০২:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কবর জিয়ারতের পর চব্বিশের শহীদকন্যাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, পটুয়াখালী
  • সময় ১০:৪৫:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
  • / 95

ধর্ষণ (প্রতীকী ছবি)

ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে (চব্বিশের অভুত্থানে ) পুলিশের গুলিতে শহীদ হওয়া এক ব্যক্তির কবর জিয়ারত শেষে তার কন্যা ঘরে ফেরার পথে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার শহীদকন্যাকে (১৭) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত দুই অভিযুক্তের মধ্যে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। অপরজন এখনো পলাতক রয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যার পর পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, শহীদ বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানাবাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয় মেয়েটি। পথে নলদোয়ানী এলাকায় পৌঁছালে স্থানীয় দুই যুবক সাকিব মুন্সি ও সিফাত মুন্সি তাকে অনুসরণ করতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা জোরপূর্বক তার মুখ চেপে ধরে পাশের জলিল মুন্সির ভিটা বাগানে নিয়ে যান। সেখানেই দুজন মিলে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন এবং ঘটনার ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।

পটুয়াখালী দুমকি থানা
দুমকি থানা

ঘটনার পর ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্তদের মধ্যে পাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নের আলগী গ্রামের মামুন মুন্সির ছেলে সাকিব মুন্সিকে আটক করে। তবে তার সহযোগী সিফাত মুন্সি (সোহাগ মুন্সির ছেলে) এখনো পলাতক রয়েছে।

দুমকি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমরা সাকিব মুন্সি নামে একজনকে আটক করেছি এবং পলাতক আসামি সিফাত মুন্সিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।

শেয়ার করুন

কবর জিয়ারতের পর চব্বিশের শহীদকন্যাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

সময় ১০:৪৫:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে (চব্বিশের অভুত্থানে ) পুলিশের গুলিতে শহীদ হওয়া এক ব্যক্তির কবর জিয়ারত শেষে তার কন্যা ঘরে ফেরার পথে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার শহীদকন্যাকে (১৭) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত দুই অভিযুক্তের মধ্যে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। অপরজন এখনো পলাতক রয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যার পর পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, শহীদ বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানাবাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয় মেয়েটি। পথে নলদোয়ানী এলাকায় পৌঁছালে স্থানীয় দুই যুবক সাকিব মুন্সি ও সিফাত মুন্সি তাকে অনুসরণ করতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা জোরপূর্বক তার মুখ চেপে ধরে পাশের জলিল মুন্সির ভিটা বাগানে নিয়ে যান। সেখানেই দুজন মিলে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন এবং ঘটনার ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।

পটুয়াখালী দুমকি থানা
দুমকি থানা

ঘটনার পর ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্তদের মধ্যে পাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নের আলগী গ্রামের মামুন মুন্সির ছেলে সাকিব মুন্সিকে আটক করে। তবে তার সহযোগী সিফাত মুন্সি (সোহাগ মুন্সির ছেলে) এখনো পলাতক রয়েছে।

দুমকি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমরা সাকিব মুন্সি নামে একজনকে আটক করেছি এবং পলাতক আসামি সিফাত মুন্সিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।