ঢাকা ০২:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া, স্বাগত জানালেন ইউনূস

সিনিয়র প্রতিবেদক
  • সময় ০৮:০৭:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
  • / 42

সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া-ড. ইউনূস

সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার কিছু পরে সেনাকুঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। দীর্ঘ এক যুগ পর বেগম জিয়া সেনাকুঞ্জে গেলেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার বক্তব্যে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সেনাকুঞ্জের এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার মধ্য দিয়ে ছয় বছর পর খালেদা জিয়া কোনো প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে সশরীরে অংশ নিয়েছেন। আর, সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে অংশ নিয়েছেন দীর্ঘ ১২ বছর পর।

সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ।

চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির ২৬ জন সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছেন।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র ও জনসাধারণের পক্ষে দাঁড়িয়ে সেনাবাহিনী আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস

সেনাকুঞ্জে সশস্ত্রবাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন অধ্যাপক ইউনূস। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আন্দোলনের পরবর্তী সময়েও সেনাবাহিনী মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।

সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে বাহিনী সদস্যদের ভূমিকার প্রশংসাও করেন প্রধান উপদেষ্টা।

ড. ইউনূস
ড. ইউনূস

অধ্যাপক ইউনূস বক্তৃতার শুরুতে ছাত্র আন্দোলনে নিহতদেরও স্মরণ করেন। সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতার শুরুতেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অনুষ্ঠানে স্বাগত এবং অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “খালেদা জিয়া আজ এখানে আমাদের মধ্যে উপস্থিত আছেন। এক যুগ ধরে তিনি এই মহাসম্মিলনীতে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পান নাই। আজকে সুযোগ পেয়েছেন। আমরা সবাই আনন্দিত এবং গর্বিত যে এই সুযোগ দিতে পেরেছি আপনাকে।”

“শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও এই বিশেষ দিবসে সবার সাথে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ,” যোগ করেন তিনি।

বলেন, “এই অনুষ্ঠানে আপনাকে বিশেষভাবে স্বাগত জানাচ্ছি।” খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনা করেন প্রধান উপদেষ্টা।

শেয়ার করুন

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া, স্বাগত জানালেন ইউনূস

সময় ০৮:০৭:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার কিছু পরে সেনাকুঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। দীর্ঘ এক যুগ পর বেগম জিয়া সেনাকুঞ্জে গেলেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার বক্তব্যে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সেনাকুঞ্জের এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার মধ্য দিয়ে ছয় বছর পর খালেদা জিয়া কোনো প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে সশরীরে অংশ নিয়েছেন। আর, সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে অংশ নিয়েছেন দীর্ঘ ১২ বছর পর।

সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ।

চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির ২৬ জন সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছেন।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র ও জনসাধারণের পক্ষে দাঁড়িয়ে সেনাবাহিনী আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস

সেনাকুঞ্জে সশস্ত্রবাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন অধ্যাপক ইউনূস। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আন্দোলনের পরবর্তী সময়েও সেনাবাহিনী মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।

সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে বাহিনী সদস্যদের ভূমিকার প্রশংসাও করেন প্রধান উপদেষ্টা।

ড. ইউনূস
ড. ইউনূস

অধ্যাপক ইউনূস বক্তৃতার শুরুতে ছাত্র আন্দোলনে নিহতদেরও স্মরণ করেন। সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতার শুরুতেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অনুষ্ঠানে স্বাগত এবং অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “খালেদা জিয়া আজ এখানে আমাদের মধ্যে উপস্থিত আছেন। এক যুগ ধরে তিনি এই মহাসম্মিলনীতে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পান নাই। আজকে সুযোগ পেয়েছেন। আমরা সবাই আনন্দিত এবং গর্বিত যে এই সুযোগ দিতে পেরেছি আপনাকে।”

“শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও এই বিশেষ দিবসে সবার সাথে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ,” যোগ করেন তিনি।

বলেন, “এই অনুষ্ঠানে আপনাকে বিশেষভাবে স্বাগত জানাচ্ছি।” খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনা করেন প্রধান উপদেষ্টা।