হাসান আরিফের দাফন পিছিয়েছে
- সময় ০৪:৪৮:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 22
অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি, বিমান ও পর্যটন উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের দাফন আজ (২১ ডিসেম্বর) হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রয়াত উপদেষ্টার লাশ জানাজা ও শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) হিমগরে রাখা হয়েছে। মেয়ে কানাডা থেকে দেশে ফিরলে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
এর আগে গতকাল ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা বলেছিলেন, আজ শনিবার হাসান আরিফকে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে। কিন্তু মেয়ে বিদেশে থাকায় তা পিছিয়েছে।
এদিকে, শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দীর্ঘদিন পর নিথর দেহে ৫৪ বছরের কর্মস্থলে যান এ এফ হাসান আরিফ। সকালে সপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে নেয়া হয় তার মরদেহ। সাবেক এই অ্যাটর্নি জেনারেলের প্রতি শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানান সহকর্মীরা।
এরপর সেখানেই অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় নামাজে জানাজা। তাকে শেষ বিদায় জানানো হলো শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায়। হাসান আরিফের বর্ণাঢ্য জীবনের স্মৃতিচারণ করেন সিনিয়র আইনজীবীরা।
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী, সরকারের উপদেষ্টা ও আমলারা বলছেন, প্রায় সব ক্ষেত্রেই সর্বোচ্চ পেশাদারত্বের স্বাক্ষর রেখে গেছেন হাসান আরিফ। তার মৃত্যুতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হলো।
সু্প্রিম কোর্টে জানাজা শেষে মরদেহ নেয়া হয় সচিবালয়ে। সেখানেও ফুলের শ্রদ্ধায় সিক্ত হন হাসান আরিফ। তৃতীয় জানাজা শেষে উপদেষ্টা ও সচিবরা বলেন, দেশের ক্রান্তিকালে নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে করে গেছেন নতুন বাংলাদেশ গড়ার কাজ।
জানাজা ও শ্রদ্ধা জানানো শেষে হাসান আরিফের মরদেহ রাখা হয় সিএমএইচের হিমগরে। হাসান আরিফের মেয়ে কানাডা থেকে দেশে ফেরার পর সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রজধানীর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন তার ছেলে মুয়াজ আরিফ। তিনি বলেন, সোমবার মিরপুরে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করবো। সময়টা জোহরের আগেই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন হাসান আরিফ। পরে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে নেয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বাদ এশা ধানমন্ডিতে হয় প্রথম নামাজে জানাজা।
গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন হাসান আরিফ। এ ছাড়া ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সিনিয়র এই আইনজীবী। ২০০১ থেকে ২০০৫ সালের ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।