ঢাকা ০৭:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঁচ শতাধিক স্থাপনা পুড়ে ছাই, নিহত ২

সিনিয়র প্রতিবেদক, কক্সবাজার
  • সময় ০৫:৪৭:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 48

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন

কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুনে দুজন নিহত হয়েছেন। নিহতের মধ্যে একজন শিশু এবং অন্যজন বয়স্ক ব্যক্তি। এঘটনায় এনজিও অফিস ও রোহিঙ্গা বসতঘরসহ অন্তত পাঁচ শতাধিক স্থাপনা আগুনে পুড়ে যায়। ফায়ারসার্ভিসের পাঁচটি ইউনিটের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন । নিহত দুজন হলেন, কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্প -১ এর বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে বোরহান উদ্দিন ( ৬)। এবং একই ক্যাম্পের বাসিন্দা আবুল খায়ের (৬৩)।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১ টার দিকে কুতুপালংয়ের লম্বাশিয়া ১-ওয়েস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লক থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে ।

রোহিঙ্গারা জানান , দুপুরে উখিয়ার লম্বাশিয়া ১-ওয়েস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লকের একটি বসত ঘরে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। এরপর আগুন ক্যাম্পটির আশপাশের বসত ঘরসহ অন্যান্য স্থাপনায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে উখিয়া ফায়ারসার্ভিস স্টেশন থেকে তিনটি ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালায়। পরে সেখানে কক্সবাজার ও টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের আরও দুটি ইউনিট যোগ দেয়। ফায়ারসার্ভিস কর্মিদের পাশাপাশি আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছেন সেনাবাহিনীর সদস্য ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা। পরে দুপুর সাড়ে ৩ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বাংলা অ্যাফেয়ার্সের নিজস্ব প্রতিবেদক (উখিয়া) নুরুল বাশার জানিয়েছেন, দুপুরে ওই ক্যাম্পের ডি-ব্লকের একটি বসতঘরে আকস্মিক আগুন ধরে। মুহূর্তেই তা অন্যান্য স্থাপনায় ছড়িয়ে পড়ে ক্যাম্পে C2, C3, C4, C5 সাব-ব্লক সম্পূর্ণরূপে পুড়ে গেছে যা ৩৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্র নিয়ে গঠিত। এছাড়াও, C1 সাব-ব্লকে প্রায় শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্র পুড়ে গেছে।

আগুন প্রতিরোধ করার জন্য, স্বেচ্ছাসেবকরা এবং অন্যান্যরা C6, C7, D1, D2, E1 এবং F7 সাব-ব্লকগুলিতে কিছু আশ্রয়কেন্দ্র ভেঙে ফেলে যা প্রায় দেড়শটি আশ্রয়কেন্দ্র নিয়ে গঠিত।

ফায়ারসার্ভিস কক্সবাজার স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ তানহারুল ইসলাম বলেন, ফায়ারসার্ভিসের পাঁচ ইউনিট প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। এঘটনায় ৫ শতাধিক স্থাপনা আগুনে পুড়ে গেছে।

উখিয়া থানার ওসি মো. আরিফ হোসাইন বলেন, আগুনে পুড়ে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তাদের লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আগুনের সূত্রপাত কিভাবে হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট অথবা রান্নার কাজে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন লেগেছে । আগুনের সূত্রপাত জানতে চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঁচ শতাধিক স্থাপনা পুড়ে ছাই, নিহত ২

সময় ০৫:৪৭:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুনে দুজন নিহত হয়েছেন। নিহতের মধ্যে একজন শিশু এবং অন্যজন বয়স্ক ব্যক্তি। এঘটনায় এনজিও অফিস ও রোহিঙ্গা বসতঘরসহ অন্তত পাঁচ শতাধিক স্থাপনা আগুনে পুড়ে যায়। ফায়ারসার্ভিসের পাঁচটি ইউনিটের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন । নিহত দুজন হলেন, কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্প -১ এর বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে বোরহান উদ্দিন ( ৬)। এবং একই ক্যাম্পের বাসিন্দা আবুল খায়ের (৬৩)।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১ টার দিকে কুতুপালংয়ের লম্বাশিয়া ১-ওয়েস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লক থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে ।

রোহিঙ্গারা জানান , দুপুরে উখিয়ার লম্বাশিয়া ১-ওয়েস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লকের একটি বসত ঘরে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। এরপর আগুন ক্যাম্পটির আশপাশের বসত ঘরসহ অন্যান্য স্থাপনায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে উখিয়া ফায়ারসার্ভিস স্টেশন থেকে তিনটি ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালায়। পরে সেখানে কক্সবাজার ও টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের আরও দুটি ইউনিট যোগ দেয়। ফায়ারসার্ভিস কর্মিদের পাশাপাশি আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছেন সেনাবাহিনীর সদস্য ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা। পরে দুপুর সাড়ে ৩ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বাংলা অ্যাফেয়ার্সের নিজস্ব প্রতিবেদক (উখিয়া) নুরুল বাশার জানিয়েছেন, দুপুরে ওই ক্যাম্পের ডি-ব্লকের একটি বসতঘরে আকস্মিক আগুন ধরে। মুহূর্তেই তা অন্যান্য স্থাপনায় ছড়িয়ে পড়ে ক্যাম্পে C2, C3, C4, C5 সাব-ব্লক সম্পূর্ণরূপে পুড়ে গেছে যা ৩৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্র নিয়ে গঠিত। এছাড়াও, C1 সাব-ব্লকে প্রায় শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্র পুড়ে গেছে।

আগুন প্রতিরোধ করার জন্য, স্বেচ্ছাসেবকরা এবং অন্যান্যরা C6, C7, D1, D2, E1 এবং F7 সাব-ব্লকগুলিতে কিছু আশ্রয়কেন্দ্র ভেঙে ফেলে যা প্রায় দেড়শটি আশ্রয়কেন্দ্র নিয়ে গঠিত।

ফায়ারসার্ভিস কক্সবাজার স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ তানহারুল ইসলাম বলেন, ফায়ারসার্ভিসের পাঁচ ইউনিট প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। এঘটনায় ৫ শতাধিক স্থাপনা আগুনে পুড়ে গেছে।

উখিয়া থানার ওসি মো. আরিফ হোসাইন বলেন, আগুনে পুড়ে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তাদের লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আগুনের সূত্রপাত কিভাবে হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট অথবা রান্নার কাজে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন লেগেছে । আগুনের সূত্রপাত জানতে চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।