ঢাকা ০১:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাধ্যমিকের বেশিরভাগ বই ছাপানোই শুরু হয়নি

নিউজ ডেস্ক
  • সময় ১০:৪৭:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 16

বই ছাপা

বছর শেষ হওয়ার পথে। অথচ এখনও মাধ্যমিকের বেশিরভাগ বই ছাপানো শুরু হয়নি। এমনকি শেষ হয়নি ৮ম ও ৯ম শ্রেণির বইয়ের দরপত্র প্রক্রিয়াও। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) বলছে, প্রাথমিকের সব বই নির্দিষ্ট সময়ে পেলেও মাধ্যমিকের বই জানুয়ারির মধ্যে পাবে শিক্ষার্থীরা।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে হাসিনা সরকারের পতনের পর নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করে দেয় সরকার। এরপর বইয়ের পাঠ্যসূচি পরিমার্জনের কাজ শুরু করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

চলতি বছর প্রথম থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত ৪০ কোটি নতুন বই ছাপাচ্ছে সরকার। এনসিটিবির তথ্য অনুযায়ী, প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত বই ছাপানো শেষ করে সারা দেশে পৌঁছানো হয়েছে। কিন্তু ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির বই ছাপানো এখনও শেষ হয়নি।

এদিকে মাধ্যমিকের বেশিরভাগ বই ছাপানোর কাজ এখনও শুরু হয়নি। ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির বই ছাপানো কিছুটা শুরু হলেও ৮ম ও ৯ম শ্রেণির দরপত্রের চুক্তিই শেষ হয়নি। তার ওপর চাহিদা অনুযায়ী কাগজও পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।

এ ব্যাপারে মুদ্রণ মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি তোফায়েল খান বলেন, ‘যে মানের কাগজ এবার নেওয়া হচ্ছে, এর সঙ্গে মাত্র ৫টি কাগজ মিল জড়িত। উনারা এগুলো উৎপাদন করছে। তবে, এদের উৎপাদিত কাগজ আমাদের সবার জন্য এনাফ না।’

শিক্ষা গবেষকরা বলছেন, এনসিটিবির কাজের গতি কম বলেই বই ছাপানোতে দেরি হচ্ছে। এ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা মনোযোগটা দিইনি, আগ্রহটা দেখাইনি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে জায়গাটা সেটা হচ্ছে, প্রাইরোটির জায়গাটা তো আছেই। এর পাশাপাশি, যাদেরকে দিলে কাজটা যথাযথভাবে হতো, দক্ষতা ও দৃঢ়তার সঙ্গে কাজটা হতো, আমি মনে করি যোগ্য হাতে কাজটা পড়েনি।’

এনসিটিবি বলছে, বছরের প্রথম দিন প্রাথমিকের সব বই পাবে শিক্ষার্থীরা। আর মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের ৩টি বিষয়ের বই দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক একেএম রিয়াজুল হাসান বলেন, ‘৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রাথমিকের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বইগুলো দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করি জানুয়ারির ১ তারিখের মধ্যে শিক্ষার্থীরা বইগুলো পাবে। অন্যদিকে, বাংলা, ইংরেজি ও গণিতের তিনটি বই ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত আমরা দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

এবার কোনো বই উৎসব হবে না। তবে স্কুলে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেবেন।

শেয়ার করুন

মাধ্যমিকের বেশিরভাগ বই ছাপানোই শুরু হয়নি

সময় ১০:৪৭:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বছর শেষ হওয়ার পথে। অথচ এখনও মাধ্যমিকের বেশিরভাগ বই ছাপানো শুরু হয়নি। এমনকি শেষ হয়নি ৮ম ও ৯ম শ্রেণির বইয়ের দরপত্র প্রক্রিয়াও। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) বলছে, প্রাথমিকের সব বই নির্দিষ্ট সময়ে পেলেও মাধ্যমিকের বই জানুয়ারির মধ্যে পাবে শিক্ষার্থীরা।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে হাসিনা সরকারের পতনের পর নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করে দেয় সরকার। এরপর বইয়ের পাঠ্যসূচি পরিমার্জনের কাজ শুরু করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

চলতি বছর প্রথম থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত ৪০ কোটি নতুন বই ছাপাচ্ছে সরকার। এনসিটিবির তথ্য অনুযায়ী, প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত বই ছাপানো শেষ করে সারা দেশে পৌঁছানো হয়েছে। কিন্তু ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির বই ছাপানো এখনও শেষ হয়নি।

এদিকে মাধ্যমিকের বেশিরভাগ বই ছাপানোর কাজ এখনও শুরু হয়নি। ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির বই ছাপানো কিছুটা শুরু হলেও ৮ম ও ৯ম শ্রেণির দরপত্রের চুক্তিই শেষ হয়নি। তার ওপর চাহিদা অনুযায়ী কাগজও পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।

এ ব্যাপারে মুদ্রণ মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি তোফায়েল খান বলেন, ‘যে মানের কাগজ এবার নেওয়া হচ্ছে, এর সঙ্গে মাত্র ৫টি কাগজ মিল জড়িত। উনারা এগুলো উৎপাদন করছে। তবে, এদের উৎপাদিত কাগজ আমাদের সবার জন্য এনাফ না।’

শিক্ষা গবেষকরা বলছেন, এনসিটিবির কাজের গতি কম বলেই বই ছাপানোতে দেরি হচ্ছে। এ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা মনোযোগটা দিইনি, আগ্রহটা দেখাইনি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে জায়গাটা সেটা হচ্ছে, প্রাইরোটির জায়গাটা তো আছেই। এর পাশাপাশি, যাদেরকে দিলে কাজটা যথাযথভাবে হতো, দক্ষতা ও দৃঢ়তার সঙ্গে কাজটা হতো, আমি মনে করি যোগ্য হাতে কাজটা পড়েনি।’

এনসিটিবি বলছে, বছরের প্রথম দিন প্রাথমিকের সব বই পাবে শিক্ষার্থীরা। আর মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের ৩টি বিষয়ের বই দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক একেএম রিয়াজুল হাসান বলেন, ‘৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রাথমিকের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বইগুলো দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করি জানুয়ারির ১ তারিখের মধ্যে শিক্ষার্থীরা বইগুলো পাবে। অন্যদিকে, বাংলা, ইংরেজি ও গণিতের তিনটি বই ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত আমরা দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

এবার কোনো বই উৎসব হবে না। তবে স্কুলে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেবেন।