হরতালের ডাক দিলো আওয়ামী লীগ
- সময় ১০:২৬:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫
- / 47
ভাষার মাসেই (ফেব্রুয়ারি) অন্তর্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করতে মাঠে নামছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। মঙ্গলবার রাতে এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে দলটি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘১৯৭১ সালে আমাদের সুমহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী বাংলাদেশ আজ ক্ষত-বিক্ষত, রক্তাক্ত জনপদ। অবৈধ ও অসাংবিধানিক জোরপূর্বক ক্ষমতা দখলদার, ইতিহাসের জঘন্যতম রক্তপিপাসু ফ্যাসিস্ট ইউনূস ও তার দোসরদের সীমাহীন ধ্বংসযজ্ঞ ও তাণ্ডবে ত্রিশ লক্ষ শহিদের আত্মত্যাগ এবং দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে অর্জিত প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমি আজ প্রতিহিংসার দাবানলে দাউ দাউ করে জ্বলছে। উগ্র-জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক ও তার দোসরদের হঠাও ও বাংলাদেশ বাঁচাও। দেশের গণতন্ত্র আজ নির্বাসিত। মানবাধিকার আজ ভূ-লুণ্ঠিত, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা লুপ্ত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধ বিসর্জিত। আইনের শাসন অস্তমিত। এমতাবস্থায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্য দুর্বার গণ-আন্দোলন গড়ে তুলুন।
আরো উল্লেখ করা হয়, ‘বেআইনি ও অবৈধ আইসিটি ট্রাইব্যুনালে ‘মাননীয়’ প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যা মামলাসহ অন্যান্য মামলা প্রত্যাহার এবং প্রহসনমূলক বিচার বন্ধের দাবিতে- হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও আদিবাসী জাতি গোষ্ঠীর উপর হামলা ও হত্যাযজ্ঞ এবং বিভিন্ন ধর্মীয় উপসনালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে – মেটিক্যুলাস ডিজাইনের মাধ্যমে শিশু, ছাত্র-জনতা,পুলিশ বাহিনীর ৩ হাজারের বেশি সদস্য এবং আনসার বাহিনীর সদস্যদের হত্যাসহ সকল হত্যার বিচারের দাবিতে- আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও দেশব্যাপী খুন-ধর্ষণ-চাঁদাবাজি-ডাকাতি-রাহাজানির প্রতিবাদে এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তার দাবিতে
– সারা দেশে হাজার হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ব্যক্তিদের গুম, খুন ও হত্যার প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
– দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে
– ফ্যাসিস্ট ইউনূসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও কর ফাঁকির মামলা প্রত্যাহার, গ্রামীণ ব্যাংককে ৫ বছরের কর অব্যাহতি প্রদান এবং ভ্যাট-ট্যাক্স বৃদ্ধি করে জনগণের উপর বোঝা চাপানোর প্রতিবাদে
– সরকারের প্রতিটি সেক্টরে লাগামহীন দুর্নীতি ও বিদেশে টাকা পাচারের প্রতিবাদে
– শেয়ারবাজারে অর্থ কেলেঙ্কারি, ব্যাংকগুলো ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ধ্বংসের প্রতিবাদে
– সুফিসাধক, বাউল সঙ্গীত শিল্পী, শিল্পী,সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বের উপর আক্রমণ ও শত শত বছর পুরনো মাজারে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে
– গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্প-কারখানা বন্ধের ফলে নারী শ্রমিকসহ লক্ষ লক্ষ শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়ার প্রতিবাদে
– গণমামলা, নির্বিচারে গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে ও রাজবন্দীদের মুক্তির দাবিতে
– সর্বোপরি অবৈধ ও অসাংবিধানিক দখলদার খুনি-ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারের পদত্যাগের দাবিতে
১ ফেব্রুয়ারি, শনিবার থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি,বুধবার: লিফলেট বা প্রচারপত্র বিলি।
৬ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার : প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ
১০ ফেব্রুয়ারি, সোমবার : বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ
১৬ ফেব্রুয়ারি, রবিবার: অবরোধ কর্মসূচি
১৮ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার: দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক কঠোর হরতাল।
দেশের মানুষের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের এ সকল কর্মসূচিতে কোনো প্রকার বাধা প্রদান করা হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, গেল বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের মুখে দেশত্যাগে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। বর্তমানে তিনি প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে অবস্থান করছেন।