৪০ শতাংশের কম ভোট নিয়ে নতুন চিন্তা
- সময় ০৫:৫৮:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৫
- / 21
ভোটকে গ্রহণযোগ্য করতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ন্যূনতম ভোটারের আবশ্যকতা নিশ্চিতে আসছে একাধিক প্রস্তাবনা। সেইসঙ্গে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার আলাপও আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্যরা। অতীতে দেশে দুই ধরনের সরকারকেই দেখা গেছে। একটি হলো সংসদীয় গণতন্ত্র বা মন্ত্রিপরিষদ শাসিত এবং অপরটি রাষ্ট্রপতি শাসিত। পরে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে নির্বাচনকালীন সরকারের ভিন্নতাও চোখে পড়ে।
এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪০ শতাংশের কম ভোট পড়লে, ওই আসনের ভোট বাতিল বা পুনরায় নির্বাচন করার সুপারিশ করতে যাচ্ছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পদ্ধতি পরিবর্তনেরও প্রস্তাব করা হবে। এ ছাড়া নির্দলীয় ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি পদে নিয়োগের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে।
গণঅভ্যুত্থানে বিগত সরকারের পলায়নের পর অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের দাবি ওঠে। সে অনুযায়ী নির্বাচন সংস্কার কমিশন ইসিকে শক্তিশালী করাসহ ভোট বাতিলের ক্ষমতা, নির্বাচনে আদালতের অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ, আরপিওতে সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবনা তৈরি করেছে। প্রস্তাবনায় থাকছে ভোটের হারের নিদিষ্ট করার বিষয়টিও।
নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সদস্য মীর নাদিয়া নিভিন বলেন, নির্দিষ্ট আসনে আবশ্যিক মাত্রার ভোটারের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে যেয়ে ‘না ভোট’ যদি বিজয়ী হয় তাহলে সেই আসনে পুনরায় ভোটের ব্যবস্থা করা হবে। একটা নির্দিষ্ট শতাংশ ভোটারের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ থাকতে হবে। এটি না হলে, মানুষ কেন ভোট বর্জন করছে, সেই আলাপও উঠে আসবে। এ বিষয়ে প্রস্তাবের জন্য আলোচনা চলছে।
এ ছাড়া, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটে নির্বাচনের বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। এতে অন্তর্ভুক্ত থাকবে উপজেলা, ইউপি, সিটি কর্পোরেশনসহ সারা দেশের স্থানীয় সরকার কাঠামোর জনপ্রতিনিধিরা। এছাড়া নতুন সিস্টেমে সংসদের দ্বিকক্ষের (উচ্চকক্ষ) ভোটও থাকবে বলে জানান তিনি।
কমিশনে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি সাদিক আরমান বলেন, শুধুমাত্র যেসব আসনে নির্দিষ্ট পরিমাণ ভোটের কম ভোট পড়বে সেখানে ভোট বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন করার ব্যপারে প্রস্তাবনা দেয়া হবে। পরিমাণ হিসেবে শতকরা ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ভোট প্রস্তাবনায় উল্লেখ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, অনেকগুলো খসড়া পরিকল্পনা রয়েছে। সবগুলো নিয়েই আলোচনা চলছে। পরবর্তীতে যারাই নির্বাচিত হবে, তাদের দায়িত্ব থাকবে সেগুলো বাস্তবায়ন করা।
এর আগে টানা সাড়ে ১৫ বছর ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিগত ৩টি সংসদ নির্বাচন, ভোটার উপস্থিতি ও ভোটের হার ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। আগামী নির্বাচনগুলো যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সেটি সংস্কার করার জন্যই কাজ এগিয়ে নিচ্ছে কমিশন।