ভারতের পর ব্রিটিশ হাইকমিশনারকে তলব
- সময় ০৯:৫৫:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 152
যুক্তরাজ্যের সংসদে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু পরিস্থিতি নিয়ে দুই সদস্যের তথ্য উপস্থাপন এবং দেশটির অল পার্টি পার্লামেন্ট গ্রুপের জুলাই–আগস্ট আন্দালনের পর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
আজ বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুককে তলব করে এ ধরনের অপপ্রচার বিরুদ্ধে সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। এর ঠিক একদিন আগেই মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৪ টার দিকে আগরতলার ত্রিপুরার ঘটনায় বাংলাদেশের তলবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসেন ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা। পরে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব এম রিয়াজ হামিদুল্লাহর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। প্রণয় ভার্মা বলেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক গঠনমূলক সম্পর্ক নির্মাণ করতে চায়। একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্ক আটকে থাকার কোনো কারণ নেই।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বুধবার ব্রিটিশ হাইকমিশনারকে তলব করা হয়েছিল। ছোট দুটি ঘটনা ঘটেছে। ২ নভেম্বর ব্রিটিশ সংসদের দুই সদস্য বক্তব্য দিয়েছেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘু পরিস্থিতির ওপর। সে বক্তব্যে কিছু ভুল তথ্য রয়েছে, সেটি হাইকমিশনারকে জানিয়েছি। এ ছাড়া ব্রিটেনভিত্তিক কিছু সংগঠন কিছু তথ্য তুলে ধরেছে, যাতে প্রকৃত চিত্র প্রতিফলিত হয়নি।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ব্রিটিশ হাইকমিশনারকে আমি ঢেকেছিলাম দুটো কারণে। ছোট ছোট দুটো ঘটনা ঘটেছে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কয়েকজন সদস্য বক্তব্য দিয়েছেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘু পরিস্থিতির ওপরে। সেখানে কিছু ভুল তথ্য আছে, সেটা আমি হাইকমিশনারকে জানিয়েছি। বলেছি যে, চারদিকে যে তথ্যের একটা প্রবাহ চলছে, তারা সেটা থেকে মনে হয় যেন তথ্য নিয়েছেন।
তিনি বলেন, আর দুই-একটা সংগঠন আছে। যারা কথা বলেছেন, সেগুলোও মোটামুটি ব্রিটেন কেন্দ্রিক। তারা যেটা বলেছেন, প্রকৃত গ্রাউন্ডের পরিস্থিতি প্রতিফলিত হয়নি। পার্লামেন্টের সদস্যরা যা ইচ্ছে তাই বলবে, এটা নিয়ে কারও কিছু করার নাই আমাদেরও কিছু করার নাই। আমি হাইকমিশনারকে অনুরোধ করেছি, আমাদের যে অবস্থানটা সেটা যেন তারা তাদের চ্যানেলে জানায়। উনি পরামর্শ দিয়েছেন, আপনারা আপনাদের মিশনের মাধ্যমে জানান, আমরাও জানাব।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের অল পার্টি পার্লামেন্ট গ্রুপের একটি বড় প্রতিবেদন এসেছে। এ বিবৃতির নিয়ে বাংলাদেশ দুঃখ পেয়েছে। কারণ সেখানেও দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে যে ৫ আগস্টের পরে বেশি মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। ৫ আগস্টের আগে মৃত্যুর সংখ্যা বলা হয়েছে ২৮০ জন এবং মোট সংখ্যা ১ হাজারের বেশি। ৫ আগস্ট এবং তারও আগে অন্তত ১৫০০ ছেলে–মেয়ে নিহত হয়েছেন, এটি হাইকমিশনারকে জানিয়েছি বলে উল্লেখ করেন তিনি।