ঢাকা ০৩:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতেই আস্থা রাখছে ইউনূস সরকার

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
  • সময় ০৯:৩১:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 53

বাংলাদেশ-ভারত

সারাদেশে যখন ভারত বিরোধিতার উত্তাল ঢেউ এবং প্রধানতম রাজনৈতিক দল বিএনপির পক্ষ থেকে সরাসরি ভারতীয় পণ্য বয়কটের ঘোষণা এবং তা পালন করার সময় চলছে, তখন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বতীকালীন সরকার ভারতেই আস্থা রাখছেন। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে বলেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো বেগবান করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ।

ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল ও মিয়ানমার থেকে ১ লাখ টন আতপ চাল আমদানি করা হচ্ছে। এতে ব্যয় হবে ৮৯৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে বুধবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ–বিষয়ক প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।

মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন আতপ চাল আমদানি হচ্ছে সরকারি পর্যায়ে (জিটুজি)। মিয়ানমার রাইস ফেডারেশন এ চাল সরবরাহ করবে। প্রতি টন চালের দাম ধরা হয়েছে ৫১৫ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় দাম পড়বে ৬১৮ কোটি টাকা।

ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল আমদানি করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে। ভারতের মণ্ডল স্টোন প্রোডাক্ট প্রাইভেট লিমিটেড এ চাল সরবরাহের কাজ পেয়েছে। প্রতি টন চালের দাম ধরা হয়েছে ৪৬৭ দশমিক ৭০ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার দাম ২৮০ কোটি ৬২ লাখ টাকা।

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ

এদিকে দেশীয় প্রতিষ্ঠান থেকে ১৫৬ কোটি টাকার চিনি ও মসুর ডাল কিনছে সরকার। স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে কেনা হচ্ছে ৫ হাজার টন চিনি ও ১০ হাজার টন মসুর ডাল। চিনি কেনা হচ্ছে সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কাছ থেকে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯ কোটি ২১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তাতে প্রতি কেজি চিনির দাম পড়বে ১১৮ টাকা ৪৩ পয়সা। সরকারি বিক্রয়কারী সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে এ চিনি বিক্রি করা হবে।

এ ছাড়া চট্টগ্রামের পায়েল ট্রেডার্স থেকে কেনা হচ্ছে ১০ হাজার টন মসুর ডাল। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। প্রতি কেজির দাম পড়বে ৯৬ টাকা ৬৯ পয়সা। এ মসুর ডালও টিসিবির মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি করা হবে।

ক্রয় কমিটিতে ৬০ হাজার টন ইউরিয়া ও ৩০ হাজার টন রক ফসফেট আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদিত হয়। এতে ব্যয় হবে ৩৯৮ কোটি টাকা।

বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, যারা প্রতিযোগিতামূলক মূল্য দেবে, দ্রুত দেবে ও মানসম্মত পণ্য দেবে, তাদের থেকেই পণ্য কেনা হবে। সেটা ভারত বা বিভিন্ন দেশ হতে পারে। ভারত ও মিয়ানমারের পাশাপাশি ভিয়েতনামের সঙ্গেও কথা হচ্ছে।

আগামী রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দামে স্বস্তি থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘নিত্যপণ্যের দাম একেবারে যে স্থিতিশীল নয়, সে বিষয়ে আমি সম্মত নই। দাম কমছে কিছুটা। চাল ও মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।’

আমাদের বেনাপোলের নিজস্ব প্রতিবেদক জানিয়েছেন, শুল্ককর প্রত্যাহার করে নেওয়ায় পর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে গত ১৭ দিনে ভারত থেকে এক হাজার ৬৫৫ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। দুই বছর পর ১৭ নভেম্বর থেকে পুনরায় চাল আমদানি শুরু হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি জানিয়েছেন বেনাপোল শুল্ক ভবনের কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল গণি। তিনি বলেন, ‘আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মাহবুবুল আলম ফুড প্রোডাক্ট, অর্ক ট্রেডিং এবং সর্দার এন্টারপ্রাইজ বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে এসব চাল আমদানি করেছে।’

আব্দুল গণি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে ছয় ট্রাকে ২১০ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। এ নিয়ে ১৭ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর সকাল ১০টা পর্যন্ত ৪৯ ট্রাকে এক হাজার ৬৫৫ মেট্রিক টন চাল আমদানি হলো।’

বেনাপোল স্থল বন্দর
বেনাপোল স্থল বন্দর

গত ১৭ নভেম্বর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে ৯২টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে বেসরকারিভাবে চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। যারা ভারত থেকে দুই লাখ ৭৩ হাজার টন সেদ্ধ চাল ও এক লাখ ১৯ হাজার টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছে। তবে সবাই চাল আমদানি করতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে ব্যবসায়ীদের। কারণ আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে আমদানিকৃত সমুদয় চাল বাজারজাত করতে হবে। হিসাবে বাকি আছে আর পাঁচ দিন।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী হেমন্ত কুমার সরকার জানান, ২০২৩ সালের ২০ জুলাই থেকে সেদ্ধ ও আতপ চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত সরকার। এর আগে ২০২২ সালের নভেম্বর থেকেই বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিবেশী দেশটি থেকে চাল আমদানি বন্ধ ছিল। সেই সময় চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে ৬২ শতাংশ শুল্ককর আরোপ করা হয়। এরপর থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আর চাল আমদানি হয়নি। শুল্ক প্রত্যাহার হওয়ায় আবার চাল আমদানি শুরু হয়। ১৭ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর সকাল ১০টা পর্যন্ত এক হাজার ৬৫৫ মেট্রিক টন চাল ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে।

