ঢাকা ০২:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
জব্দ হওয়া সরঞ্জাম নিলাম

২১ দিনে ৬৩০ জনের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
  • সময় ০৮:২৭:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪
  • / 248

অভিযান

মাত্র ২১ দিনেই ৬৩০ জনকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে, শুধু বৃহত্তর বরিশালেই এ ঘটনা ঘটেছে। একই সঙ্গে গত ২১ দিনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অপরাধে করায় বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন নদ-নদীতে অভিযান চালিয়ে ৬৩০ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৩০ লাখ ৩১ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

যদিও ইলিশ মাছ ধরার ওপর ২১ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ মধ্যরাতে। আজ রোববার বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অফিস সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

মৎস্য বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী গত ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ আহরণ, মজুদ ও বিপণন বন্ধ আছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে জেল জরিমানা করেছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, কোস্টগার্ড, পুলিশ ও টাস্কফোর্স।

এ সময়ের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৩ হাজার ২১২টি অভিযান চালানো হয় এবং এক হাজার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার পাশাপাশি এক হাজার ৪৯টি মামলা করা হয়েছে। এছাড়া, বিভাগের বিভিন্ন মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, মাছঘাট, আড়ত ও বাজার পরিদর্শন করেছে মৎস্য অধিদপ্তরের জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। মৎস্য বিভাগ জানায়, গত ২০ দিনের অভিযানে ১৭ হাজার ৭৩১ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি এক কোটি তিন লাখ ২৭ হাজার ২০০ মিটার অবৈধ জাল জব্দ করা হয়েছে।

এছাড়া, নৌকাসহ জব্দ হওয়া সরঞ্জাম নিলাম করে ৬ লাখ ৭১ হাজার ৪০০ টাকা আয় হয়েছে। মৎস্য বিভাগের উপপরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, গত ১৩ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২২ দিনের জন্য উপকূলের ৭ হাজার বর্গকিলোমিটারের মূল প্রজননস্থলসহ সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহণ ও বিপণন নিষিদ্ধ থাকছে।

মৎস্য বিভাগ জানায়, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার ৩ লাখ ১৯ হাজার ৮৩০ জেলে পরিবারের জন্য ৭৯ হাজার ৯৯৫ দশমিক ৭৫০ মেট্রিকটন চাল বিতরণ করা হয়েছে।

ইলিশ
ইলিশ

উল্লেখ্য, এই নিষেধাজ্ঞার আগে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এক জেলের জালে এক টানে (একবার জাল টেনে) ধরা পড়েছে ১৩০ মণ ইলিশ ধরার মতো বিরল ঘটনাও ঘটেছিল। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে সূর্য মাঝি (৫৫) নামের জেলের জালে ধরা পরা এ ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৪০ লাখ টাকায়। এসব মাছ বিক্রির জন্য কলাপাড়া উপজেলার আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয় তখন।

কুয়াকাটা থেকে ৬০ কিলোমিটার গভীর সাগরে ধরা পড়েছিল এ বিপুল পরিমাণ মাছ ।

সূর্য মাঝি ১৭ জেলেসহ চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে ট্রলার নিয়ে পটুয়াখালীর আলীপুর থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে গিয়েছিলেন। একবার জাল টান দেওয়ার পরই প্রচুর পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়ায় পুরো মাছ ট্রলারে তুলতে না পেরে অর্ধেক জাল সাগরে ফেলেই চলে আসেন তারা।

শেয়ার করুন

জব্দ হওয়া সরঞ্জাম নিলাম

২১ দিনে ৬৩০ জনের কারাদণ্ড

সময় ০৮:২৭:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪

মাত্র ২১ দিনেই ৬৩০ জনকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে, শুধু বৃহত্তর বরিশালেই এ ঘটনা ঘটেছে। একই সঙ্গে গত ২১ দিনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অপরাধে করায় বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন নদ-নদীতে অভিযান চালিয়ে ৬৩০ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৩০ লাখ ৩১ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

যদিও ইলিশ মাছ ধরার ওপর ২১ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ মধ্যরাতে। আজ রোববার বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অফিস সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

মৎস্য বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী গত ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ আহরণ, মজুদ ও বিপণন বন্ধ আছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে জেল জরিমানা করেছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, কোস্টগার্ড, পুলিশ ও টাস্কফোর্স।

এ সময়ের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৩ হাজার ২১২টি অভিযান চালানো হয় এবং এক হাজার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার পাশাপাশি এক হাজার ৪৯টি মামলা করা হয়েছে। এছাড়া, বিভাগের বিভিন্ন মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, মাছঘাট, আড়ত ও বাজার পরিদর্শন করেছে মৎস্য অধিদপ্তরের জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। মৎস্য বিভাগ জানায়, গত ২০ দিনের অভিযানে ১৭ হাজার ৭৩১ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি এক কোটি তিন লাখ ২৭ হাজার ২০০ মিটার অবৈধ জাল জব্দ করা হয়েছে।

এছাড়া, নৌকাসহ জব্দ হওয়া সরঞ্জাম নিলাম করে ৬ লাখ ৭১ হাজার ৪০০ টাকা আয় হয়েছে। মৎস্য বিভাগের উপপরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, গত ১৩ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২২ দিনের জন্য উপকূলের ৭ হাজার বর্গকিলোমিটারের মূল প্রজননস্থলসহ সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহণ ও বিপণন নিষিদ্ধ থাকছে।

মৎস্য বিভাগ জানায়, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার ৩ লাখ ১৯ হাজার ৮৩০ জেলে পরিবারের জন্য ৭৯ হাজার ৯৯৫ দশমিক ৭৫০ মেট্রিকটন চাল বিতরণ করা হয়েছে।

ইলিশ
ইলিশ

উল্লেখ্য, এই নিষেধাজ্ঞার আগে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এক জেলের জালে এক টানে (একবার জাল টেনে) ধরা পড়েছে ১৩০ মণ ইলিশ ধরার মতো বিরল ঘটনাও ঘটেছিল। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে সূর্য মাঝি (৫৫) নামের জেলের জালে ধরা পরা এ ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৪০ লাখ টাকায়। এসব মাছ বিক্রির জন্য কলাপাড়া উপজেলার আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয় তখন।

কুয়াকাটা থেকে ৬০ কিলোমিটার গভীর সাগরে ধরা পড়েছিল এ বিপুল পরিমাণ মাছ ।

সূর্য মাঝি ১৭ জেলেসহ চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে ট্রলার নিয়ে পটুয়াখালীর আলীপুর থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে গিয়েছিলেন। একবার জাল টান দেওয়ার পরই প্রচুর পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়ায় পুরো মাছ ট্রলারে তুলতে না পেরে অর্ধেক জাল সাগরে ফেলেই চলে আসেন তারা।