০৯:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুয়েটে সব ভবন তালাবদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুয়েট
  • সময় ০৫:২৩:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 40

কুয়েটে সব ভবন তালাবদ্ধ

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) প্রশাসনিক ভবনসহ সকল একাডেমিক ভবনে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। উপাচার্যের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবি পূরণের জন্য আজ বুধবার বেলা ১টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে ভবনগুলো তালাবদ্ধ করেন।

একজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “আমাদের দেওয়া সময়সীমা পেরিয়ে গেছে, কিন্তু প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা মিলে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রশাসনিক ভবনসহ বিভিন্ন একাডেমিক ভবনে তালা লাগিয়েছি।”

আজ সকাল ৯টা থেকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের সামনে অবস্থান নেন। উল্লেখ্য, এই চিকিৎসাকেন্দ্রের দোতলায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ চিকিৎসাধীন ছিলেন।

কুয়েটে সব ভবন তালাবদ্ধ
কুয়েটে সব ভবন তালাবদ্ধ

ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সিয়াম বলেন, “আমাদের দাবি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, উপাচার্যের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা বাস্তবায়ন। আমরা চাই, যারা ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি ফিরিয়ে আনার পেছনে কাজ করেছেন, তাদের বহিষ্কার করা হোক। ভিসি আমাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। বহিরাগতরা দা-ছুরি নিয়ে আমাদের ব্যাচমেট, জুনিয়র ও সিনিয়রদের আক্রমণ করেছে, অথচ প্রশাসন নিষ্ক্রিয় ছিল।”

গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি ঘিরে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়, যাতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।

রাতেই ক্যাম্পাসের মেডিকেল সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়—
1️⃣ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না এবং থাকলে আজীবন বহিষ্কার করা হবে, এ মর্মে অধ্যাদেশ জারি করতে হবে।
2️⃣ গতকালের সংঘর্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা, বহিষ্কারসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
3️⃣ ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ক্যাম্পাসের বাইরে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন রাখতে হবে।
4️⃣ আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয় প্রশাসনকে বহন করতে হবে।
5️⃣ ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগ করতে হবে।

কুয়েটে সেনা মোতায়েন
কুয়েটে সেনা মোতায়েন

কুয়েট ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। প্রধান ফটকের সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন, সেনাবাহিনীর টহলও দেখা গেছে। এরই মধ্যে কিছু শিক্ষার্থী হল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন, তবে কুয়েটের বাইরে দোকানপাট খোলা রয়েছে।

শেয়ার করুন

কুয়েটে সব ভবন তালাবদ্ধ

সময় ০৫:২৩:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) প্রশাসনিক ভবনসহ সকল একাডেমিক ভবনে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। উপাচার্যের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবি পূরণের জন্য আজ বুধবার বেলা ১টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে ভবনগুলো তালাবদ্ধ করেন।

একজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “আমাদের দেওয়া সময়সীমা পেরিয়ে গেছে, কিন্তু প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা মিলে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রশাসনিক ভবনসহ বিভিন্ন একাডেমিক ভবনে তালা লাগিয়েছি।”

আজ সকাল ৯টা থেকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের সামনে অবস্থান নেন। উল্লেখ্য, এই চিকিৎসাকেন্দ্রের দোতলায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ চিকিৎসাধীন ছিলেন।

কুয়েটে সব ভবন তালাবদ্ধ
কুয়েটে সব ভবন তালাবদ্ধ

ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সিয়াম বলেন, “আমাদের দাবি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, উপাচার্যের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা বাস্তবায়ন। আমরা চাই, যারা ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি ফিরিয়ে আনার পেছনে কাজ করেছেন, তাদের বহিষ্কার করা হোক। ভিসি আমাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। বহিরাগতরা দা-ছুরি নিয়ে আমাদের ব্যাচমেট, জুনিয়র ও সিনিয়রদের আক্রমণ করেছে, অথচ প্রশাসন নিষ্ক্রিয় ছিল।”

গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি ঘিরে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়, যাতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।

রাতেই ক্যাম্পাসের মেডিকেল সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়—
1️⃣ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না এবং থাকলে আজীবন বহিষ্কার করা হবে, এ মর্মে অধ্যাদেশ জারি করতে হবে।
2️⃣ গতকালের সংঘর্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা, বহিষ্কারসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
3️⃣ ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ক্যাম্পাসের বাইরে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন রাখতে হবে।
4️⃣ আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয় প্রশাসনকে বহন করতে হবে।
5️⃣ ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগ করতে হবে।

কুয়েটে সেনা মোতায়েন
কুয়েটে সেনা মোতায়েন

কুয়েট ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। প্রধান ফটকের সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন, সেনাবাহিনীর টহলও দেখা গেছে। এরই মধ্যে কিছু শিক্ষার্থী হল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন, তবে কুয়েটের বাইরে দোকানপাট খোলা রয়েছে।