সূর্যহীন রাতে রোজা রাখার নিয়ম

- সময় ১১:৪৯:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
- / 32
রোজা বা সিয়াম হলো ইসলাম ধর্মের পাঁচটি মূল ভিত্তির তৃতীয়। সুবহে সাদেক বা ভোরের সূক্ষ আলো থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার, পাপাচার, কামাচার এবং সেই সাথে যাবতীয় ভোগ – বিলাস থেকেও বিরত থাকার নাম রোযা।
দক্ষিণ ও উত্তর মেরু অঞ্চলে, যেমন নরওয়ের ট্রমসো, সুইডেনের কিরুনা, কানাডার নুনাভুট এবং আলাস্কার কিছু অংশে গ্রীষ্মকালে সূর্য ২৪ ঘণ্টা আকাশে থাকে। অন্যদিকে শীতকালে কয়েক মাস ধরে সূর্য উদিতই হয় না।
সূর্য যদি উদয় কিংবা অস্তই না যায়, তাহলে রোজা রাখবেন কিংবা ভাঙবেন কীভাবে ? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে ইসলামিক স্কলাররা বিভিন্ন সমাধান দিয়েছেন।
ইসলামিক স্কলারদের মতে, যেখানে সূর্যাস্ত হয় না, সেখানে স্থানীয় সময় অনুযায়ী সম্ভব না হলে নিকটতম যে দেশে সূর্য অস্ত যায়, সেই দেশের সময় অনুসরণ করা যেতে পারে। যেমন, সৌদি আরব বা নিকটবর্তী কোনো মুসলিম দেশের সময় ধরে রোজা রাখা এবং ইফতার করা।
আবার কেউ কেউ স্থানীয় সময়ের ভিত্তিতে দিনের একটি নির্দিষ্ট অংশকে রোজার সময় হিসেবে নির্ধারণ করেন।
নরওয়ের বাসিন্ধারা জানায়, সেখানে গ্রীষ্মে সূর্য অস্ত যায় না। তাই তারা সৌদি আরবের সময় অনুসরণ করেন। সেখানে যখন ইফতারের সময় হয়, তারা তখনই রোজা ভাঙেন।
আবার সূর্যের অবস্থানের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় দিন ও রাতের সময়ের মধ্যে পার্থক্য থাকে। তাই বিশ্বের মুসল্লিরা ভিন্ন ভিন্ন সময়- কেউ কেউ ১৭-১৮ ঘণ্টা। আবার কেউ কেউ ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা বা তারও বেশি রোজা রাখেন। বাংলাদেশে এবার প্রথম রোজার দিনের ব্যাপ্তি হবে ১৩ ঘণ্টা।
মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং কাতারের মতো দেশের মুসল্লিরা এবার প্রায় ১৪ ঘণ্টা রোজা রাখবেন।
অপরদিকে এ বছর সবচেয়ে বেশি সাড়ে ১৭ ঘণ্টা রোজা রাখবেন ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলেনস্কির বাসিন্দারা। অন্যদিকে সবচেয়ে কম ১১ দশমিক ৫ ঘণ্টা রোজা রাখবেন নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মুসলিমরা।
শেয়ার করুন
-
সর্বশেষ
-
সর্বাধিক
Devoloped By: InnoSoln Limited