ঢাকা ০২:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেন্টমার্টিন ইস্যুতে রাজধানীতে বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ১১:৪৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
  • / 258

দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে চার মাস পর্যটকদের যাতায়াত ও অবস্থান সীমিত করার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে স্থানীয়রা এতদিন বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করলেও এবার তা রাজধানীতেও এসে পৌঁছেছে।

সেন্টমার্টিনে চার মাস পর্যটকদের যাতায়াত ও অবস্থান সীমিত করার সরকারি সিদ্ধান্তের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে ট্যুর অপারেটরসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠন।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদফতরের সামনে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তারা বলেন, পর্যটক যাতায়াত ও অবস্থান সীমিত করার সিদ্ধান্তে হুমকির মুখে পড়েছে দ্বীপটির প্রায় ১১ হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তাই পর্যটন বন্ধ করে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা যাবে না।

এ অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারকে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে দুদিনের সময় বেঁধে দেয় সেন্টমার্টিন দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা উন্নয়ন জোট। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন জোটের নেতারা।

এর আগেও ২৮ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আন্দোলনে নামেন ট্যুর অপারেটররা। , পরিবেশ রক্ষার নামে সরকারি এ সিদ্ধান্তে সেন্টমার্টিনের প্রায় ১১ হাজার বাসিন্দাসহ ৬ লাখ পর্যটনকর্মী জীবিকা নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন। সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না হলে বৃহত্তর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ার দেন অপারেটররা।

মানববন্ধনে সরকারের এ সিদ্ধান্তকে দেশের পর্যটনের জন্য ধ্বংসাত্মক বলে দাবি করছেন ট্যুর অপারেটররা।

বক্তারা বলেন, পরিবেশ রক্ষার নামে দেশের পর্যটন শিল্পকে ধ্বংস করা হচ্ছে। সেন্টমার্টিনকে ঘিরে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার, সেটা তারা তুলে নিক। তারা আরও চিন্তা করুক। সেন্টমার্টিনে প্রায় ১১ হাজার মানুষের বসবাস, তারা সবাই বেকার হয়ে যাবে। সেন্টমার্টিন এমন একটা জায়গা, যেখানে শতভাগ মানুষ পর্যটন শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। তাদের আয়ের একমাত্র উৎস হচ্ছে পর্যটনকেন্দ্রিক। পরিবেশ মন্ত্রণালয় যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটার আমরা বিরোধিতা করছি না। তবে আমাদের বিষয়টিও দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি। আমরা চাই, একটা নীতিমালার মধ্যে রেখে সেন্টমার্টিনে ব্যবসা চালু রাখা হোক।

ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি মোহাম্মদ রাফেউজ্জামান দাবি করেন, বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এ খাতের ৬ লাখ অপারেটর। তিনি সরকারকে জনগণের পালস বোঝার আহ্বান জানান।

পরিবেশ রক্ষা করেই অপারেটররা কাজ করেন- মানববন্ধনে এমন দাবি করে পর্যটন মৌসুমের ৪ মাস নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ চান তিনি।

গত ২২ অক্টোবর প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত করার সিদ্ধান্তের কথা জানায় প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর। বলা হয়, নভেম্বরে রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ থাকবে এবং ডিসেম্বর-জানুয়ারি প্রতিদিন দুই হাজারের বেশি মানুষ যেতে পারবে না। ফেব্রুয়ারি মাসে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য সেন্টমার্টিন বন্ধ থাকবে।

শেয়ার করুন

সেন্টমার্টিন ইস্যুতে রাজধানীতে বিক্ষোভ

সময় ১১:৪৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে চার মাস পর্যটকদের যাতায়াত ও অবস্থান সীমিত করার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে স্থানীয়রা এতদিন বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করলেও এবার তা রাজধানীতেও এসে পৌঁছেছে।

সেন্টমার্টিনে চার মাস পর্যটকদের যাতায়াত ও অবস্থান সীমিত করার সরকারি সিদ্ধান্তের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে ট্যুর অপারেটরসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠন।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদফতরের সামনে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তারা বলেন, পর্যটক যাতায়াত ও অবস্থান সীমিত করার সিদ্ধান্তে হুমকির মুখে পড়েছে দ্বীপটির প্রায় ১১ হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তাই পর্যটন বন্ধ করে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা যাবে না।

এ অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারকে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে দুদিনের সময় বেঁধে দেয় সেন্টমার্টিন দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা উন্নয়ন জোট। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন জোটের নেতারা।

এর আগেও ২৮ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আন্দোলনে নামেন ট্যুর অপারেটররা। , পরিবেশ রক্ষার নামে সরকারি এ সিদ্ধান্তে সেন্টমার্টিনের প্রায় ১১ হাজার বাসিন্দাসহ ৬ লাখ পর্যটনকর্মী জীবিকা নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন। সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না হলে বৃহত্তর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ার দেন অপারেটররা।

মানববন্ধনে সরকারের এ সিদ্ধান্তকে দেশের পর্যটনের জন্য ধ্বংসাত্মক বলে দাবি করছেন ট্যুর অপারেটররা।

বক্তারা বলেন, পরিবেশ রক্ষার নামে দেশের পর্যটন শিল্পকে ধ্বংস করা হচ্ছে। সেন্টমার্টিনকে ঘিরে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার, সেটা তারা তুলে নিক। তারা আরও চিন্তা করুক। সেন্টমার্টিনে প্রায় ১১ হাজার মানুষের বসবাস, তারা সবাই বেকার হয়ে যাবে। সেন্টমার্টিন এমন একটা জায়গা, যেখানে শতভাগ মানুষ পর্যটন শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। তাদের আয়ের একমাত্র উৎস হচ্ছে পর্যটনকেন্দ্রিক। পরিবেশ মন্ত্রণালয় যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটার আমরা বিরোধিতা করছি না। তবে আমাদের বিষয়টিও দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি। আমরা চাই, একটা নীতিমালার মধ্যে রেখে সেন্টমার্টিনে ব্যবসা চালু রাখা হোক।

ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি মোহাম্মদ রাফেউজ্জামান দাবি করেন, বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এ খাতের ৬ লাখ অপারেটর। তিনি সরকারকে জনগণের পালস বোঝার আহ্বান জানান।

পরিবেশ রক্ষা করেই অপারেটররা কাজ করেন- মানববন্ধনে এমন দাবি করে পর্যটন মৌসুমের ৪ মাস নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ চান তিনি।

গত ২২ অক্টোবর প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত করার সিদ্ধান্তের কথা জানায় প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর। বলা হয়, নভেম্বরে রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ থাকবে এবং ডিসেম্বর-জানুয়ারি প্রতিদিন দুই হাজারের বেশি মানুষ যেতে পারবে না। ফেব্রুয়ারি মাসে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য সেন্টমার্টিন বন্ধ থাকবে।