১০:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫, ২০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরান কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ০৫:২৬:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
  • / 22

সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরান কারাগারে

১৩৩ কোটি টাকা মানিলন্ডারিং মামলায় সাদিক অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালতে তাকে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে, তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ইমরানের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে সাদিক অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন, তৌহিদুল আলম জেনিথ ও প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা করে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। সংস্থাটির উপ-পরিদর্শক মো. জোনাঈদ হোসেন গত ৩ মার্চ রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় এই মামলা দায়ের করেন।

মামলার নথি অনুযায়ী, সাদিক অ্যাগ্রো চোরাচালান, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে অনুমোদনহীন ব্রাহমা জাতের গরু আমদানি করে। এছাড়া, নেপাল ও ভুটান থেকে চোরাইপথে ছোট আকৃতির ভুট্টি গরু এনে তা উচ্চমূল্যে বিক্রির প্রমাণ পাওয়া গেছে। দেশীয় গরু ও ছাগলকে বিদেশি ও বংশীয় বলে প্রচার করে কোরবানির হাটে মোটা অঙ্কের দামে বিক্রি করত প্রতিষ্ঠানটি।

এভাবে উপার্জিত অর্থ বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে স্থানান্তর করেন ইমরান হোসেন। তদন্তে দেখা গেছে, মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে ১২১ কোটি ৩২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। পাশাপাশি, মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকায় রামচন্দ্রপুর সরকারি খাল দখল করে সাদিক অ্যাগ্রোর কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

অবৈধভাবে অর্জিত অর্থের একটি অংশ ইমরান তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান জালালাবাদ মেটাল লিমিটেডের নামে বিনিয়োগ করেন। এফডিআর হিসাবের মাধ্যমে ১১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা রূপান্তর করা হয়। সব মিলিয়ে মানিলন্ডারিংয়ের মোট অর্থের পরিমাণ ১৩৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

শেয়ার করুন

সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরান কারাগারে

সময় ০৫:২৬:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

১৩৩ কোটি টাকা মানিলন্ডারিং মামলায় সাদিক অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালতে তাকে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে, তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ইমরানের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে সাদিক অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন, তৌহিদুল আলম জেনিথ ও প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা করে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। সংস্থাটির উপ-পরিদর্শক মো. জোনাঈদ হোসেন গত ৩ মার্চ রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় এই মামলা দায়ের করেন।

মামলার নথি অনুযায়ী, সাদিক অ্যাগ্রো চোরাচালান, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে অনুমোদনহীন ব্রাহমা জাতের গরু আমদানি করে। এছাড়া, নেপাল ও ভুটান থেকে চোরাইপথে ছোট আকৃতির ভুট্টি গরু এনে তা উচ্চমূল্যে বিক্রির প্রমাণ পাওয়া গেছে। দেশীয় গরু ও ছাগলকে বিদেশি ও বংশীয় বলে প্রচার করে কোরবানির হাটে মোটা অঙ্কের দামে বিক্রি করত প্রতিষ্ঠানটি।

এভাবে উপার্জিত অর্থ বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে স্থানান্তর করেন ইমরান হোসেন। তদন্তে দেখা গেছে, মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে ১২১ কোটি ৩২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। পাশাপাশি, মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকায় রামচন্দ্রপুর সরকারি খাল দখল করে সাদিক অ্যাগ্রোর কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

অবৈধভাবে অর্জিত অর্থের একটি অংশ ইমরান তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান জালালাবাদ মেটাল লিমিটেডের নামে বিনিয়োগ করেন। এফডিআর হিসাবের মাধ্যমে ১১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা রূপান্তর করা হয়। সব মিলিয়ে মানিলন্ডারিংয়ের মোট অর্থের পরিমাণ ১৩৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।