান্তা ইসলামের হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি সোহেলসহ অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে ব্যর্থ হচ্ছে পুলিশ। বিষয়টিকে পুলিশের গাফিলতি হিসাবেই দেখছেন ভুক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসী। সোহেল ও তার বাহিনী এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাদের খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। থেমে নেই সন্ত্রাসী সোহেল বাহিনীর তাণ্ডব

গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে আবারোও সোহেলের নেতৃত্ব শান্তা ইসলামের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। পাশাপাশি শ্রীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসীর দাবি, সোহেল কি প্রশাসনের সঙ্গে আঁতাত করে গ্রেপ্তার ছাড়াই এলাকায় ঘুরছে? নাকি কোন অদৃশ্য শক্তির আশীর্বাদে তিনি পুলিশের কাছে অজ্ঞাত রয়ে গেছেন?

গত ৭ ফেব্রুয়ারি, পূর্ব শত্রুতা ও গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের জেরে শ্রীনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াজ মোর্শেদ খান রাসেলের বাড়িতে সোহেলসহ ১০-১২ জন বাহিনী হামলা চালায়। হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন গৃহবধূ শান্তা ইসলাম, যিনি শ্রীনগর ইউপি চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাই শাকিল খানের স্ত্রী। এই হত্যাকাণ্ডে সোহেল ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

গৃহবধুর শান্তা হত্যার প্রতিবাদ
গৃহবধুর শান্তা হত্যার প্রতিবাদ

শ্রীনগর ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজ মোর্শেদ খান রাসেল জানান, সোহেল পুলিশের নাকের ডগায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে, অথচ পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে না। শান্তা ইসলামের স্বামী শাকিল খান ও এলাকাবাসী তার বিচার দাবি করছেন।।

শান্তা হত্যার প্রতিবাদে ১৫ ফেব্রুয়ারি রায়পুরা পৌরসভা মাঠে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা সোহেল ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিল।

রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আদিল মাহমুদ বলেন, প্রাথমিক তদন্তে সোহেলকেই হত্যার জন্য দায়ী করা হয়েছে এবং তার গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ, র‍্যাব ও গোয়েন্দা শাখা তৎপর রয়েছে। ইতিমধ্যে একটি স্পেশাল টিম গঠন করা হয়েছে, এবং ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সোহেলকে গ্রেপ্তারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। যদিও সেই সময় পার হয়ে গেছে, কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।

হত্যাকাণ্ডের একদিন পর ৮ ফেব্রুয়ারি শ্রীনগর এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে সোহেল মিয়াকে প্রধান করে ১৬ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা আহসান উল্লাহ।

এ বিষয়ে রায়পুরা থানার তদন্ত ইনচার্জ প্রবীর কুমার ঘোষ জানান,আমরা তো জানি না,কেউ তো কিছু জানায় নাই। তবে
রায়পুরা থানার উপ-পরিদর্শক শফিউল্লাহ জানান, সোহেল তো এলাকায় থাকে