ঢাকা ১১:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুসলিমরাই ট্রাম্পের ভরসা

আন্তজার্তিক ডেস্ক
  • সময় ১২:৩৯:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
  • / 253

Republican presidential nominee and former U.S. President Donald Trump attends a campaign rally in Novi, Michigan, U.S. October 26, 2024. REUTERS/Carlos Barria

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য মিশিগানে কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়-পরাজয় নির্ভর করছে মুসলিম ভোটারদের ওপর। কেননা, গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর নির্বিচারে গণহত্যার কারণে অনেকেই দায়ী করেন বাইডেন-কমলা প্রশাসনকে। যার ফলে এবারের মুসলিম ভোটারদের অধিকাংশই ঝুঁকছেন ।
যুক্তরাষ্ট্রে মোট জনসংখ্যার দুই থেকে তিন শতাংশ মুসলমান। সর্ববৃহৎ মুসলিম সংগঠন কাউন্সিল অন আমেরিকান ইসলামিক রিলেশন্স-কেয়ারের তথ্য অনুযায়ী এখানে রেজিস্টার্ড মুসলিম ভোটারের সংখ্যা ২৫ লাখ। অপরদিকে এমগেইস নামে অপর একটি সংগঠনের তথ্য, ২০২০ সালের নির্বাচনে মুসলমান ভোটার ছিল ১৫ লাখ। এদের মধ্যে ৫২ শতাংশ ভোট দেন।
এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দোদুল্যমান ৭টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে একটি মিশিগান। এখানে মুসলমান ভোটারের সংখ্যা ২ লাখেরও বেশি। ২০২০ সালের নির্বাচনে এক লাখ ৫৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে ট্রাম্পকে হারান বাইডেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এবারের নির্বাচনে মিশিগান অঙ্গরাজ্যে ২ লাখেরও বেশি ভোটার। যেখানে রয়েছে ১৬টি ইলেক্টোরাল ভোট। যা এবারের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে যেকোনো প্রার্থীর বিজয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

এরইমধ্যে মিশিগানে আগাম ভোট শুরু হয়েছে এবং অঙ্গরাজ্যটির এক চতুর্থাংশ সক্রিয় রেজিস্টার্ড ভোটার আগাম ভোট দিয়ে ফেলেছেন। জানা গিয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ ও ইসরাইলি বাহিনীর নির্বিচারে গণহত্যার কারণে মুসলমানদের অনেকেই এবার ট্রাম্পকে ভোট দিচ্ছেন। তারা মনে করেন মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের জন্য বাইডেন-কমলা প্রশাসন দায়ী। আবার কেউ কেউ বেছে নিচ্ছেন তৃতীয় শক্তি গ্রিন পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জিল স্টেইনকে।

শুধু মুসলমান ভোটারই নয়, কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই শিবিরে বিভক্ত হয়েছেন বাংলাদেশি ভোটাররাও। এদিকে, দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থীই নির্বাচিত হলে যুদ্ধ বন্ধ ও ফিলিস্তিনে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।

শেয়ার করুন

মুসলিমরাই ট্রাম্পের ভরসা

সময় ১২:৩৯:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য মিশিগানে কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়-পরাজয় নির্ভর করছে মুসলিম ভোটারদের ওপর। কেননা, গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর নির্বিচারে গণহত্যার কারণে অনেকেই দায়ী করেন বাইডেন-কমলা প্রশাসনকে। যার ফলে এবারের মুসলিম ভোটারদের অধিকাংশই ঝুঁকছেন ।
যুক্তরাষ্ট্রে মোট জনসংখ্যার দুই থেকে তিন শতাংশ মুসলমান। সর্ববৃহৎ মুসলিম সংগঠন কাউন্সিল অন আমেরিকান ইসলামিক রিলেশন্স-কেয়ারের তথ্য অনুযায়ী এখানে রেজিস্টার্ড মুসলিম ভোটারের সংখ্যা ২৫ লাখ। অপরদিকে এমগেইস নামে অপর একটি সংগঠনের তথ্য, ২০২০ সালের নির্বাচনে মুসলমান ভোটার ছিল ১৫ লাখ। এদের মধ্যে ৫২ শতাংশ ভোট দেন।
এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দোদুল্যমান ৭টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে একটি মিশিগান। এখানে মুসলমান ভোটারের সংখ্যা ২ লাখেরও বেশি। ২০২০ সালের নির্বাচনে এক লাখ ৫৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে ট্রাম্পকে হারান বাইডেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এবারের নির্বাচনে মিশিগান অঙ্গরাজ্যে ২ লাখেরও বেশি ভোটার। যেখানে রয়েছে ১৬টি ইলেক্টোরাল ভোট। যা এবারের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে যেকোনো প্রার্থীর বিজয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

এরইমধ্যে মিশিগানে আগাম ভোট শুরু হয়েছে এবং অঙ্গরাজ্যটির এক চতুর্থাংশ সক্রিয় রেজিস্টার্ড ভোটার আগাম ভোট দিয়ে ফেলেছেন। জানা গিয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ ও ইসরাইলি বাহিনীর নির্বিচারে গণহত্যার কারণে মুসলমানদের অনেকেই এবার ট্রাম্পকে ভোট দিচ্ছেন। তারা মনে করেন মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের জন্য বাইডেন-কমলা প্রশাসন দায়ী। আবার কেউ কেউ বেছে নিচ্ছেন তৃতীয় শক্তি গ্রিন পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জিল স্টেইনকে।

শুধু মুসলমান ভোটারই নয়, কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই শিবিরে বিভক্ত হয়েছেন বাংলাদেশি ভোটাররাও। এদিকে, দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থীই নির্বাচিত হলে যুদ্ধ বন্ধ ও ফিলিস্তিনে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।