১০:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫, ২০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোজায় দিনের বেলা প্রকাশ্যে খাওয়ার অপরাধে গ্রেপ্তার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • সময় ০৪:০১:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
  • / 28

গ্রেপ্তার (প্রতিকী ছবি)

বছর ঘুরে আবারও পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে। রমযান মাসের রোজা ইসলাম ধর্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সারাবিশ্বের মুসলিমরা গভীর ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে রোজা পালন করে থাকেন। এদিকে, পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় পবিত্র রমজান মাসে যারা রোজা পালন করছেন না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে দেশটির ইসলামিক পুলিশ।

বিশেষভাবে, নাইজেরিয়ার কানো প্রদেশে রোজার সময় দিনের বেলা জনসমক্ষে খাবার খেতে দেখা গেলে তাদের আটক/ গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এছাড়া, খাবার বিক্রির দায়ে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই তথ্য জানিয়েছে।

হিসবাহের ডেপুটি কমান্ডার মুজাহিদ আমিনুদিন বিবিসিকে জানান, রোজা না রাখার জন্য ২০জন ও খাবার বিক্রির জন্য আরও ৫জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই অভিযান শনিবার থেকে শুরু হয়েছে। পুরো মাস ধরে এটি চলবে। তিনি আরও বলেন, এক্ষেত্রে তারা অমুসলিমদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। রমজানের প্রতি কোনো অবমাননা সহ্য করা হবে না।

তিনি জানান, এমন একটি পবিত্র মাসে রোজা রাখার কথা থাকলেও, প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানদের প্রকাশ্যে খাওয়া-দাওয়া করতে দেখা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। তারা এমন আচরণ মেনে নেবেন না। ফলে, তারা অভিযুক্তদের আটকের জন্য অভিযানে বেরিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ২৫জনকে শরিয়াহ আদালতে তোলা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তি কার্যকর করা হবে।

হিসবাহের এই কর্মকর্তা বলেন, তাদের কাছে নানান ব্যক্তিদের ফোন আসে, যারা জনসমক্ষে খাবার খাওয়া দেখে ক্ষুব্ধ হন। ফলে, তারা দ্রুত সেই এলাকায় গিয়ে আটকের চেষ্টা করেন। হিসবাহের ডেপুটি কমান্ডার মুজাহিদ আমিনুদিন আরও জানান, অনুপযুক্তভাবে চুল কাটা ও হাঁটুর উপরে শর্টস পরিধান করা ব্যক্তিদেরও আটক করা হচ্ছে।

গত বছরও রোজা না রাখার কারণে অনেক মুসলিম আটক হয়েছিলেন। তবে, পরবর্তীতে তাদের রোজা রাখার প্রতিশ্রুতি নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কিছু ক্ষেত্রে, আটককৃতদের পরিবার ও অভিভাবকদের ডেকে তাদের রোজা পালন সম্পর্কে নজরদারি করতে বলা হয়েছিল।

এ বছর, গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের সামনে হাজির করা হবে। প্রায় দুই দশক আগে, নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ১২টি প্রদেশে ধর্মনিরপেক্ষ আইন ও শরিয়াহ আইন কার্যকর করা হয়। তবে, সেই প্রদেশগুলোতে খ্রিস্টান সংখ্যালঘুদের জন্য শরিয়াহ আইন প্রযোজ্য নয়।

শেয়ার করুন

রোজায় দিনের বেলা প্রকাশ্যে খাওয়ার অপরাধে গ্রেপ্তার

সময় ০৪:০১:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

বছর ঘুরে আবারও পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে। রমযান মাসের রোজা ইসলাম ধর্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সারাবিশ্বের মুসলিমরা গভীর ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে রোজা পালন করে থাকেন। এদিকে, পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় পবিত্র রমজান মাসে যারা রোজা পালন করছেন না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে দেশটির ইসলামিক পুলিশ।

বিশেষভাবে, নাইজেরিয়ার কানো প্রদেশে রোজার সময় দিনের বেলা জনসমক্ষে খাবার খেতে দেখা গেলে তাদের আটক/ গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এছাড়া, খাবার বিক্রির দায়ে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই তথ্য জানিয়েছে।

হিসবাহের ডেপুটি কমান্ডার মুজাহিদ আমিনুদিন বিবিসিকে জানান, রোজা না রাখার জন্য ২০জন ও খাবার বিক্রির জন্য আরও ৫জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই অভিযান শনিবার থেকে শুরু হয়েছে। পুরো মাস ধরে এটি চলবে। তিনি আরও বলেন, এক্ষেত্রে তারা অমুসলিমদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। রমজানের প্রতি কোনো অবমাননা সহ্য করা হবে না।

তিনি জানান, এমন একটি পবিত্র মাসে রোজা রাখার কথা থাকলেও, প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানদের প্রকাশ্যে খাওয়া-দাওয়া করতে দেখা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। তারা এমন আচরণ মেনে নেবেন না। ফলে, তারা অভিযুক্তদের আটকের জন্য অভিযানে বেরিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ২৫জনকে শরিয়াহ আদালতে তোলা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তি কার্যকর করা হবে।

হিসবাহের এই কর্মকর্তা বলেন, তাদের কাছে নানান ব্যক্তিদের ফোন আসে, যারা জনসমক্ষে খাবার খাওয়া দেখে ক্ষুব্ধ হন। ফলে, তারা দ্রুত সেই এলাকায় গিয়ে আটকের চেষ্টা করেন। হিসবাহের ডেপুটি কমান্ডার মুজাহিদ আমিনুদিন আরও জানান, অনুপযুক্তভাবে চুল কাটা ও হাঁটুর উপরে শর্টস পরিধান করা ব্যক্তিদেরও আটক করা হচ্ছে।

গত বছরও রোজা না রাখার কারণে অনেক মুসলিম আটক হয়েছিলেন। তবে, পরবর্তীতে তাদের রোজা রাখার প্রতিশ্রুতি নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কিছু ক্ষেত্রে, আটককৃতদের পরিবার ও অভিভাবকদের ডেকে তাদের রোজা পালন সম্পর্কে নজরদারি করতে বলা হয়েছিল।

এ বছর, গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের সামনে হাজির করা হবে। প্রায় দুই দশক আগে, নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ১২টি প্রদেশে ধর্মনিরপেক্ষ আইন ও শরিয়াহ আইন কার্যকর করা হয়। তবে, সেই প্রদেশগুলোতে খ্রিস্টান সংখ্যালঘুদের জন্য শরিয়াহ আইন প্রযোজ্য নয়।