ঢাকা ০৪:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রিসোর্টে আসা তরুণ তরুনীদের ধরে বিয়ে দিলেন স্থানীয়রা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
  • সময় ১০:৫৬:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫
  • / 18

সিলেটের রিসোর্ট

সিলেটের একটি রিসোর্টে আসা তরুণ তরুনীদের ধরে বিয়ে দিয়েছেন স্থানীয়রা। যদিও ভূক্তভোগীদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

রিসোর্ট থেকে ১২ তরুণ-তরুণীকে আটক করেন স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি। পরে এদের মধ্যে ৮ জনকে এলাকাবাসীর উদ্যোগে বিয়ে দেওয়া হয়। আর বাকী ৪ জনকে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

আজ রবিবার দুপুরে দক্ষিণ সুরমার সিলাম এলাকার রিজেন্ট পার্ক এন্ড রিসোর্টে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশের উপস্থিতিতেই এমন ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। এ ঘটনার পর রাতে ওই রিসোর্ট বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার বেশ কয়েকজন তরুণ-তরুনী রিজেন্ট পার্ক এন্ড রিসোর্টে বেড়াতে যান। অসামাজিক কাজ চলছে এমন অভিযোগ তুলে সিলাম এলাকার শতাধিক লোক বিকেলে ওই রিসোর্টে অভিযান চালান। এ সময় তারা রিসোর্টের ৬ টি কক্ষ থেকে ১২ তরুণ-তরুণীকে আটক করেন।

আটককৃতদের বয়স ১৬ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। তাদের একটি কক্ষে আটকে রাখেন এলাকার লোকজন। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে মোগলাবাজার থানার একটি দল ঘটনাস্থলে যায়।

একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ওই রিসোর্ট এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছে এমন অভিযোগ তুলেন অভিযানকারীরা। আটক করা তরুণ-তরুণীদের বিয়ে করানোর উদ্যোগ নেন। তাদের অভিভাবকদেরও এই খবর দেওয়া হয়। অভিভাবকরা আসার পর সন্ধ্যার দিকে আটকদের মধ্যে ৪ তরুণের সাথে ৪ জন তরুণীর বিয়ে পড়ানো হয়। বিয়ের দেনমোহর ধার্য করা হয় ১০ লাখ টাকা। বাকী ৪ তরুণ-তরুণীর বিয়ের বয়স না হওয়ায় তাদের অভিভাকদের জিম্মায় দেওয়া হয়।

মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কয়েকজন তরুণ-তরুণীকে আটকের খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। অভিভাবকদের সম্মতিতে কয়েকজনের বিয়ে দেওয়া হয় বলে শুনেছেন তিনি।

আটকের পর বিয়ে পড়ানোর কোনো আইনি ভিত্তি নেই জানিয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘কেউ অপরাধ করে থাকলে পুলিশ তাকে ধরে আনবে। আদালত বিচার করবে।’

কিভাবে এটি করা হলো তা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

এদিকে এ ব্যাপারে রিজেন্ট পার্ক এন্ড রিসোর্টের কারো বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে রিসোর্টটির ফেসবুক পেজের পোস্টে অনিবার্য কারণে রিসোর্টের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকার কথা জানানো হয়েছে।

শেয়ার করুন

রিসোর্টে আসা তরুণ তরুনীদের ধরে বিয়ে দিলেন স্থানীয়রা

সময় ১০:৫৬:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫

সিলেটের একটি রিসোর্টে আসা তরুণ তরুনীদের ধরে বিয়ে দিয়েছেন স্থানীয়রা। যদিও ভূক্তভোগীদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

রিসোর্ট থেকে ১২ তরুণ-তরুণীকে আটক করেন স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি। পরে এদের মধ্যে ৮ জনকে এলাকাবাসীর উদ্যোগে বিয়ে দেওয়া হয়। আর বাকী ৪ জনকে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

আজ রবিবার দুপুরে দক্ষিণ সুরমার সিলাম এলাকার রিজেন্ট পার্ক এন্ড রিসোর্টে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশের উপস্থিতিতেই এমন ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। এ ঘটনার পর রাতে ওই রিসোর্ট বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার বেশ কয়েকজন তরুণ-তরুনী রিজেন্ট পার্ক এন্ড রিসোর্টে বেড়াতে যান। অসামাজিক কাজ চলছে এমন অভিযোগ তুলে সিলাম এলাকার শতাধিক লোক বিকেলে ওই রিসোর্টে অভিযান চালান। এ সময় তারা রিসোর্টের ৬ টি কক্ষ থেকে ১২ তরুণ-তরুণীকে আটক করেন।

আটককৃতদের বয়স ১৬ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। তাদের একটি কক্ষে আটকে রাখেন এলাকার লোকজন। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে মোগলাবাজার থানার একটি দল ঘটনাস্থলে যায়।

একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ওই রিসোর্ট এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছে এমন অভিযোগ তুলেন অভিযানকারীরা। আটক করা তরুণ-তরুণীদের বিয়ে করানোর উদ্যোগ নেন। তাদের অভিভাবকদেরও এই খবর দেওয়া হয়। অভিভাবকরা আসার পর সন্ধ্যার দিকে আটকদের মধ্যে ৪ তরুণের সাথে ৪ জন তরুণীর বিয়ে পড়ানো হয়। বিয়ের দেনমোহর ধার্য করা হয় ১০ লাখ টাকা। বাকী ৪ তরুণ-তরুণীর বিয়ের বয়স না হওয়ায় তাদের অভিভাকদের জিম্মায় দেওয়া হয়।

মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কয়েকজন তরুণ-তরুণীকে আটকের খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। অভিভাবকদের সম্মতিতে কয়েকজনের বিয়ে দেওয়া হয় বলে শুনেছেন তিনি।

আটকের পর বিয়ে পড়ানোর কোনো আইনি ভিত্তি নেই জানিয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘কেউ অপরাধ করে থাকলে পুলিশ তাকে ধরে আনবে। আদালত বিচার করবে।’

কিভাবে এটি করা হলো তা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

এদিকে এ ব্যাপারে রিজেন্ট পার্ক এন্ড রিসোর্টের কারো বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে রিসোর্টটির ফেসবুক পেজের পোস্টে অনিবার্য কারণে রিসোর্টের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকার কথা জানানো হয়েছে।