০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাজেক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি
  • সময় ১০:৩৫:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 8

সাজেকে আগুন

রাঙামাটির সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে ভয়াবহ আগুনের পর জেলা প্রশাসন সেখানে পর্যটক ভ্রমণে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তবে মঙ্গলবার বিকেলে এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। আগুনের ঘটনায় প্রশাসন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, তবে কমিটি এখনও কাজ শুরু করেনি।

মঙ্গলবার সরেজমিনে পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, আগুনের ক্ষত এখনও পুরো এলাকায় বিস্তার লাভ করেছে। কিছু কিছু স্থানে ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও কটেজ মালিক সমিতির নেতাদের ধারণা, আগুন নাশকতা থেকে হয়নি, বরং বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট বা সিগারেটের আগুন থেকে এ ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার দুপুরে লাগা এই আগুনে ৯৭টি স্থাপনা, কটেজ, রিসোর্ট, রেস্তোরাঁ, এবং বসতঘর পুড়ে গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা থাঙগা লুসাই বলেন, “আগুন কীভাবে লেগেছে, জানি না। আমার ওষুধের দোকানসহ তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।” ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদার রুপা চাকমা জানান, “ছোট একটা দোকান ছিল, আগুনে সব পুড়ে গেছে, কলা, সবজি সহ সবই পুড়ে গেছে।” তিনি এখনও সরকারি সহায়তা পাননি।

একইভাবে, স্থানীয় ব্যবসায়ী অনিল ত্রিপুরা জানান, “আমার দুটি রিসোর্ট পুড়ে গিয়ে দেড় কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “তাদের জানা অনুযায়ী, সাজেক ইকো ভ্যালি রিসোর্টের একটি কক্ষ থেকে আগুন লাগে, যদিও কক্ষটি বন্ধ ছিল।”

সেনাবাহিনীর বাঘাইহাট জন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল খায়রুল আমিন জানান, “মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিভে যায়।”

অগ্নিকাণ্ডের কারণে সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে শতকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। ৩৪টি কটেজ রিসোর্ট পুড়ে যাওয়ার পর ৩০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয়রা মনে করেন, সাজেকে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকার কারণে বড় ক্ষতি হয়েছে।

সহায়সম্বল হারানো ক্ষতিগ্রস্তরা বর্তমানে দিশেহারা, বিশেষ করে ত্রিপুরা ও লুসাই সম্প্রদায়ের ৩০টি পরিবার, যারা এখনও সরকারি সহায়তা পাননি। তারা বর্তমানে গির্জা, মন্দির বা স্বজনদের বাসায় আশ্রয় নিয়েছেন।

শেয়ার করুন

সাজেক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

সময় ১০:৩৫:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

রাঙামাটির সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে ভয়াবহ আগুনের পর জেলা প্রশাসন সেখানে পর্যটক ভ্রমণে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তবে মঙ্গলবার বিকেলে এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। আগুনের ঘটনায় প্রশাসন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, তবে কমিটি এখনও কাজ শুরু করেনি।

মঙ্গলবার সরেজমিনে পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, আগুনের ক্ষত এখনও পুরো এলাকায় বিস্তার লাভ করেছে। কিছু কিছু স্থানে ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও কটেজ মালিক সমিতির নেতাদের ধারণা, আগুন নাশকতা থেকে হয়নি, বরং বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট বা সিগারেটের আগুন থেকে এ ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার দুপুরে লাগা এই আগুনে ৯৭টি স্থাপনা, কটেজ, রিসোর্ট, রেস্তোরাঁ, এবং বসতঘর পুড়ে গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা থাঙগা লুসাই বলেন, “আগুন কীভাবে লেগেছে, জানি না। আমার ওষুধের দোকানসহ তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।” ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদার রুপা চাকমা জানান, “ছোট একটা দোকান ছিল, আগুনে সব পুড়ে গেছে, কলা, সবজি সহ সবই পুড়ে গেছে।” তিনি এখনও সরকারি সহায়তা পাননি।

একইভাবে, স্থানীয় ব্যবসায়ী অনিল ত্রিপুরা জানান, “আমার দুটি রিসোর্ট পুড়ে গিয়ে দেড় কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “তাদের জানা অনুযায়ী, সাজেক ইকো ভ্যালি রিসোর্টের একটি কক্ষ থেকে আগুন লাগে, যদিও কক্ষটি বন্ধ ছিল।”

সেনাবাহিনীর বাঘাইহাট জন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল খায়রুল আমিন জানান, “মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিভে যায়।”

অগ্নিকাণ্ডের কারণে সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে শতকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। ৩৪টি কটেজ রিসোর্ট পুড়ে যাওয়ার পর ৩০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয়রা মনে করেন, সাজেকে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকার কারণে বড় ক্ষতি হয়েছে।

সহায়সম্বল হারানো ক্ষতিগ্রস্তরা বর্তমানে দিশেহারা, বিশেষ করে ত্রিপুরা ও লুসাই সম্প্রদায়ের ৩০টি পরিবার, যারা এখনও সরকারি সহায়তা পাননি। তারা বর্তমানে গির্জা, মন্দির বা স্বজনদের বাসায় আশ্রয় নিয়েছেন।