ললিপপ নিলেই সব হারাবে পাকিস্তান
- সময় ০১:০৮:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 22
পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন নিয়ে অবশেষে সব ধরনের গুঞ্জনের শেষ হতে যাচ্ছে। আগামী ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হাইব্রিড মডেলেই অনুষ্ঠিত হবে। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে যেকোনো সময়। এমন খবর যখন ছড়িয়ে পড়েছে, তখন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার বাসিত আলি পিসিবিকে এক হাত নিয়েছেন।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে পাকিস্তানের হাইব্রিড মডেল মেনে নেওয়াটাকে পিসিবির হার হিসেবে দেখছেন বাসিত আলী। সেই সঙ্গে আরও জানিয়েছেন, আইসিসি পাকিস্তানকে ললিপপ দিচ্ছে, যাতে বাবর আজমদের বোর্ড তাদের কথা মেনে নেয়।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া এক ভিডিওতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে বাসিত আলী বলেন, ‘এখন এটা বলা হচ্ছে, ২০২৭ ও ২০২৮ –এ পাকিস্তানকে দুইটা নারীদের বিশ্বকাপ দেওয়া হবে। এখন সবাই বলবে, “বাহ দারুণ তো” একটি না দুইটি আইসিসি ইভেন্ট পাকিস্তানে হচ্ছে। কিন্তু এই ধরনের ইভেন্টের কোনো মানে নেই। ২০২৬-এ পাকিস্তানের মেয়েরা ভারত চলে যাবে এবং এরপর ভারতের নারী দল পাকিস্তানে আসবে। ব্রডকাস্টারদের কোনো ক্ষতি হবে না।’
আইসিসি থেকে পাকিস্তানকে বাড়তি ইভেন্ট দেওয়া নিয়ে বাসিত বলেন, ‘ললিপপ চেনেন? আইসিসি পিসিবিকে ললিপপ দিয়েছে, যে আপনি এটা মেনে নেন, লিখিতভাবে কিছু চাইবেন না এবং আমরা আপনাকে আরেকটি আইসিসি ইভেন্ট দিচ্ছি। এসবে কোনো লাভই হবে না। পিসিবি নারী বিশ্বকাপ বা অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ পেয়ে লাভবান হতে পারবে না। পিসিবি যদি এই ললিপপ নিয়ে নেয়, ওরা (পাকিস্তান)সব হারাবে।’
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে গেল কয়েক মাস কম আলোচনা হয়নি। অবশেষে পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত মিলিয়ে হবে এই মেগা টুর্নামেন্ট। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড হাইব্রিড মডেল মেনে নিয়েছে কারণ, ভারতে হতে যাওয়া ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাদের কোনো ম্যাচই ভারতে আয়োজিত হবে না বলে আইসিসি জানিয়েছে। আসন্ন সেই বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ম্যাচগুলো যৌথ আয়োজক শ্রীলঙ্কায় হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালে করাচিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বাসিত আলী। ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট প্রতিভা দিয়ে নজর কেড়েছেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের অভিষেক ইনিংসে করেছিলেন ৪১ রান। পরের ইনিংসেই অবশ্য জানান দিয়েছিলেন তিনি লম্বা রেসের ঘোড়া। সেই ইনিংসে করেছিলেন ১০১ রান।
এরপরই সরাসরি ডাক পান পাকিস্তানের অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলে। যুব দলের হয়ে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে নেমে করেছিলেন ১৮৯ রান। সেই বয়সেই বাসিত আলী তাঁর টেকনিক ও টেস্ট টেম্পারমেন্টের পুরোপুরি জানান দিয়েছিলেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা ফেলতেও বেশি সময় নেননি এই ব্যাটসম্যান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাত্র ২২ বছর বয়সে ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন। নিজের অভিষেক সিরিজেই পুরো ক্রিকেট দুনিয়াকে নিজের ব্যাটিং জাদুতে মুগ্ধ করেছিলেন বাসিত। প্রথম ম্যাচে ৪৩ বল খেলে করেছিলেন ৩৪ রান। তবে পরের দুই ম্যাচে কোর্টনি ওয়ালশ, কার্টলি অ্যামব্রোস দের যেভাবে খেলেছিলেন তারপর তাঁকে নিয়ে বড় স্বপ্ন না দেখার কোন কারণ ছিল না।
সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডে ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল ৮৬ বলে ৬০ রানের ইনিংস। এরপর ওই সিরিজের শেষ ম্যাচেও হয়েছিলেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। তখন থেকেই বাসিতকে নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখা শুরু করে পাকিস্তন। পাকিস্তান ক্রিকেটের নতুন জাভেদ মিয়াঁদাদ হিসেবে ভাবা হয় এই ব্যাটারকে।