০৫:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আশা ভোঁসলের জীবনের শেষ ইচ্ছা

বিনোদান ডেস্ক
  • সময় ১২:০১:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 34

জন্মদিনে আশা ভোঁসলের জীবনের শেষ ইচ্ছা

বয়স নব্বই পেরোলেও সুরের জাদুতে এখনো মঞ্চ মাতিয়ে রাখেন ভারতের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী আশা ভোঁসলে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি কিংবদন্তি সুরকার আর ডি বর্মনের স্ত্রী। সম্প্রতি এক পডকাস্টে নিজের সংগীতজীবন ও মানসিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

মঞ্চে গান গাওয়ার সময় চ্যালেঞ্জের কথা জানালেন আশা

এই শিল্পী মঞ্চে পারফর্ম করার সময় মানসিক চাপের বিষয়টিও সামনে এনেছেন। সেই পডকাস্টে তিনি বলেন, “স্টুডিওতে গান গাওয়ার সময় একজন সংগীত পরিচালক থাকেন, সবকিছু সহজ হয়ে যায়। তবে মঞ্চে আমি একা। মঞ্চে আবেগ পুরো পরিবেশ দখল করে নেয়। তখন গলা আটকে যায়, কণ্ঠস্বর কাঁপে। স্মৃতিগুলো ভেসে আসে—সেই রাতগুলো, সেই চিঠিগুলো, বালিশের কাছে রাখা গোলাপগুলো। শ্রোতারাও তখন তাদের নিজস্ব অতীত স্মরণ করে, আমার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে।”

শেষ ইচ্ছা জানালেন ৯১ বছরের আশা

৯১ বছর বয়সী আশা ভোঁসলে তার জীবনের সবচেয়ে বড় ইচ্ছার কথা শেয়ার করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, তার একমাত্র ইচ্ছা হলো শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত গান গাওয়া।

তিনি বলেন, “একজন মায়ের ইচ্ছা কী? তার সন্তানরা ভালো থাকুক। একজন ঠাকুমার ইচ্ছা? তার নাতি-নাতনিরা সুখে থাকুক। আর এখন আমার একমাত্র ইচ্ছা হলো, আমি যেন গান গাইতে গাইতেই মারা যাই। আমার শেখার মতো আর কিছুই বাকি নেই।”

তিনি আরও বলেন, “আমি আমার পুরো জীবন ধরে গেয়েছি। মাত্র তিন বছর বয়স থেকে শাস্ত্রীয় সংগীত শেখা শুরু করি। প্লেব্যাক গানের জগতে আছি ৮২ বছর ধরে। এখন আমার ইচ্ছে, আমি যেন গাইতে গাইতেই বিদায় নিতে পারি। এটাই আমাকে সবচেয়ে বেশি সুখী করবে।”

সবশেষে হাসিমুখে তিনি বলেন, “আমি গান ছাড়া বাঁচব না।”

সূত্র: ভারতীয় গণমাধ্যম

শেয়ার করুন

আশা ভোঁসলের জীবনের শেষ ইচ্ছা

সময় ১২:০১:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বয়স নব্বই পেরোলেও সুরের জাদুতে এখনো মঞ্চ মাতিয়ে রাখেন ভারতের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী আশা ভোঁসলে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি কিংবদন্তি সুরকার আর ডি বর্মনের স্ত্রী। সম্প্রতি এক পডকাস্টে নিজের সংগীতজীবন ও মানসিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

মঞ্চে গান গাওয়ার সময় চ্যালেঞ্জের কথা জানালেন আশা

এই শিল্পী মঞ্চে পারফর্ম করার সময় মানসিক চাপের বিষয়টিও সামনে এনেছেন। সেই পডকাস্টে তিনি বলেন, “স্টুডিওতে গান গাওয়ার সময় একজন সংগীত পরিচালক থাকেন, সবকিছু সহজ হয়ে যায়। তবে মঞ্চে আমি একা। মঞ্চে আবেগ পুরো পরিবেশ দখল করে নেয়। তখন গলা আটকে যায়, কণ্ঠস্বর কাঁপে। স্মৃতিগুলো ভেসে আসে—সেই রাতগুলো, সেই চিঠিগুলো, বালিশের কাছে রাখা গোলাপগুলো। শ্রোতারাও তখন তাদের নিজস্ব অতীত স্মরণ করে, আমার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে।”

শেষ ইচ্ছা জানালেন ৯১ বছরের আশা

৯১ বছর বয়সী আশা ভোঁসলে তার জীবনের সবচেয়ে বড় ইচ্ছার কথা শেয়ার করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, তার একমাত্র ইচ্ছা হলো শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত গান গাওয়া।

তিনি বলেন, “একজন মায়ের ইচ্ছা কী? তার সন্তানরা ভালো থাকুক। একজন ঠাকুমার ইচ্ছা? তার নাতি-নাতনিরা সুখে থাকুক। আর এখন আমার একমাত্র ইচ্ছা হলো, আমি যেন গান গাইতে গাইতেই মারা যাই। আমার শেখার মতো আর কিছুই বাকি নেই।”

তিনি আরও বলেন, “আমি আমার পুরো জীবন ধরে গেয়েছি। মাত্র তিন বছর বয়স থেকে শাস্ত্রীয় সংগীত শেখা শুরু করি। প্লেব্যাক গানের জগতে আছি ৮২ বছর ধরে। এখন আমার ইচ্ছে, আমি যেন গাইতে গাইতেই বিদায় নিতে পারি। এটাই আমাকে সবচেয়ে বেশি সুখী করবে।”

সবশেষে হাসিমুখে তিনি বলেন, “আমি গান ছাড়া বাঁচব না।”

সূত্র: ভারতীয় গণমাধ্যম