 

শেয়ার করুন

ভারতেই আস্থা রাখছে ইউনূস সরকার

সময় ০৯:৩১:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

সারাদেশে যখন ভারত বিরোধিতার উত্তাল ঢেউ এবং প্রধানতম রাজনৈতিক দল বিএনপির পক্ষ থেকে সরাসরি ভারতীয় পণ্য বয়কটের ঘোষণা এবং তা পালন করার সময় চলছে, তখন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বতীকালীন সরকার ভারতেই আস্থা রাখছেন। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে বলেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো বেগবান করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ।

ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল ও মিয়ানমার থেকে ১ লাখ টন আতপ চাল আমদানি করা হচ্ছে। এতে ব্যয় হবে ৮৯৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে বুধবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ–বিষয়ক প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।

মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন আতপ চাল আমদানি হচ্ছে সরকারি পর্যায়ে (জিটুজি)। মিয়ানমার রাইস ফেডারেশন এ চাল সরবরাহ করবে। প্রতি টন চালের দাম ধরা হয়েছে ৫১৫ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় দাম পড়বে ৬১৮ কোটি টাকা।

ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল আমদানি করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে। ভারতের মণ্ডল স্টোন প্রোডাক্ট প্রাইভেট লিমিটেড এ চাল সরবরাহের কাজ পেয়েছে। প্রতি টন চালের দাম ধরা হয়েছে ৪৬৭ দশমিক ৭০ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার দাম ২৮০ কোটি ৬২ লাখ টাকা।

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ

এদিকে দেশীয় প্রতিষ্ঠান থেকে ১৫৬ কোটি টাকার চিনি ও মসুর ডাল কিনছে সরকার। স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে কেনা হচ্ছে ৫ হাজার টন চিনি ও ১০ হাজার টন মসুর ডাল। চিনি কেনা হচ্ছে সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কাছ থেকে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯ কোটি ২১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তাতে প্রতি কেজি চিনির দাম পড়বে ১১৮ টাকা ৪৩ পয়সা। সরকারি বিক্রয়কারী সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে এ চিনি বিক্রি করা হবে।

এ ছাড়া চট্টগ্রামের পায়েল ট্রেডার্স থেকে কেনা হচ্ছে ১০ হাজার টন মসুর ডাল। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। প্রতি কেজির দাম পড়বে ৯৬ টাকা ৬৯ পয়সা। এ মসুর ডালও টিসিবির মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি করা হবে।

ক্রয় কমিটিতে ৬০ হাজার টন ইউরিয়া ও ৩০ হাজার টন রক ফসফেট আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদিত হয়। এতে ব্যয় হবে ৩৯৮ কোটি টাকা।

বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, যারা প্রতিযোগিতামূলক মূল্য দেবে, দ্রুত দেবে ও মানসম্মত পণ্য দেবে, তাদের থেকেই পণ্য কেনা হবে। সেটা ভারত বা বিভিন্ন দেশ হতে পারে। ভারত ও মিয়ানমারের পাশাপাশি ভিয়েতনামের সঙ্গেও কথা হচ্ছে।

আগামী রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দামে স্বস্তি থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘নিত্যপণ্যের দাম একেবারে যে স্থিতিশীল নয়, সে বিষয়ে আমি সম্মত নই। দাম কমছে কিছুটা। চাল ও মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।’

আমাদের বেনাপোলের নিজস্ব প্রতিবেদক জানিয়েছেন, শুল্ককর প্রত্যাহার করে নেওয়ায় পর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে গত ১৭ দিনে ভারত থেকে এক হাজার ৬৫৫ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। দুই বছর পর ১৭ নভেম্বর থেকে পুনরায় চাল আমদানি শুরু হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি জানিয়েছেন বেনাপোল শুল্ক ভবনের কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল গণি। তিনি বলেন, ‘আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মাহবুবুল আলম ফুড প্রোডাক্ট, অর্ক ট্রেডিং এবং সর্দার এন্টারপ্রাইজ বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে এসব চাল আমদানি করেছে।’

আব্দুল গণি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে ছয় ট্রাকে ২১০ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। এ নিয়ে ১৭ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর সকাল ১০টা পর্যন্ত ৪৯ ট্রাকে এক হাজার ৬৫৫ মেট্রিক টন চাল আমদানি হলো।’

বেনাপোল স্থল বন্দর
বেনাপোল স্থল বন্দর

গত ১৭ নভেম্বর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে ৯২টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে বেসরকারিভাবে চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। যারা ভারত থেকে দুই লাখ ৭৩ হাজার টন সেদ্ধ চাল ও এক লাখ ১৯ হাজার টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছে। তবে সবাই চাল আমদানি করতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে ব্যবসায়ীদের। কারণ আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে আমদানিকৃত সমুদয় চাল বাজারজাত করতে হবে। হিসাবে বাকি আছে আর পাঁচ দিন।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী হেমন্ত কুমার সরকার জানান, ২০২৩ সালের ২০ জুলাই থেকে সেদ্ধ ও আতপ চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত সরকার। এর আগে ২০২২ সালের নভেম্বর থেকেই বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিবেশী দেশটি থেকে চাল আমদানি বন্ধ ছিল। সেই সময় চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে ৬২ শতাংশ শুল্ককর আরোপ করা হয়। এরপর থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আর চাল আমদানি হয়নি। শুল্ক প্রত্যাহার হওয়ায় আবার চাল আমদানি শুরু হয়। ১৭ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর সকাল ১০টা পর্যন্ত এক হাজার ৬৫৫ মেট্রিক টন চাল ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে।