মোটা অংকের বিভিন্ন প্রস্তাব
হোটেলে প্রযোজকের সঙ্গে মৌমিতার কেলেংকারি ফাঁস!
- সময় ১১:১৭:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪
- / 107
সিনেমাজগতে নায়িকা মানেই রহস্য আর বিতর্ক। কেলেংকারি না থাকলে নায়িকার ব্যান্ডভেলুই বাড়ে না। এমনটাই প্রচলিত রয়েছে সারাবিশ্বের শোবিজ দুনিয়ায়। এমনি এক ঘটনার ঘটেছে নায়িকা মৌমিতার সঙ্গে।
টালিউডের নামী প্রযোজনা সংস্থার অন্যতম কর্ণধার শ্রীকান্ত মোহতা। এই প্রযোজকের পরিচয়ে অভিনেত্রীদের হোটেলে ডাকা হচ্ছে। এরপর তাদের থেকে মোটা অংকের টাকাসহ দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন প্রস্তাবও। ফাঁদে পড়ার আগেই ভারতীয় গণমাধ্যমকে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন অভিনেত্রী মৌমিতা পণ্ডিত। ঘটনার পর সরাসরি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন মৌমিতা।
তিনি জানান, সম্প্রতি শ্রীকান্তের নামের একটি ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মৌমিতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ওই প্রোফাইল থেকে সরাসরি তাকে কাজের প্রস্তাব দেওয়া হয়। মেসেঞ্জারে কল করে নিজেকে প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতা দাবি করে হিন্দিতে একজন ব্যক্তি কথাও বলে। সেই মত ৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় একজন কাস্টিং ডিরেক্টরের সঙ্গে তাকে দেখা করতে বলা হয়। এরপর তিনি সিড নামের একটি ছেলের সঙ্গে দেখা করেন।
মৌমিতা বাংলায় ‘কণ্ঠ’ ও ‘সূর্য’র মতো ছবির পাশাপাশি বলিউডেও কাজ করেছেন। এক সময় বলিউডে পরিচালক বিশাল ভরদ্বাজের কাস্টিং ডিরেক্টর হিসাবেও তিনি কাজ করেছেন। সাধারণত ইন্ডাস্ট্রিতে প্রতিষ্ঠিত প্রযোজনা সংস্থা অডিশন বা কাজের প্রস্তাব সংক্রান্ত আলোচনা তাদের অফিসেই করে থাকে।
মৌমিতার কথায়, রাস্তার পাশে গাড়িতে বসেই তিনি আমাকে চিত্রনাট্য শোনান। ছেলেটি যেভাবে কথা বলে, তাতেই বুঝতে পারি ইন্ডাস্ট্রির কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে সে ওয়াকিবহাল। অদিতি রায়ের পরিচালনায় আবীরদার (আবীর চট্টোপাধ্যায়) সঙ্গে একটি ছবির জন্য আমাকে অডিশন দিতে বলা হয়। প্রযোজনা সংস্থার নামাঙ্কিত চুক্তিপত্রেও মৌমিতাকে স্বাক্ষর করানো হয়। নেওয়া হয় তাঁর সরকারি পরিচয়পত্রের প্রতিলিপিও।
এই পর্যন্ত ঠিক ছিল। কিন্তু, তার পর অডিশনের জন্য নিকটবর্তী একটি হোটেলে মৌমিতাকে নিয়ে যাওয়া হয়। মৌমিতার দাবি, ততক্ষণে তিনি বুঝে গিয়েছেন কোনও গোলমাল হচ্ছে। তাই হোটেল থেকে বেরিয়ে আসেন এবং বলেন, অডিশনের ভিডিও রেকর্ড করে পরে কাস্টিং ডিরেক্টরকে পাঠিয়ে দেবেন। মৌমিতা বলেন, তার পরেও ইচ্ছে করেই কথোপকথন এগিয়ে নিয়ে যাই যাতে আমার কাছে জলঘোলা এই বিষয় আরও পরিষ্কার হয়।
বুধবার সকালে শ্রীকান্তের ভুয়া প্রোফাইল থেকে মৌমিতার কাছ থেকে কার্ডের জন্য টাকা চাওয়া হয়। তারপর কিউআর কোড পাঠিয়ে ইউপিআই আইডির মাধ্যমে ৭ হাজার ৫০০ টাকা পাঠাতে বলা হয়। অভিনেত্রী প্রযোজনা সংস্থার দফতরে গিয়ে টাকা দিতে চাইলে তাকে ব্যাঙ্কের মারফত টাকা পাঠাতে বলা হয়।
মৌমিতা বলেন, টাকা দিতে অস্বীকার করায় তখন ওই প্রোফাইল থেকে আবার কল আসে। তখন আর হিন্দি নয়, গোদা বাংলায় আমাকে হুমকি দেওয়া হয় যে টাকা না দিলে ক্যারিয়ারের ক্ষতি করে দেওয়া হবে!